গতকাল শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য স্মরণসভা ও সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে যৌথসভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর বিএনপির সমাবেশে দেশ পুনর্গঠনের নতুন বার্তা দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিক রেহমান। এ জেড এম জাহিদ হুসাইন এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড.

ড. জাহিদ হোসেন বলেন, স্বৈরাচারী সাবেক প্রথানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর শ্রমিকরা তাদের ভবিষ্যতের জন্য আখ সংগ্রহ করতে পৈত্রিক সম্পত্তির মতো দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে।

তিনি বলেন, সাবেক শেখ হাসিনার সরকার ২০১৪ সালে ভোট ছাড়াই নির্বাচন করেছে, ২০১৮ সালে দিবাগত ভোট দিয়েছে এবং ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন করে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে তারা সব প্রতিষ্ঠানকে দলে পরিণত করেছে।

আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানকে দলীয় গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছে বলে জানিয়েছে। নিজের ইচ্ছানুযায়ী আইন ও আদালতকে ব্যবহার করেছেন।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, বিরোধী দলের নেতা-কর্মী, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে লাখ লাখ মামলা হয়েছে। শেখ হাসিনার অপকর্মের বিরুদ্ধে যেই কথা বলল তাকে হত্যা বা গুম করা হয়েছে।

ভোটের অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন।

এখন আমরা আমাদের নেতা তারিক রহমানের নির্দেশে আন্দোলন করছি। বিএনপি আন্দোলনে ছিল, আন্দোলনে থাকবে। ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরে না আসা পর্যন্ত।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ১৫ সেপ্টেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করা হবে এবং পরবর্তী সমাবেশ হবে অন্যতম বড় সমাবেশ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিক রহমান। আগামী দিনে সমাবেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুনর্গঠনের বার্তা দিতে হবে তারেক রহমানকে।

এবারের আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ড. জাহিদ। এ উপলক্ষে বিএনপি দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বলেও জানান তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে শহীদদের স্মরণে ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে তাদের মতামত তুলে ধরবেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্মরণসভা ও সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে যৌথসভা দলের সহসভাপতি ড. আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অনি, কাজী সাইদুল আলম বাবুলসহ ঢাকা বিভাগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।