| ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২

অবাক করা তথ্যঃ যে কারনে বিশ্বকাপে ভারতের কাছে বার বার হারে পাকিস্তান

ক্রিকেট ডেস্ক . স্পোর্টসআওয়ার২৪
২০২৩ অক্টোবর ১১ ১৬:২৮:১৮
অবাক করা তথ্যঃ যে কারনে বিশ্বকাপে ভারতের কাছে বার বার হারে পাকিস্তান

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি নিঃসন্দেহে চলমান ১৩তপম বিশ্বকাপের অন্যতম উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ। অন্যান্য ম্যাচ যতই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক না কেন, সারা বিশ্বের ক্রিকেট ভক্তদের চোখ সেই একটি ম্যাচের দিকেই। সবাই অধীর আগ্রহে আছে ১৪ অক্টোবরের জন্য অপেক্ষা করছে।

শুধু মাঠেই নয়, টেলিভিশনেও লাখো চোখ তাকিয়ে থাকে তাদের প্রিয় তারকার দিকে। জয়ী দলের মধ্যে যেমন একটা অন্যরকম স্বস্তি থাকে, তেমনি হেরে যাওয়া দলও অভিযোগের তোড়জোড় করে।

তবে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞতা ভারতের। কারণ 1992 সালে সিডনিতে প্রথমবারের মতো সাক্ষাতের পর পাকিস্তান সাতবার একটিও ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে পারেনি।

আগামী শনিবার (১৪ অক্টোবর) আহমেদাবাদে বাবর আজমের দল অন্তত এই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে বেরিয়ে আসতে চায়।

এটা কি ভাগ্য? সাত টসের মধ্যে ভারত পাঁচবারই জয়ী হয়ে বাড়তি কোনো সুবিধা পেয়েছে কিনা? পাকিস্তান কি চাপের মধ্যে ভারতের চেয়ে বেশি ভেঙ্গে পড়ে? এই প্রশ্নগুলো প্রতিবারই উঠে আসে।

পাকিস্তানী কিংবদন্তী ওয়াসিম আকরাম বলেছেন, ‘বিশ্বকাপে আমরা এ পর্যন্ত সাতটি ম্যাচ খেলেছি এবং আমাদের প্রতিবেশী দেশ প্রতিদিন, প্রতি সেকেন্ডে এই ৭-০ ব্যবধান আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়। সত্যি বলতে কি, এই পরাজয়ের কোনো একটি বিশেষ কারণ এখনো আমি বের করতে পারিনি।’

ভারতের কাছে চারবার পরাজিত দলের অন্যতম সদস্য ইনজামাম-উল-হক বিশ্বাস করেন চাপ একটি অন্যতম বড় কারণ। তিনি বলেন, ‘হতে পারে চাপ সামলে ওঠার ব্যপারে ভারত আমাদের থেকে এগিয়ে ছিল। তাছাড়া টস জয়ের ব্যাপারেও তারা সুবিধা পেয়েছে।’

যদিও পাকিস্তান দুটি ম্যাচে টসে জিতেও ভাগ্য ফেরাতে পারেনি। ২০০৩ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরিয়নে শচীন টেন্ডুলকার ও ২০১৯ সালে ম্যানচেস্টারে রোহিত শর্মার ব্যাটিংয়ের কাছে পাকিস্তানকে হার মানতে হয়। এই দুটি ম্যাচে টসে জিতে পাকিস্তান ভারতকে প্রথম ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তবে ২০১৯ সালের ম্যাচটিতে হারের জন্য অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের বাজে কিছু সিদ্ধান্তকে দায়ী করা হয়।

টুর্নামেন্টের ফরমেট অনুযায়ী পাকিস্তান ও ভারত প্রথম চার বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়নি। ১৯৮৭ সালে যৌথ আয়োজক হিসেবে তাদের সামনে সুযোগ ছিল প্রথমবারের মতো ফাইনালে মুখোমুখি হবার। কিন্তু উভয় দলই নিজ নিজ সেমিফাইনাল ম্যাচে পরাজিত হয়েছিল।

১৯৯২ সালে সিডনিতে প্রথমবারের মত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল দুইটি মুখোমুখি হয়। লো স্কোরিং ম্যাচটিতে পাকিস্তান ২১৭ রানে তাড়া করতে গিয়ে ৪৩ রানে পরাজিত হয়েছিল। জাভেদ মিঁয়াদাদের ব্যাট হাতে লাফ দেয়া ও ভারতীয় অধিনায়ক কিরন মোরেকে নকল করে দেখানোর জন্য ম্যাচটি এখনো স্মরণীয় হয়ে আছে। যদিও ওই পরাজয় ভুলে ইমরান খানের দল প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তুলেছিল।

চার বছর পর ভারতের মাটিতে বেঙ্গালুরুতে পাকিস্তান ৩৯ রানে পরাজিত হয়। এই পরাজয়ের পর পাকিস্তানে ফিরে ব্যপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল পুরো দলকে। এমনকি অধিনায়ক ওয়াসিম আকরামের বিপক্ষে ইনজুরি নিয়ে প্রতারণা করারও অভিযোগ উঠেছিল।

সেই স্মৃতি সামনে এনে ওয়াসিম বলেন, ‘কেউই ওই পরাজয়টা মেনে নিতে পারেনি। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আমাদের বাড়ি ফিরতে হয়েছে। বেশ কয়েকদিন আমরা কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পারিনি।’

১৯৯৯ বিশ্বকাপে ভারতের কাছে ৪৭ রানে ও পরবর্তীতে বাংলাদেশের কাছে হতাশাজনক পরাজয়ের পর ওয়াসিম আকরামের দলের বিপক্ষে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগও উঠেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আসরে পাকিস্তান রানার্স-আপ হয়ে কিছুটা মান রক্ষা করে।

২০০৩ বিশ্বকাপে ওয়াসিম আকরাম ওয়াকার ইউনুস ও শোয়েব আখতারকে নিয়ে সাজানো দুর্দান্ত পেস আক্রমণ নিয়ে পাকিস্তান ৬ উইকেটে ভারতের কাছে পরাজয় বরণ করতে বাধ্য হয়।

২০১১ সালে মোহালিতে হাইভোল্টেজ সেমিফাইনালে ভারত ২৯ রানে জয়ী হয়েছিল। ম্যাচটি মাঠে বসে উপভোগ করেছেন ভারত ও পাকিস্তানের তৎকালীন দুই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও ইউসুফ রাজা জিলানি।

২০১১ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি বলেছেন, ‘সত্যি বলতে সবসময় আমরা কেন পরাজিত হই তার কোনো কারণ আমার জানা নেই। সেমিফাইনালে পৌঁছানোর আগে আমরা দারুণ খেলেছি। কিন্তু মোহালিতে গিয়ে পরজয় বরণ করতে হয়েছে। ওই সময় আমাকে অনেক কটু কথা শুনতে হয়েছে। কিন্তু একজন অধিনায়ক হিসেবে আমি খেলোয়াড়দের বলেছিলাম তাদের সেরাটা দিতে।’

২০১৫ বিশ্বকাপে এডিলেডে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে ভারত ৭৬ রানে জয়ী হয়। ২০১৯ সালে ম্যানচেস্টারে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে আবারও পাকিস্তান ৮৩ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

শনিবার আহমেদাবাদে এই পরিসংখ্যান কি ৮-০ হবে নাকি ৭-১’এ নিয়ে স্বস্তি ফেরাবে পাকিস্তান শিবিরে, তা সময়ই বলে দিবে। যদিও আশাবাদী ওয়াসিম বলেছেন, ‘এই খরা একদিন কাটবেই। বর্তমান দলটিকে নিয়ে আমি আশাবাদী। তাদের মধ্যে সব ধরনের ক্ষমতা আছে। পাঁচ পরাজয়ের পর ২০২১ সালে দুবাইয়ে আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পরাজয়ের খরা কাটিয়েছিলাম। এখন ৫০ ওভারের ম্যাচে নিজেদের ফিরিয়ে আনার অপেক্ষা।’

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

ক্রিকেট

৯.৫ ওভার শেষ ৪ উইকেট হারালো বাংলাদেশ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর

৯.৫ ওভার শেষ ৪ উইকেট হারালো বাংলাদেশ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর

নিজস্ব প্রতিবেদক: মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস ...

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে শুরুতেই উইকেট হারালো বাংলাদেশ

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে শুরুতেই উইকেট হারালো বাংলাদেশ

মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ (২২ জুলাই) পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ...

ফুটবল

মেসি ও রোনালদোকে যে উপাধী দিলেন : ডি গিয়া

মেসি ও রোনালদোকে যে উপাধী দিলেন : ডি গিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্ব ফুটবলের দুই মহাতারকা লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো সম্পর্কে এবার অবিশ্বাস্য এক ...

সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫: নেপালকে উড়িয়ে দিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫: নেপালকে উড়িয়ে দিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: চার গোল একাই! সাগরিকার দুরন্ত নৈপুণ্যে উড়ল লাল-সবুজের বিজয় পতাকা। আজ সাফ অনূর্ধ্ব-২০ ...

Scroll to top

রে
Close button