মুখে স্বীকার না করলেও তাসকিনকে দুর্ভাগা বলা যেতেই পারে। ক্যারিয়ারের মধ্যে বারবার বাধা হয়ে এসেছে ইনজুরি দুর্দান্ত ছন্দে থাকলেও বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে আবারও ইনজুরি সংখ্যা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পান তিনি। এরপর শেষ টি টোয়েন্টির আগে ওয়ার্ম আপে অস্বস্তি। প্রথমে মনে হয়েছিল হয়তো জটিল কিছু নয়৷ কিন্তু পরে জানা গেল সাইড স্ট্রেন অর্থাৎ মাংসপেশিতে চোট সেটা কতটা গুরুতর তা জানা যাবে রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই।

তাসকিনের ইঞ্জুরি নিয়ে কথা বলেন বিসিবি বস পাপন, তিনি বলেন ওর ইনজুরি আছে এখন আমাদের রিপোর্ট পাওয়ার পরে আমাদেরকে দেখতে হবে ও কতদিন লাগতে পারে। তাও যদি তাড়াতাড়ি ওকে হেল্প করার কোনও সুযোগ আছে কি না। ধরানোর মতো দুই থেকে তিন সপ্তাহ হয়তো ব্রেক দেওয়া হবে। সো যদি এটা দুই সপ্তাহ হয় তাহলে কী করবো? যদি তিন সপ্তাহ হয় তাহলে কী করব? দরকার হলে ইউএসএ ডাক্তারদের সাথে কথা বলব যদি এক্সপ্যান্ড করা যায় ওই দিনটা তাহলে এক জিনিস। আর যদি দেখা যায় না আসলে দেরী হবে তাহলে তো আমাদের অন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

শেষ ম্যাচে খেলা না হলেও আট উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেছেন তাসকিন আহমেদ তবে পুরস্কারটা নেওয়া হয়নি। আনুষ্ঠানিকভাবে তার হয়েছে। ট্র্যাফিক গ্রহণ করেন টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত। এর আগে তাসকিনকে ছুটতে হয়েছে ডাক্তারের চেম্বারে যেতে হয়েছে এক্স রে আর এমআরআই দিয়ে দিয়ে শেষ। অবশ্য গোটা কেরিয়ার জুড়েই তো ইঞ্জুরির সঙ্গে সখ্যতা ঢাকা এক্সপ্রেসের। ইনজুরির কারণে তাসকিন মিস করেছিলেন ২০১৯ এর বিশ্বকাপ।

গত ওয়ান ডে বিশ্বকাপে কাধের চোট ভুগিয়েছে তাঁকে৷ যে কারণে খেলা হয়নি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে সিরিজও। তবুও ভাগ্যকে মেনে নিয়েছেন তাসকিন। পাপন আর বলেন রিপোর্টটা আসলে এগজ্যাক্টলি বোঝা যাবে মোটামুটি, এখনও বলা যাচ্ছে না।

বিপিএল দিয়ে চলতি বছর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার পর থেকে টানা ম্যাচে তাসকিন আহমেদ প্রশ্ন উঠেছে তাঁর ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়েও শেষ পর্যন্ত তাসকিনকে পাওয়া না গেলে কী হবে? উত্তরে বিসিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্তা শুধু বলেছেন, বিগ ব্যাশ এই বোধোদয় এটা আগে হলে হয়তো এড়ানো যেত বর্তমান পরিস্থিতি।