যুব বিশ্বকাপ থেকে জাতীয় দলে অভিষেক, সবার ওপরে বাংলাদেশ!
যুব বিশ্বকাপ খেলোয়াড় তৈরির কারখানা অন্তত বাংলাদেশের জন্য উদ্বিগ্ন কারন তবে এই তথ্য একেবারেই সঠিক। যুব বিশ্বকাপ ২০০৬ সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল বা মুশফিকুর রহিম আজ বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্তম্ভ। মনে করা হয়, ২০২০ সালের বিশ্বকাপ যুব কাপ জয়ী তাওহীদ হৃদয়, শরিফুল ইসলাম বা তানজিদ তামিম ভবিষ্যতের তারকা।
কিন্তু সারা বিশ্বে ছবিটা এমন নয়। যুব বিশ্বকাপ থেকে উঠে আসা তারকাদের জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসির এক পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে। এখন পর্যন্ত যুব বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ৪১ শতাংশ খেলোয়াড় জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। এটি টেস্ট খেলুড়ে বাকি দেশগুলির তুলনায় অনেক বেশি।
এই তালিকার পরেই রয়েছে আফগানিস্তান। যুব বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী তারকাদের ৩৮% তাদের দেশের হয়ে খেলেছেন। সম্প্রতি এই হার বেশি। সদ্য শেষ হওয়া যুব বিশ্বকাপে খেলেছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের স্বজনরা খেলছেন জাতীয় দলে। দেশের প্রায় সব ক্রিকেটারই যুব ক্রিকেটের অংশ। এরপরই রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নাম। যুব বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ৩৬% তারকা দ্বীপরাষ্ট্রের সাথে তাদের অভিষেক করেছিলেন। এই তালিকায় আছেন ক্রিস গেইল, রামনরেশ সারওয়ান থেকে শুরু করে শিমরন হেটমায়ারের মতো তারকারাও।
জিম্বাবুয়ের ৩৪% শতাংশ তারকা যুব বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রবেশ করেছে। এরপর রয়েছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার নাম। যুব বিশ্বকাপের ৩৩% তারকা এই দুই দেশের জাতীয় দলে অভিষেক করেছেন। নিউজিল্যান্ডের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৩২ শতাংশ। ৩১% তারকা আইরিশ স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছিলেন যেটি এক বছর আগে টেস্ট অর্জন করেছিল।
ইংল্যান্ড এবং ভারতের হয়ে যথাক্রম ২৮ ও ২৭ শতাংশ যুব বিশ্বকাপ খেলা তারকা পরবর্তীতে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। বিরাট কোহলি, শিখর ধাওয়ান, যুবরাজ সিং কিংবা মোহাম্মদ কাইফের মত অনেকেই জাতীয় দলে আলো ছড়িয়েছেন। আবার উন্মুক্ত চাঁদের মতো অনেকেই ঝরে গিয়েছেন।
যুব বিশ্বকাপ থেকে জাতীয় দলে অভিষেকের তালিকায় সবার নিচে আছে অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার ২০ শতাংশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মোটে ১৮ শতাংশ যুব বিশ্বকাপ তারকা পরে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন।