অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জনের টিকিট পেতে আর্জেন্টিনাকে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে জিততে হয়েছে। অন্যদিকে ব্রাজিলের জন্য সমীকরণটা একটু সহজ ছিল। ড্র হলেই সেলেসাওরা অলিম্পিকে যাবে। আর্জেন্টিনা শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিতেছে যা অলিম্পিক বাছাইপর্বের নকআউটে পরিণত হয়েছিল। জীবন-মৃত্যুর ম্যাচে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২৩ জিতেছে ১-০ গোলে। অলিম্পিক নিশ্চিত হওয়ার সাথে সাথে, একটি পুরানো প্রশ্ন পুনরুত্থিত হয়েছে লিওনেল মেসি কি প্যারিসে খেলবেন?

খুব বেশি আগের না তিন বছর আগে লিওনেল মেসির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে একমাত্র অর্জন ছিল অলিম্পিক স্বর্ণপদক। এই সাফল্য ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে এসেছিল। মেসি এবং ডি মারিয়া ছিলেন আর্জেন্টিনার সাফল্যের মূল কারিগর। বেইজিংয়ে ফাইনালে মেসির বাড়ানো পাসে একমাত্র গোলটি করেন ডি মারিয়া। ১৬ বছর পর আবার সেই উত্থানের মঞ্চে দেখা যাবে মেসি ও ডি মারিয়া জুটিকে। এই আভাস ইতিমধ্যে তাদের প্রাক্তন সতীর্থ মাশ্চেরানো জানিয়েছেন করেছেন।

২০০৮ সালে এই ইভেন্টে মাশ্চেরানো উপস্থিত ছিলেন। তিনি একজন প্লেয়ার ছিলেন। আর্জেন্টিনা দলের সাবেক মিডফিল্ডার যিনি এখন অলিম্পিক কোচিংয়ে যোগ দিয়েছেন বলেছেন মেসির জন্য অলিম্পিকে খেলার দরজা খোলা। ব্রাজিলের বিপক্ষে জয়ের পর তিনি বলেছিলেন: “সবাই ইতিমধ্যেই জানে যে আমি মেসির সাথে কতটা বন্ধুত্বপূর্ণ। তার মতো খেলোয়াড়দের জন্য আমাদের সাথে যোগ দেওয়ার দরজা খোলা রয়েছে। অবশ্যই এটি তার উপর নির্ভর করে।

মাশ্চেরানো যোগ করেছেন, তিনি আমাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং খুব খুশি হয়েছেন। আমরা সবাই জানি লিও জাতীয় দলের বড় ভক্ত এবং যুব দলগুলোর দিকেও তার চোখ তাকে। অলিম্পিক গেমসে আমাদের সঙ্গে যোগ দিলে আনন্দিতই হবো।'

অলিম্পিকের আসরে অনূর্ধ্ব-২৩ দল খেলানোর নিয়ম। তবে একাদশে সিনিয়র তিনজন খেলোয়াড়কে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে প্রতিটি দল। তিন জনের সেই কোটাতে মাশ্চেরানো চান তার সাবেক দুই সতীর্থ মেসি ও ডি মারিয়াকে।

সম্প্রতি আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মেসি ও ডি মারিয়াকে নিজের দলে পাওয়ার আগ্রহ দেখান সাবেক এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার, 'দুজন বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে দলে পাওয়া অবশ্যই গর্বের বিষয় হবে। এমন খেলোয়াড় আছে, যারা কিছু বিষয় নির্ধারণ করে দিতে পারে। দলে লিওনেল মেসি ও অ্যানহেল ডি মারিয়াকে পাওয়া হবে সম্মানের ব্যাপার।'