শীতের মাঝেই এই সব জেলায় টানা তিন দিন বজ্রসহ বৃষ্টির খবর দিলো আবহাওয়া অফিস
কয়েকদিন ধরে কুয়াশার মধ্য দিয়ে সূর্যের দেখা পাওয়ায় দিনের বেলায় শীতের অনুভূতি অনেকটাই কমে গেছে। তবে সন্ধ্যার পর আবার শীতের তীব্রতা বাড়ে। স্বস্তির খবর হলো, দেশের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ চলে গেছে। কিন্তু আবহাওয়া অধিদফতর নতুন দুঃসংবাদ দিল: টানা তিন দিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় বজ্রঝড় বয়ে যাচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরায় ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ের তিনটুলিয়ায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, টানা তিন দিন দেশের আটটি বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া আগামী পাঁচদিন বৃষ্টি হতে পারে।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এই সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) খুলনা, ঢাকা, রাজশাহী, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এই সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।
এছাড়া শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এই সময়ে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আজ বুধবার থেকে পরবর্তী তিন দিনে (৭২ ঘণ্টা) শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন চলাচল অস্থায়ীভাবে ব্যাহত হতে পারে।