পাকিস্তানের মাটিতে হাসান-রানা-তাসকিনের ইতিহাস সৃষ্টি
সব সময় বাংলাদেশে পেস বোলিং ইউনিট সাফল্যের সেরা সময় উপহার দিয়ে আসছে। আজও তার প্রমাণ দিয়েছে ফাস্ট বোলাররা। ২য় টেস্টের উইকেটে ফাস্ট বোলাররা বেশি উইকেট নিয়েছে। এদিকে টেস্টে ১ম বারের মত কীর্তি গড়লেন ফাস্ট বোলাররা।
আগের দিনে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর মেহেদী হাসান মিরাজ-লিটন দাসের অবিশ্বাস্য জুটির সুবাদে প্রথম ইনিংসে ২৬২ রানে সীমাবদ্ধ বাংলাদেশ। ১২ রানে এগিয়ে থাকা স্বাগতিক দলকে দ্বিতীয় ইনিংসে ফাস্ট বোলারদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। গতকাল তৃতীয় দিনে মাত্র ৯ রানে ২ উইকেট হারিয়েছে শান মাসুদরা। ৩য় দিনের শেষে দুটি উইকেটই নিয়েছেন ফাস্ট বোলার হাসান মাহমুদ।
আজ চতুর্থ দিনে রাওয়ালপিন্ডিতে পেসারের ঝড় তোলেন তরুণ ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা। ব্যাটিংয়ের পুরো সময়টাতে নাহিদ ও হাসান মাহমুদের কারণে একপ্রান্ত থেকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের। নাহিদের উইকেট সংখ্যা ৪। এ ছাড়া বাকি উইকেট নিয়েছেন অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ। দুজনে মিলে স্বাগতিক দলের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানে ১০টি উইকেট নেন।
বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ স্পিনের ওপর নির্ভরশীল হলেও গত কয়েক বছরে ফাস্ট বোলাররাও শক্তি দেখিয়েছেন। ফাস্ট বোলার ইবাদত হুসেনও মাউন্ট মাঙ্গানুইতে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এবার হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা ও তাসকিন আহমেদ একসঙ্গে স্মরণীয় কৃতিত্ব অর্জন করলেন। এর আগে চারবার এক ইনিংসে ৯ উইকেট নেওয়ার কীর্তি দেখিয়েছিলেন টাইগার পেসাররা।
এদিকে, হাসান মাহমুদ প্রথম বাংলাদেশি ফাস্ট বোলার হিসেবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেট নেন। ১০.৪ ওভারে মেডেনে ৪৩ রান করে তিনি ফাইফারের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। এর আগে মোহাম্মদ রফিক, তাইজুল ইসলাম, সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজ পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন।