যাদের নির্দেশে বন্ধ ছিলো দেশের ইন্টারনেট, বেরিয়ে আসল তথ্য
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের নির্দেশে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠনের পরের দিন প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রশাসনিক অনুমোদন ছাড়াই সাবেক মন্ত্রীর মৌখিক নির্দেশে ১৫-১৬ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই এবং ৫ আগস্ট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ ও সক্রিয় করা হয়েছিল। জুনায়েদ আহমেদ পলক, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে সব কিছু করা হয়।
এ ছাড়া পলক বলেন যে ডাটা সেন্টারে আগুন লাগার কারণে ইন্টারনেট সেবা বন্ধু ছিল। তারপর ২০ জুলাই যখন ডাটা সেন্টারের অফিসে যান সব কিছু দেখতে ঠিক তখনি বেরিয়ে আসে আসল তথ্য।
একটা প্রবাদ আছে যে সত্য কোনদিন চাপা থাকে না। গত ২০ জুলাই সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন যে মুলত গুজব থেকে রক্ষা করার জন্য সব ধরনের ইন্টানেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
এই যদি হয় ব্র্রডব্যান্ড ইন্টানেট এর অবস্থা তাহলে কেন বন্ধ ছিল মোবাইল ডাটা। এ প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মোঃ মহিউদ্দিন আহমদ বলেন যে, সাবেক প্রতিমন্ত্রীর আদেশে সব কিছু বন্ধ করা হয়।
একটু সাধারণ হিসেব করলে দেখা যায় যে, মুলত ইন্টানেট আসে সাবমেরিন ক্যাবল >>> আইআইজি ক্যাবল >>> আইএসপি >>> বাসাবাড়িতে।
সেই দিন ইন্টারনেট আসার মুল রাস্তায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এদিকে সবাই যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পেরে ব্যবসা বাণিজ্য, ফ্রিল্যানসার, সবাই যখন সমস্যায় ডুবে আছে তখনও সাবেক প্রতি মন্ত্রী ফেসবুক, ইউটিউবে সচল। তিনি বলেন যে, সরকারি কাজের জন্য সচল ছিলেন তিনি।