যাদের নির্দেশে ছাত্র-জনতার উপর গুলি করেছেন, জানালেন এসআই মজনু

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি), একটি উপ-উপাদান (এসআই) ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৪ টার দিকে নবাবগানজ পুলিশ ফাঁড়ির তাদের ফেসবুক আইডির স্ট্যাটাস দিয়েছে এস আই মজনু।
সেখানে দাবি করেছে যে ১৯ জুলাই, রংপুর রেঞ্জের উপ -মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং পুলিশ সুপার (এসপি) নিজেরাই শিক্ষার্থীদের আগুন ধরিয়ে দেয়, গুলি করেন। তবে পুলিশ সদস্য এখনও পর্যন্ত পাঁচটি মামলায় তাঁদের নাম না আসায় ক্রোধ প্রকাশ করেছেন।
এসআই মজনুর ফেসবুক আইডি নাম 'মিসির আলী'। সেই আইডি থেকে তিনি সাংবাদিকদের কাছে লিখেছিলেন - প্রিয় সাংবাদিক/ আইনজীবী ভাই। আদালতের বিরুদ্ধে প্রতিদিন মামলা করা হচ্ছে। রেঞ্জ ডিআইজ, জেলা সুপারিনটেনডেন্ট, বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি রংপুর, যিনি শহরের বাজারের সামনে গুলি করেছিলেন। এবং বিষয়টি হ'ল যারা দৃশ্যে ছিলেন না তাদের নামে মামলা হচ্ছে।
স্ট্যাটাসে উল্লেখ করা হয় - অনেক ফুটেজ, এতগুলি মিডিয়া কভারেজ এটি উদ্দেশ্যমূলক পদ্ধতিতে করছে। সবার কাছে অনুরোধ যে ডিফিক্টের অধস্তনদের বিরুদ্ধে মামলাটি হওয়ায় বিষয়টি প্রকাশিত হবে।
সেখানে আরও লেখা হয়েছে - উশ্বর শক্তিশালী। এসপি-ডিআইজি-জেলা প্রশাসক-বিভাগীয় কমিশনারও এরা প্রভারশালী এবং প্রতাপশালী হওয়ায় উপস্থিত থেকে গুলি করেও মামলা থেকে তারা অব্যাহতি ছিলেন। এবং আমাদের মামলায় হয়রানী করা হচ্ছে, এমনকি ঘটনার দিন ডিউটিতে না থেকেও।
এসআই মজনু রংপুর জেলা এবং মেট্রোপলিটন পুলিশের ফেসবুক পোস্টেও শেয়ার করেছেন। তার পর থেকে এই পোস্টটি রংপুরে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে।
ফেসবুক পোস্ট সম্পর্কে জানতে এসআই মজনুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি আমার বক্তব্য নিজের ফেসবুক আইডিতে দিয়েছি। শত শত ফুটেজ আছে আমার কাছে। গত ১৯ জুলাই সিটি বাজার এলাকায় ছিল জেলা পুলিশের পোশাকধারীরা। অথচ তাদের নামে মামলা হচ্ছে না। সেখানে মেট্রোপলিটন পুলিশের কেউ ছিল না।
রংপুর পুলিশ সুপার জানিয়েছেন যে, শাহজাহানের কাছে যাওয়ার সময় তিনি বলেছিলেন যে এরকম কোনও ফেসবুক পোস্ট দেখা যায়নি।
এরপর ব্যাপক বিদ্রোহের কারণে, বাধ্যতামূলক অবসর গ্রহণের কারণে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির সাথে কোন যোগাযোগ করা যায়নি।
এটা লক্ষকর যে পলিটেকনিকের ছাত্র আবদুল্লাহ আল -তাহির ১৯ জুলাই রংপুর সিটি বাজারের সামনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের সাথে বিরোধে নিহত হয়েছেন। এরপরে তাহির হত্যার মামলায় এসআই মজনুকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
রংপুর আদালতের ছাত্র অভ্যুত্থানের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত দায়ের করা পাঁচটি হত্যার মামলার নথি পুলিশ আইজিপি, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, মেট্রোপলিটন ডিসি, এসি, ওসি, এসআই, কনস্টেবল দ্বারা যাচাই করা হয়েছে। সম্পন্ন করা হয়েছে। এই পাঁচটি মামলার কোনওটিই রংপুর জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসন এবং বিভাগীয় প্রশাসনের কেউ।