শাহিন আফ্রিদি টিম ম্যানেজমেন্টের খুবই ক্ষুব্ধ ও হতাশ
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের পর দলে মাত্র একটি পরিবর্তন করেছে পাকিস্তান। বাদ পড়েছেন তারকা ফাস্ট বোলার শাহীন শাহ আফ্রিদি। তার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন স্পিনার আবরার আহমেদ। পাকিস্তানের টেস্ট কোচ জেসন গিলেস্পি বলেছেন, প্রথম টেস্টের সময় তার প্রথম সন্তানের বাবা হওয়া শাহিনকে তার পরিবারের সাথে সময় কাটানোর জন্য বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। তবে এখন শোনা যাচ্ছে ভিন্ন কথা। টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বাঁহাতি ফাস্ট বোলার।
প্রথম ইনিংসে ৩০ ওভারে ৮৮ রানে ২ উইকেট নেন শাহীন শাহ। সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের জন্য ১২ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। দলে জায়গা পাননি শাহীন। তবে তাকে পরিকল্পনায় না রাখার বিষয়টি আগেভাগে জানায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রথম টেস্ট চলাকালীনই প্রথম সন্তানের বাবা হওয়ার সুখবর পান তিনি। তাই স্ত্রী-সন্তানকে দেখতে ম্যাচ শেষে করাচিতে পৌঁছেছেন তিনি। কিন্তু দুদিনের মধ্যেই রাওয়ালপিন্ডিতে ফেরত ডাকা হয় শাহীনকে।
দলের আমন্ত্রণে করাচি থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে ফিরে আসেন তিনি। কিন্তু ফেরার পর জানা গেল দ্বিতীয় টেস্টে দলে নেই তিনি। দলীয় সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির মিডিয়া আউটলেট ক্রিকেট পাকিস্তান বলছে, এই ঘটনায় শাহীন খুবই ক্ষুব্ধ ও হতাশ। টিম ম্যানেজমেন্টের একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, দ্বিতীয় টেস্টে না খেলার পর হতাশ শাহীন।
ক্রিকেট পাকিস্তান আরও জানিয়েছে যে শাহিন পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট খেলবেন বলে আকর্ষণীয় লিগের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। তবে রাউপিন্ডি টেস্টে সুযোগ পাননি তিনি। শাহীন বলেন, দল যদি দ্বিতীয় টেস্ট খেলবে না, তাহলে করাচি থেকে কেন আমন্ত্রণ জানানো হলো।
অবশ্য শাহিনের সঙ্গে এমন ঘটনা এবারই প্রথম নয়, পিসিবি ও টিম ম্যানেজমেন্টের তুপে অনেকবারই পড়তে হয়েছে তাকে। সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর বাবর আজম নেতৃত্ব ছাড়লে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব পান শাহিন আফ্রিদি। তবে এক সিরিজের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হারের পরই তার কাছ থেকে নেতৃত্ব কেড়ে নেওয়া হয়। এ ছাড়া টেস্টের সহ-অধিনায়কের পদ থেকেও তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঠিক কী কারণে শাহিন দলে নেই, এক দিন আগেই সে ব্যাখ্যা দিয়েছেন পাকিস্তানের টেস্ট কোচ জেসন গিলেস্পি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘শাহিন এই ম্যাচে থাকছে না। তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, এই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ জেনে সে সেটিকে সমর্থন জানিয়েছে। আমরা আমাদের সেরা কম্বিনেশন নিয়ে ম্যাচটি খেলতে চাই এবং সেটাই আমাদের নির্দেশনা। আমরা সকালে কন্ডিশন দেখে বোলিং অ্যাটাক ঠিক করব। শাহিনের জন্য সময়টা অন্যরকম, সে নতুন বাবা হয়েছে। আমাদের তিন ফরম্যাটের দলের সদস্য সে, তাকে এখন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ দিয়েছি।’
এরপর অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই তারকা পেসার শাহিনের পেশাগত কিছু বিষয়ও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘কিছু বিষয়ে তাকে নিশ্চিত করতে হবে যে, সে যথেষ্ট ফিট। এ নিয়ে আজহার মাহমুদের (বোলিং কোচ) সঙ্গে কাজও করছে, এটি দারুণ। আমরা শাহিনকে তার সেরা ফর্মে দেখতে চাই, কারণ তিন ফরম্যাটেই আমাদের সামনে অনেক খেলা আছে এবং আশা করি সেখানে সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই মুহূর্তে আমরা নির্দিষ্ট ম্যাচের জন্য সব পজিশন সম্পূর্ণ হয়েছে বলে মনে করি।’