এ নিয়ে সাকিবের ১৩ তম আক্ষেপ

পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দল এখন বাংলাদেশে। ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। বাকি ছিল টেস্ট। তবে বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র সেই টেস্ট ম্যাচটি আজ ০৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ।
আজ ৪ এপ্রিল, মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সকাল ১০টায় এই একমাত্র টেস্টে মুখোমুখি হবে টাইগার-এইরিশরা। ছেলের অসুস্থতার কারণে ব্যস্ত তামিম ইকবালকে নিয়ে শঙ্কা থাকলেও তিনি শেষ পর্যন্ত একাদশে রয়েছেন।
এই ম্যাচে সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপের তালিকা যদি করা হয় তাহলে কী বাংলাদেশের সুপারস্টার সাকিব আল হাসান শীর্ষে থাকবেন? যেভাবে এই না পাওয়ার ট্যালি সাজিয়েছেন সাকিব, তার শীর্ষে না থাকাটাই বরং অবাক করবে!
ক্রিকেটে নার্ভাস নাইন্টিজ আলাদা টার্ম-ই রয়েছে। তবে এটাকে যদি ৮০-১০০ রানের মধ্যে হিসেব করা হয় তাহলে দেখা যাবে শুধু টেস্টেই সাকিব সেঞ্চুরি মিস করেছেন ১৩ বার। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ঊনিশ। এ সময়ে আউট হয়েছেন ১৫ বার। নট আউট ছিলেন চার ইনিংসে।
আজ সকালেই সেই তালিকাটা আরও বড় করলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের অফস্টাম্পের বাইরের বল সুইপ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। সেখানেই শেষ তার ৯৪ বলে ৮৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস। শুধু সেঞ্চুরির আক্ষেপ থাকবে সাকিবের। নয়তো আইরিশ বোলারদের উইকেটের দুই পাশে নাচিয়ে যেভাবে ইনিংস বড় করেছেন তাতে স্রেফ মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। সাত সকালে মুমিনুল হককে হারানোর পর মাঠে নেমে প্রথম বলেই চার হাঁকান।
সেই বেঁধে দেওয়া সুরেই পরবর্তীতে ইনিংস লম্বা করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ঝুঁকিপূর্ণ দুয়েকটি শট খেলেছেন। বাকিটা সময়ে ২২ গজে যতটা সময় সাকিব কাটিয়েছেন ততক্ষণই খেলেছেন নজরকাড়া সব শট।
৪৫ বলে ফিফটি তুলে নেওয়ার পর সেঞ্চুরির দিকে তরতর করে এগিয়ে যান। কিন্তু ৮৭ রানে প্রচণ্ড বাজে শট খেলে নিজের উইকেট উপহার দিয়ে আসেন প্রতিপক্ষকে। পরিসংখ্যানই বলছে, সেঞ্চুরি মিস সাকিবের নতুন কোনো ঘটনা নয়।
৯৭ রানে সেঞ্চুরি মিস করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১২ সালে। ৯৬ রানে আউট হয়েছেন দুইবার। একবার ছিলেন নট আউট। ৮৯ রানে একবার আউট হয়ছিলেন, একবার নট আউট ছিলেন। এছাড়া ৮০ থেকে ৮৯ রানে ৯ ইনিংসে সাকিব আটকে গেছেন। ওয়ানডেতে তার থমকে যাওয়া ইনিংসগুলো ছিল এরকম— ৯৭, ৯৬, ৯৩, ৯২ ও ৮৫।
৪৫২ আন্তর্জাতিক ইনিংসে সাকিবের সেঞ্চুরি আছে ১৪টি। যেখানে নার্ভাস নাইন্টিজে আটকে গেছেন ৮ বার। আর ৮০-১০০ রানের ইনিংস আছে ১৯টি। সংখ্যাগুলো নিশ্চিতভাবেই হাহাকারের, কষ্টের। ব্যক্তিগত মাইলফলক বড় আনন্দ এনে দেয় ঠিকই। আর যেখানে প্রাপ্তির চেয়ে অপ্রাপ্তির খাতাটা বেশি ভারী সেখানে নিশ্চিতভাবেই কষ্টের বোঝাটাই বেশি।
সময়ের হিসেবে ৬ বছর আগে সবশেষ টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন সাকিব। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের শততম টেস্টে তার ব্যাট থেকে এসেছিল তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার। এরপর ৩০ ইনিংস পেরিয়ে গেলেও বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারের ব্যাটে সেঞ্চুরি আসেনি।
- কঠোর হুঁশিয়ারি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর
- সৌদি আরবে প্রবাসীদের জন্য বড় দু:সংবাদ
- বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা নিয়ে সুখবর দিলো ভারত
- ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দল ছাড়লেন এনসিপি নেতা
- ব্রেকিং নিউজ : নির্বাচনের আগে ১০০ প্রার্থীর নাম ঘোষণার সিদ্ধান্ত
- ভিসা নিয়ে অনেক বড় সুখবর দিলো মালয়েশিয়া
- SSC বোর্ড চ্যলেঞ্জের ফলাফল প্রকাশ আজ
- ওমানের প্রবাসীদের জরুরি সতর্কবার্তা
- SSC বোর্ড চ্যালেঞ্জ রেজাল্ট ২০২৫: ঘরে বসেই দেখবেন যেভাবে
- প্রবাসীদের জন্য দারুন সুখবর: ৯ দেশে চলছে নিবন্ধনের জোয়ার
- পাল্টে গেছে ডিমের বাজার
- স্ত্রীকে জীবন্ত কবর দেওয়ার চেষ্টা স্বামীর, মুহুর্তেই ভাইরাল ভিডিও
- তিন সেঞ্চুরিতে রানপাহাড় গড়ল নিউজিল্যান্ড, তৈরি করল বিশ্বরেকর্ড
- ব্যালন ডি’অরের সেরা ৩০ ফুটবলারের তালিকা প্রকাশ
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট: কোথায় মিলছে সর্বোচ্চ দাম (০৯ আগস্ট ২০২৫)