ব্রেকিং নিউজঃ সারাদেশে এনআইডি পরিসেবা ব্যাহত; জানা গেল আসল কারণ

নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ছাড়াও দেশের সমস্ত উপজেলায় এনআইডি পরিসেবা ব্যাহত হচ্ছে। তবে আশা করা যায় যে, আগামী রোববার থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে এনআইডির সেবা চলবে বলে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে গতকাল প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি পাঠানোর কথা থাকলেও তা পাঠানো হয়নি। এতে আরও কিছু যৌক্তিক দাবি যুক্ত হওয়ায় চিঠিটি পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা। সেই চিঠি উন্নতির পর আবারও ইসি সচিবকে চিঠি দেবে আন্দোলনকারীরা। ইসি সচিব সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। এরপর প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি পাঠানো হবে।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ও তাদের দাবি যৌক্তিক বলে মনে করে। কারণ চলমান “আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম টু এনহ্যান্স অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) (ফেজ ২) প্রকল্পের জনবল এত বছর ধরে কাজ করে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করেছে। যাতে তাদের দাবি মেনে নেওয়া যায়। সে ব্যাপারে আমরা নজর রাখবো।
উল্লেখ্য, সরকার সম্প্রতি ইসি থেকে এনআইডি বিভাগকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের আওতায় আনার জন্য আলাদা আইন করেছে। কিন্তু এতে বলা হয়েছে, সরকার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যবস্থা না নিলে ইসির অধীনেই থাকবে। সরকার যখন আইন করে তখন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ ও সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা এনআইডিকে নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার পক্ষে ছিলেন। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, যেহেতু ভোটার তালিকার ভিত্তিতে এনআইডি দেওয়া হয়, তাই ইসির অধীনে প্রক্রিয়া হওয়া নিরাপদ।
তদুপরি, ইসির এই কার্যক্রমের জন্য দেড় শতাব্দীরও বেশি দক্ষতা এবং অবকাঠামো রয়েছে। অন্য বিভাগের অধীনে নেওয়া হলে নতুন জনবল ও অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। এতে রাষ্ট্রের খরচ ও নাগরিকদের দুর্ভোগ বাড়বে। অন্যদিকে এনআইডির অনেক কর্মচারী ইতিমধ্যে তাদের কর্মজীবনের প্রায় অর্ধেক শেষ করেছেন। অনেকে মনে করেন তাদের প্রকল্প থেকে রাজস্ব না নেওয়া অমানবিক।