| ঢাকা, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

আইপিএলে ভারতের সব ভুল ধামাচাপা পড়ে গেলেই সমস্যা, মুখ খুললেন গাভাসকর

২০২৩ মার্চ ২৩ ১৪:৪৫:৪৮
আইপিএলে ভারতের সব ভুল ধামাচাপা পড়ে গেলেই সমস্যা, মুখ খুললেন গাভাসকর

গতকাল ২২ মার্চ বুধবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২১ রানে হারের সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয়রা ঘরের মাঠে টানা ওডিআই সিরিজে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ভেঙে গেল টিম ইন্ডিয়ার। গত ২০১৯ সালের মার্চের পর প্রথম বার ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ হারল টিম ইন্ডিয়া। ওয়ার্নার-স্মিথদের অস্ট্রেলিয়াই তাদের শেষ বার হারিয়েছিল।

আবারও তাদের হাতেই নাস্তানাবুদ হল ভারতীয় ক্রিকেট টিম। প্রসঙ্গত, গত ২০১৯- এর মার্চের পর থেকে ভারত নিজেদের ঘরের মাঠে মোট ৮টি দলের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক পরাজয় ভারতের কাছে নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে ২০২৩ বিশ্বকাপের মাত্র কয়েক মাস আগে।

গতকাল চেন্নাইয়ে তৃতীয় ওয়ানডে-র আগে তিন ম্যাচের সিরিজের ফল ছিল ১-১। বুধবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ৪৯ ওভারে ২৬৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাবে ভারত আবার ২৪৮ রানে অলআউট হয়। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাসকর আশা করেন যে, ভারত বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজের কথা ভুলে যাবে না। বর্তমানে টিম ইন্ডিয়ার প্লেয়াররা যদিও ৩১ মার্চ থেকে শুরু হতে চলা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) জন্য আলাদা আলাদা দলে বিভক্ত হয়ে যাবে। তবে এই সিরিজে করা ভুলগুলোর উপর ধামাচাপা পড়ে গেলেই, বিশ্বকাপে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হতে পারে রোহিত শর্মাদের। এমনটাই মনে করেন গাভাসকর।

গাভাসকর বলেছেন যে, অস্ট্রেলিয়ার ব্যতিক্রমী ফিল্ডিংয়ের জন্য ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা শট খেলতে বাধ্য হন। তার জন্য যথেষ্ট চাপ তৈরি হয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার। স্টার স্পোর্টসে গাভাসকর দাবি করেন, ‘এতে চাপ তৈরি হয়েছিল। ভারতীয় ব্যাটাররা সিঙ্গলও নিতে পারছিল না। বাউন্ডারিও হচ্ছিল না। যখন এ রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখন আপনি এমন কিছু শট খেলার চেষ্টা করেন, যাতে আপনি অভ্যস্ত নন। এই বিষয়টি কিন্তু ভারতকে দেখতে হবে। তবে অবশ্যই আইপিএল শুরু হচ্ছে। তা বলে এই বিষয়টি ভুললে চলবে না। ভারত কখনও যদি এটি ভুলে যাওয়ার মতো ভুল করে বসে, তবে সমস্যা। এটি হওয়া উচিত নয়। কারণ বিশ্বকাপে আমরা আবার অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হতে পারি।’

গাভাসকর আরও বলেছেন যে, বিরাট কোহলি ও কেএল রাহুলের মধ্যে পার্টনারশিপ এবং রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের মধ্যে ওপেনিং জুটিতে কিছু রান উঠেছিল। এ ছাড়া ভারত কোনও বড় পার্টনারশিপ করতে পারেনি। যা তাদের পরাজয়ের একটি বড় কারণ। তৃতীয় উইকেটে কোহলি ও রাহুল ৬৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। এবং রোহিত ও শুভমন গিল ওপেনিং জুটিতে ৬৫ রান করেছিলেন। একমাত্র কোহলিই ভারতের হয়ে হাফ সেঞ্চুরি করতে পেরেছিলেন। তিনি ৭২ বলে ৫৪ রান করেছিলেন।

গাভাসকর বলেছেন, ‘যখন আপনি ২৭০ বা প্রায় ৩০০ রান তাড়া করছেন, তখন আপনার প্রায় ৯০ বা ১০০-র পার্টনারশিপ প্রয়োজন। এবং এই পার্টনারশিপ আপনাকে জয়ের কাছে নিয়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। হ্যাঁ, রাহুল এবং কোহলির মধ্যে কিছুটা পার্টনারশিপ তৈরি হয়েছিল, কিন্তু তার পরে ঠিক একই রকম একটি পার্টনারশিপ প্রয়োজন ছিল। অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডিং ছিল অসামান্য। তাদের বোলিংও খুব ভালো ছিল। টাইট ছিল, স্টাম্প টু স্টাম্প বল করছিল। তবে ওদের ফিল্ডিং নজর কাড়া ছিল। এটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’

পাঠকের মতামত:

ক্রিকেট এর সর্বশেষ খবর

ক্রিকেট - এর সব খবর



রে