ফিফার নিয়ম কানুনঃ মেসি নাকি এমবাপে, গোল্ডেন বুট জিতবেন যিনি
কে জিতবে মরুর দেশের প্রথম বিশ্বকাপ, সেটা এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। বিশ্বকাপে এর বাইরেও কিছু ব্যক্তিগত অর্জন থাকে। যেমন গোল্ডেন বুট, গোল্ডেন বল, গোল্ডেন গ্লাভস, ইয়াং প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট অ্যাওয়ার্ড।
শেষ তিনটি পুরস্কারের জন্য খেলোয়াড় মনোনীত করতে কাজ করে থাকে ফিফার বিশেষজ্ঞ প্যানেল। তবে গোল্ডেন বুটের পুরস্কার সর্বোচ্চ গোলদাতার। কাতার বিশ্বকাপে এই পুরস্কারের জন্য টিকে আছেন ৪ ফুটবলার। দুইজন আর্জেন্টিনার ও ২ জন ফ্রান্সের।
দুই ক্লাব সতীর্থ (পিএসজি) আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি ও ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপে ৫ গোল নিয়ে রয়েছেন গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে যৌথভাবে এগিয়ে। তাদের পেছনেই রয়েছেন ৪টি করে গোল নিয়ে ফ্রান্সের অলিভার জিরু এবং আর্জেন্টিনার হুলিয়ান আলভারেজ।
মেসিদের সেমিফাইনালের আগে ৫ গোল নিয়ে এককভাবে শীর্ষে ছিলেন এমবাপে। সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করে এমবাপের পাশে নাম লিখলেন মেসি। আর হুলিয়ান আলভারেজ জোড়া গোল করে ছুঁয়ে ফেলেছেন ফ্রান্সের অলিভার জিরুকে।
এটা এক প্রকার নিশ্চিত যে, এই বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুটের পুরস্কারটা আর্জেন্টিনা বা ফ্রান্সের কোনো খেলোয়াড়ের পাওয়ার সম্ভাবনাই উজ্জ্বল।
মেসি এবং এমবাপের গোল যদি শেষ পর্যন্ত সমান হয়ে যায়, তখন গোল্টে বুট পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি লিওনেল মেসিরই। কারণ, গোলের সঙ্গে অ্যাসিস্ট বেশি তার। নিয়ম হচ্ছে- গোলসংখ্যান সমান হলে যার অ্যাসিস্ট বেশি, তিনিই হন গোল্ডেন বুটের বিজয়ী।
তবে মেসির চেয়ে এমবাপের সুবিধা হলো তার হাতে আছে এখনো দুটি ম্যাচ। এমবাপেকে ছাড়িয়ে যেতে মেসিকে গোল করতে হবে ফাইনালে।
তার আগে বুধবার রাতেই মেসিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন এমবাপে। এমবাপেরা সেমিফাইনাল খেলতে নামছে মরক্কোর বিপক্ষে। সেমিফাইনাল জিতুক কিংবা হারুক এমবাপে আরেকটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন, যদি কোনো কারণে তিনি খেলার অনুপযুক্ত না হন।
মেসি, এমবাপে, জিরু ও আলভারেজের সঙ্গে গোল্ডেন বুট জয়ের লড়াইয়ে ফিরে আসার মতো কাগজ-কলমে সুযোগ আছে কেবল মরক্কোর ইউসেফ এন নেসরির। দুই ম্যাচে হাতে থাকা তার গোল এখন মাত্র ২টি।