পাকিস্তানের পেসারদের গতি ফুরিয়ে গেছে, মিচেল স্টার্ক

শোয়েব আখতার, ওয়াকার ইউনিস, ওয়াসিম আকরাম থেকে শুরু করে ওয়াহাব রিয়াজ, উমর গুল, মোহাম্মদ আমির বা সম্প্রতি হারিস রউফ- পাকিস্তান ক্রিকেটে কখনোই পেস তারকাদের অভাব হয়নি। পেসার উৎপাদনে পাকিস্তান উপমহাদেশের উর্বর ভূমি হিসেবে পরিচিত। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে অনুকূল উইকেটেও গতির ঝড় তুলতে ব্যর্থ হন শাহীন শাহ আফ্রিদি। পাকিস্তানি পেসারদের এমন ধীরগতির বোলিং দেখে অবাক অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক।
এর আগে পাকিস্তানি পেসারদের গতি নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন দেশটির কিংবদন্তি পেসার ওয়াকার ইউনুস। প্রশ্ন তুলেছিলেন, পাকিস্তানি পেসারদের গতি কোথায়? এবার একই সুরে সুর মেলালেন স্টার্কও। রোববার স্টার্ক জানিয়েছেন, কেবল তিনি একা নন, অবাক হয়েছেন অস্ট্রেলিয়া দলের সবাই।
আগামী পরশু ‘বক্সিং ডে টেস্ট’-এ মুখোমুখি পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া। মেলবোর্নে সিরিজের দ্বিতীয় সেই টেস্টের আগে আজ রোববার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন স্টার্ক। সেখানে পার্থ টেস্ট প্রসঙ্গ আসতেই স্টার্ক বলেছেন, ‘যেখানে আপনি ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতি দেখে অভ্যস্ত, সেখানে পাকিস্তানি বোলারদের এমন গতি দেখে সবাই কিছুটা অবাক।’
যদিও গতি কমে গেছে দেখেই পার্থ টেস্টে পাকিস্তান হেরেছে, এমনটা মানতে নারাজ স্টার্ক, ‘গতি কমে যাওয়া মানেই সব শেষ হয়ে যাওয়া নয়। তবে এটা (গতি) অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ এবং কাজে দেয়।’
পাকিস্তান অবশ্য অস্ট্রেলিয়া সিরিজে পেসারদের সবাইকে পাচ্ছেও না। চোটের কারণে নেই নাসিম শাহ। আরেক পেসার হারিস রউফ টেস্ট সিরিজ থেকে নাম প্রত্যাহার করে খেলছেন বিগব্যাশে। পাকিস্তানের পেস আক্রমণে পরিচিত মুখ কেবল শাহিন আফ্রিদি। কিন্তু হাঁটুর চোট কাটিয়ে ফেরার পর শাহিনের বলেও নেই আগের সেই গতির ঝলক।
পার্থ টেস্টে গড়ে ১৩০ কিলোমিটারের আশপাশের গতিতে বোলিং করেছেন শাহিন। দ্বিতীয় ইনিংসে তা নেমে যায় ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটারের নিচে। আরেক পেসার খুররম শেহজাদ পুরো টেস্টে মিডিয়াম পেইসে বল করেছেন। অভিষিক্ত আমির জালালের কাছ থেকে মাঝেমধ্যে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতির বোলিং দেখা গেছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার পেস ত্রয়ী স্টার্ক-হ্যাজলউড-কামিন্স ছিলেন সম্পূর্ণ বিপরীতে। অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা প্রথম টেস্টে গড়ে ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটারের আশপাশের গতিতে বোলিং করেছেন।
পেসবান্ধব উইকেটে পাকিস্তানি পেসারদের এমন দৈন্য দেখে দেশটির কিংবদন্তি ওয়াকার ইউনুসও সম্প্রতি ইএসপিএনের ‘অ্যারাউন্ড দ্যা শো’-তে হতাশার কথা বলেছেন, ‘একটি বিষয় আমাকে ভাবাচ্ছে। যখনই আমরা অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে আসি, ফাস্ট বোলাররা উত্তাপ ছড়ায়। কিন্তু এবার সেটা দেখা যাচ্ছে না। আমি মিডিয়াম পেসার দেখছি, স্লো-মিডিয়াম পেসার দেখছি, অলরাউন্ডার দেখছি। কিন্তু সত্যিকারের গতি দেখছি না। মানুষ পাকিস্তানের খেলা দেখতে আসত ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতির বোলিং দেখতে। কিন্তু সেটা এখন দেখা যাচ্ছে না। এটা নিয়েই আমি চিন্তিত।’
কেবল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে নয়, পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটেই আগের মতো গতি তারকা উঠে আসছে না আজকাল। এ নিয়ে উদ্বেগ ওয়াকারের, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটেও তেমন জোরে বোলিং করা পেসার দেখতে পাচ্ছি না। এ মুহূর্তে কয়েকজন চোটে আছে, সেটা আমি বুঝতে পারছি। কিন্তু অতীতে দেখা যেত, আমাদের প্রচুর পেসার হাতে আছে, তাদের যেকোনো সময় খেলানো যেত। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, এমনটা আজকাল দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়টা উদ্বেগের।’
- বাংলাদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ! এক রাতেই বদলে গেল সৌদির ভিসা নীতিমালা
- চরম দু:সংবাদ : সৌদির কালো তালিকায় বাংলাদেশি
- বাজুসের রাতারাতি সিদ্ধান্তে সোনার দাম তলানিতে,জেনেনিন ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- ১ বা ৩ কোটিতে নয় আকাশ ছোয়া মুল্যে আইপিএলে দল পেলেন মুস্তাফিজ
- বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো পার্থর স্ত্রীকে
- ৬ জয় ও ৩ ড্রয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিল পাল্টে দিলো ব্রাজিল
- ভিসা নিয়ে বাংলাদেশকে সুখবর পাঠালো যে দুই দেশ
- প্রকাশিত হলো আইপিএলের নতুন সময়সূচি ও ফাইনাল ম্যাচের সময়
- সুখবর প্রবাসীদের জন্য : নতুন ভিসা চালু করল আমিরাত
- শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় : সর্বশেষ আপডেট
- টাকা ছাপিয়ে বাজেট নয়! চমকে দেওয়া ঘোষণা দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
- বড় সুখবর পেঁয়াজের বাজারে
- আবারও পাল্টে গেলো সোনার দাম
- আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ঘোষণায় ভারতের মাথায় হাত
- ১০ বলে ২৭ রান , ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশের নাটক