নিজস্ব প্রতিবেদক: সাম্প্রতিক সময়গুলোতে ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার মানসিক ও শারীরিক চ্যালেঞ্জে পড়লেও তিনি যেন ‘বিস্ফোরণ হয়নি’। যখন কিছু খেলোয়াড় প্রতিক্রিয়ায় নিষ্প্রভতা প্রকাশ করেন, নেইমার সেই পথে হাঁটছেন না। তাঁর ধৈর্য ও কুল টেম্পার দেখিয়ে দিয়েছেন, নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রেখেই তিনি চলছেন।

ম্যাচ পরবর্তী মন্তব্য: “৩০০ বার বলেছি!”সান্তোস ক্লাবে মিরাসলাল বিরুদ্ধে ০–৩ হারের পর নেইমার কনফারেন্সে সশব্দে ছিলেন না; তিনি উদাসীন হয়ে প্রশ্নের জবাবে সরাসরি উত্তর দেন। “আমি তো ৩০০ বার বলেছি”,—এমন প্রতিক্রিয়া দিয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, একই প্রশ্নে এবার আর পিছু ফেরার ইচ্ছে নয়

চোটের গ্লানি: আসল প্রতিপক্ষ তার কমজোরি শরীর২০১৪ বিশ্বকাপে কোমরের চোটে মাঠের বাইরে চলে যাওয়ার ঘটনা কিংবা ২০২৩ সালে এএল-হিলালে ACL ছিড়ে যাওয়ার মতো গভীর চোটেরা নেইমারের সুনামিক পারফরম্যান্সে কাটিয়ে উঠতে সময় নিয়েছে। এরপর ২০২৪–২৫ মরশুমে সান্টোসে রিটার্ন করেও ডায়নামিক ছন্দ ফিরে পেতে সময় লাগছে

ধৈর্য ও মনস্তত্ত্বের জয়নেইমার বলেছেন, প্রতি চোট বা হারে নিজের পরিচয় ছেড়ে দেয়া তার স্বভাব নয়। বরং প্রতিকূলতা একে আরও পরিপক্ক এবং মানসিকভাবে দৃঢ় করে তোলে। বারবার ঘুরে দাঁড়াতে ও সুস্থভাবে ফিরতে তাকে দেখা গেছে — নিজেকে কাঁপিয়ে না দিয়ে, খেলায় নিজের নিয়ন্ত্রণ রেখে।

সামনে কি অপেক্ষা করছে?আসন্ন ম্যাচগুলোতে নেইমারের পারফরম্যান্স আর স্পোর্টসম্যানশিপই আসল ইঙ্গিত দেবে, শুধুমাত্র অনুভূমিক ফলাফল নয়। তার পেশাগত মনোভাব, শারীরিক ও মানসিক পুনরুদ্ধার — এভাবেই ফুটবল মহার্ঘ্য ফিরে আসবে।