জানা গেলো, ফাইনালে ভারতের হারের আসল কারন
টানা দশ ম্যাচের দাপুটে পারফর্মেন্স। একাদশে টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যান ও বোলার। নিজস্ব কন্ডিশনের সঙ্গে লাখো দর্শকের গগনবিদারী সমর্থন। এতকিছু পক্ষে থাকার পরও শিরোপা হাতছাড়া ভারতের। কী এমন কারণে হৃদয় ভাঙল রোহিত-কোহলিদের!
পাওয়ার প্লেতে ৮০ রান দেখে মনে হয়েছিল, আরেকটি দাপুটে পারফর্ম্যান্স করতে যাচ্ছে ভারত। কিন্তু ৮১ রানে তিন উইকেট পতনের পর বদলে যায় ভারতের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ। ইনিংস নির্মাণে রক্ষণাত্মক কৌশল বেছে নেন বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল।
পিচ কিছুটা মন্থর হয়ে আসার অজুহাতে ভয়ডরহীন ভারতকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই কোহলি আউটের পর তার বা লোকেশের অর্ধশতের কার্যকর প্রভাব দৃশ্যমান হয়নি।
রাহুল দ্রাবিড়ের ভাষ্য, আমরা সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছি। আমরা ৩০ থেকে ৪০ রান কম করেছি। ২৮০-২৯০ রান করতে পারলে লড়াই হত। অস্ট্রেলিয়া খুব ভালো বল করেছে। আমাদের বাউন্ডারি মারতে দেয়নি। রোহিত আউট হওয়ার পর বিরাট কোহলি এবং লোকেশ রাহুল ইনিংস গড়ার চেষ্টা করছিল।
টুর্নামেন্টে আগে ব্যাটিং করে যেখানে ভারতের সর্বনিম্ন রান ৩২৬, সেখানে ফাইনালের জন্য কি না বাছাই করল মরা পিচ! ২৪০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার মত শিরোপা অভিজ্ঞ দলের বিপক্ষে জয়ের আশা করা বোকামি। এই পিচ নির্বাচনই স্বাগতিকদের জন্য বুমেরাং হয়েছে মনে করেন রিকি পন্টিং, নাসের হুসেইন ও মাইকেল ভনের মত পাকা মস্তিষ্ক।
কামিন্সের ভাষ্য, পিচটি বেশ ভালো। এটি বেশ স্থির ছিল। মূলত কোনো বাউন্স ছিল না। তবে আমি মনে করি না, বাউন্স টুর্নামেন্টের অন্য কোনো কিছু থেকে আলাদা ছিল। আমি যতটা ভেবেছিলাম, তেমন স্পিন করেনি।
ভারতের কোনো প্ল্যান ‘বি’ দেখা যায়নি। বিপরীতে চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আসা অজিদের যেন সবই মুখস্ত। কামিন্সের বোলার রোটেশন তার একটা উদাহরণ। ভারতের অতি আত্মবিশ্বাস আর আবেগের বিপরীতে অজিদের পেশাদারিত্বের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন, বৈতরণী পার করতে হয়েছে সহায়ক।
আর সবকিছু ছাড়িয়ে দুই পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাভিস হেড। এই বড় মঞ্চের হেডেই মাথায় ষষ্ঠ মুকুট ওঠে অজিদের। নীল সমুদ্রের বুক চিরে তাণ্ডব চালায় হলুদ উৎসব!