| ঢাকা, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে যেভাবে কাজে লাগানো হবে স্টেডিয়াম গুলো

খেলাধুলা ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০২২ ডিসেম্বর ২১ ১৯:৩৫:২০
বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে যেভাবে কাজে লাগানো হবে স্টেডিয়াম গুলো

ধারণা করা হচ্ছে ২১০ বিলিয়ন ডলার এই বিশ্বকাপে খরচ করেছে কাতার! অধিকাংশ টাকাই খরচ হয়েছে স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজে, এখন প্রশ্ন জাগতেই পারে বিশ্বকাপ শেষে এইসব স্টেডিয়ামের এখন কি হবে? ২০১৮ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ রাশিয়া বিশ্বকাপ উপলক্ষে নির্মাণ করেছিল ৯টি স্টেডিয়াম। পাশাপাশি সংস্কার করা হয়েছিল আরও তিনটি স্টেডিয়ামের।

তবে বিশ্বকাপ শেষে লাভের মুখ দেখেছে মাত্র একটি স্টেডিয়াম। ওই স্টেডিয়ামে কনসার্ট বিয়ের অনুষ্ঠান ইত্যাদির জন্য ভাড়া দেওয়া হয়। বাকি ১১ টি স্টেডিয়াম একপ্রকার বেকারই বসে রয়েছে। কিছু কিছু স্টেডিয়ামে স্থানীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত করা হলেও ধারণ ক্ষমতার ১৫ শতাংশও পূরণ হয় না। অর্থাৎ কোটি কোটি টাকার স্টেডিয়াম দিনশেষে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

২০১৪ সালের আয়োজক দেশ ব্রাজিলেরও অবস্থা প্রায় একই রকম। বিশ্বকাপ উপলক্ষে বারটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছিল ব্রাজিল। বিশ্বকাপ শেষে স্টেডিয়াম গুলো স্থানীয় খেলার জন্য ব্যবহার করা হলেও খালি থেকে যায় হাজার হাজার আসন। অধিকাংশ স্টেডিয়ামে আসন সংখ্যা ২০ থেকে ৩০ শতাংশের বেশি পূরণ হয় না। স্টাডিও নেসিওনলের স্টেডিয়ামটির চত্বরকে তো বাস ডিপো হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

অপরদিকে আরেক স্টেডিয়াম এরেনা দাসতুনাসকে ভাড়া দেওয়া হয় বিয়ের অনুষ্ঠান কিংবা কনসার্টের জন্য। এছাড়া ২০১০ বিশ্বকাপের আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকাও বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে স্টেডিয়াম গুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছে না। ২০১০ বিশ্বকাপের পরে আলোর মুখ দেখেনি কেপটাউন শহরে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম সুন্দর স্টেডিয়াম কেপটাউন স্টেডিয়াম।

এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক স্টেডিয়ামেই ২০১০ বিশ্বকাপের পর আর কোনো ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি। অর্থাৎ বিগত বিশ্বকাপের আয়োজক রাষ্ট্রগুলো বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে স্টেডিয়াম গুলোকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে পূর্বসূরীদের ভুল দেখে শিক্ষা নিয়ে ভিন্ন পথে হেটেছে ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার। স্টেডিয়াম নির্মাণের আগেই বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে যাতে কাজে লাগানো যায় সেই পরিকল্পনা মাথায় রেখেই স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়।

পর্যটন এবং বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে স্টেডিয়ামগুলো। লুসাইল স্টেডিয়ামের আসনগুলো সরিয়ে ক্যাফেটেরিয়া দোকানপাট এবং হাসপাতালের জন্য ভাড়া দেওয়া হবে। এছাড়াও বাকি স্টেডিয়াম গুলোর আসন সংখ্যা কমিয়ে ফুটবল ম্যাচের জন্য রেখে দেওয়া হবে। অস্থায়ীভাবে নির্মিত নাইন সেভেন ফোর স্টেডিয়ামটি ভাড়া দেওয়া হবে অন্য কোনো দেশকে। অর্থাৎ পূর্বসূরীদের ভুল পথে পা বাড়াননি কাতার। বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ও যাতে অবকাঠামোগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় সেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

ক্রিকেট

তরুণ অলরাউন্ডারের ব্যাটিং ঝড় দেখলো ক্রিকেটবিশ্ব

তরুণ অলরাউন্ডারের ব্যাটিং ঝড় দেখলো ক্রিকেটবিশ্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভাইটালিটি ব্লাস্টে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে মরিয়া লিসেস্টারশায়ার ফক্সেস। আর সেই ...

সাকিবের রাজকীয় প্রত্যাবর্তন

সাকিবের রাজকীয় প্রত্যাবর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও নিজের সোনালি ছন্দ যেন হারাননি সাকিব আল ...

ফুটবল

যেখানে যাচ্ছেন নিকো গনজালেজ, গোপনে চলছে বড় চুক্তির তোড়জোড়

যেখানে যাচ্ছেন নিকো গনজালেজ, গোপনে চলছে বড় চুক্তির তোড়জোড়

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাত্র কয়েক মাস আগে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিয়েছিলেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার নিকো গনজালেজ, ...

ফিফার নতুন র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ : চমক দেখালো আর্জেন্টিনা, জেনেনিন ব্রাজিল ও বাংলাদেশের অবস্থান

ফিফার নতুন র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ : চমক দেখালো আর্জেন্টিনা, জেনেনিন ব্রাজিল ও বাংলাদেশের অবস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা প্রকাশ করেছে তাদের সর্বশেষ র‍্যাঙ্কিং, যেখানে শীর্ষস্থান ধরে ...



রে