মাঝ আকাশে বিমানে সাপের আক্রমণ, তারপর যা হলো
হলিউডের বিখ্যাত সিনেমা ‘স্নেক অন দ্য প্লেন’ অনেকেই দেখেছেন। কিন্তু যাত্রীরা হয়তো কখনো কল্পনাও করেননি তাদের এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে। এয়ারএশিয়াতে ফ্লাইট চলাকালীন, সিনেমার দৃশ্যের মতোই বিমানে একটি সাপ দেখা দেয়।
১৩ জানুয়ারি, এয়ারএশিয়ার একটি ফ্লাইট থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ফুকেটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। এটি একটি সাপ যা হঠাৎ আকাশের মাঝখানে সমতলে দেখা দেয়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা।
বিমানে সাপ জানতে পেরে এক বিমানকর্মী প্রথমে একটি বোতল নিয়ে এসে সাপটিকে তার ভেতর বন্দি করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সরু সাপটি সে ফাঁদে পা দেয়নি। পরে একটি বিশাল ব্যাগ এনে সাপটিকে ওই ব্যাগের খোলা মুখের কাছে আনেন বিমানকর্মী। তারপর সাপটি সেই ব্যাগের মধ্যে পড়ে যেতেই ব্যাগের মুখ চেপে ধরেন তিনি।
বিমানের ভেতর সাপ আরও আছে কিনা এই চিন্তায় আতঙ্কে ছিল যাত্রীরা। তবে পরে তাদের আর কোনো সাপের মুখে পড়তে হয়নি।
এদিকে বিমানে সাপ দেখার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও অনেক ফ্লাইটে এমন ঘটনা ঘটেছে। গত ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ পরিষেবা সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি বিমানের ভেতর জীবন্ত সাপ পাওয়া গেছিল। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য থেকে নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের দিকে যাচ্ছিল। নিউ জার্সির বিমান বন্দরের কাছে পৌঁছানোর পর যখন সেটি নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেসময়ই উড়োজাহাজের বিজনেস ক্লাসের কয়েকজন যাত্রী সেই উড়োজাহাজের মেঝেতে সাপটিকে দেখতে পান। সাপটি গাটার স্নেক প্রজাতির। এই প্রজাতির সাপ সাধারণত ১৮৮ ইঞ্জি থেকে ২৬ ইঞ্চি পর্যন্ত দীর্ঘ হয়। তবে এটি একটি নির্বিষ প্রজাতির সাপ।
তারও আগে ২০১৬ সালে মেক্সিকোর সরকারি বিমান পরিষেবা সংস্থা অ্যারোমেক্সিকোর একটি উড়োজাহাজ আকাশে থাকা অবস্থায় একটি বড় সাপ পাওয়া গিয়েছিল ভেতরে। সেটি ছিল বিষধর গ্রিন ভাইপার প্রজাতির।
তবে কোনো ঘটনাতেই উড়োজাহাজের কোনো যাত্রী বা ক্রু হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।