সাকিবের নতুন পরিকল্পনা

চোরাবালিতে ডুবিয়ে দেয়। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচের সময় যত ঘনিয়ে আসছে বুকের পিঞ্জিরার অন্দরের ধুকপুকানি বাড়ছে তত। নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করি পারবে তো বাংলাদেশ। দেশে রেখে আসা ১৬ কোটি মানুষের মুখে এক বা দুবার কি হাসি ফোটাতে পারবেন সাকিব আল হাসানেরা? হতাশার মাঝেও আশায় ঘরবসতি বাঁধি। বিশ্বাস করতে থাকি জিতবে বাংলাদেশ। পরামর্শক কোচ শ্রীধরন
শ্রীরাম বৃহস্পতিবার মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে জানান, বিশ্বকাপে পাঁচটি ম্যাচই জিততে চান সম্ভব হলে। শ্রীরাম জানেন এটা বাস্তবসম্মত কোনো চিন্তা নয়। তাই ম্যাচ ধরে পরিকল্পিতভাবে এগোতে চান তিনি।
আমার দৃষ্টিতে, গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর দল পুনর্গঠন করা হলে বাংলাদেশ আরও শক্তিশালী হতে পারত। সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা না থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ যে অনিশ্চয়তার সুতোয় ঝুলছে সেটা বিসিবির কারণে। কোনোদিনই সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তটা নিতে পারেনি তারা। এরপরও মন্দের ভালো সাকিবের মতো একজন অধিনায়কের হাতে দলটা তুলে দেওয়া হয়েছে, যে কিনা খেলোয়াড়দের আগলে রেখেছেন। তিনি চেষ্টা করছেন সব ধরনের বিতর্ক থেকে দলটাকে দূরে রাখতে। যে কারণে ক্রিকেটারদের মিডিয়ার মুখোমুখি হতে দিচ্ছেন না। অধিনায়ক নিজেও মিডিয়ায় কথা বলেন না। ২০২১ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা থেকে এই
সতর্কতা সাকিবের। বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার নেতৃত্বে ফিরে আরও একটি ভালো কাজ করেছেন। দলের ভেতরের কোনো তথ্য বাইরে আসতে দিচ্ছেন না। আগে যেটা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। কারণ অতীতের অধিনায়ক এবং সিনিয়র ক্রিকেটাররাই ভেতরের খবর বাইরে প্রকাশ করতেন। বর্তমান দলে সেটা না থাকায় স্বাস্থ্যকর একটা পরিবেশ গড়ে উঠেছে। আমার কাছে মনে হয় বিশ্বকাপে সাফল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে এটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলটাকে নতুন দলের আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম না থাকায় সবার এ ধারণা। বাস্তবতা হলো বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলে ‘আনক্যাপড’ একজনও নেই। কোনো না কোনো সংস্করণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে আফিফ হোসেনদের। মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নিয়েছেন তারা। সেদিক থেকে দেখলে দল হিসেবে খারাপ না বাংলাদেশ। আমার কাছে মনে হচ্ছে সমস্যা টিম ম্যানেজমেন্টে। একটি ওপেনিং জুটির জন্য অতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন কোচ। এশিয়া কাপ থেকে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ পর্যন্ত
ছয়টি ওপেনিং জুটি খেলেছে ৯ ম্যাচে। ‘মেক শিফট’ ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমানকে দিয়ে খেলিয়েছেন। সাব্বির ধারাবাহিক ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকেই বাদ দেওয়া হয়। সৌম্য সরকারকে নেওয়া হয় সাব্বিরের পরিবর্তে। স্কোয়াডে আরও একটি পরিবর্তন আনা হয় পেস বোলিং বিভাগকে। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের জায়গায় নেওয়া হয় শরিফুল ইসলামকে।
শ্রীরামকে পরামর্শক কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এশিয়া কাপ থেকে। সেখান থেকেই পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করেন তিনি। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ পর্যন্ত সেটা চলতে থাকে। সাধারণত কোনো একটি সিরিজে ক্রিকেটারদের পরখ করে দেখে থাকেন কোচরা। সাবেক প্রধান কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহে, স্টিভ রোডস, রাসেল ডমিঙ্গরাও তাই করেছেন। কিন্তু শ্রীরাম সবাইকে ছাড়িয়ে অতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনার পথে। বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিই ঠিক করতে পারেনি এখন পর্যন্ত। যেটা দুশ্চিন্তার কারণ। নিয়মিত ওপেনারের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না কোচ। সময়ের সেরা ওপেনার লিটন কুমার দাসকেও খেলাচ্ছেন তিন
নম্বরে। তবে মিডল অর্ডার নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। সেট ব্যাটাররাই সুযোগ পাচ্ছেন ব্যাটিং করার।
বাংলাদেশ টি২০ দলের শক্তিশালী দিক হলো বোলিং। বেশ কয়েক বছর ধরেই পেস বোলিং ইউনিটটা দাঁড়িয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনও পেস বোলারদের অনুকূলে। তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, এবাদত হোসেনের পাশাপাশি মুস্তাফিজুর রহমান ছন্দে রয়েছেন। ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং প্রস্তুতি ম্যাচে জমাট বোলিং করেছেন তারা। বোলিং ইউনিটের আরেকটি ভালো দিক হলো বেশ কয়েকজন স্পিন অলরাউন্ডার রয়েছে দলে। সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদী হাসান মিরাজ স্পিন করেন। ফলে অধিনায়ক সাকিবের জন্য বোলার পরিবর্তন করা সহজ হয়ে যায়। বাংলাদেশের সমস্যা হলো ব্যাটিংয়ে। ভালো বোলিংয়ের বিপক্ষে স্কোর
করতে পারে না। পাওয়ার প্লেতে ৪০ রান করতে পারলেও মাঝের ওভারগুলোতে স্লিপ করে। উইকেট হারানোর একটা প্রবণতা থাকায় স্লগ ওভারে ঝড় উঠে না। কোচ শ্রীরাম এই জায়গাগুলো নিয়ে কাজ করেছেন। দেখা যাক, বিশ্বকাপ ম্যাচে সেটা কতটা কার্যকর প্রভাব ফেলতে পারে।
ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স কয়েকদিন আগে মিডিয়াকে বলেছিলেন, অস্ট্রেলিয়ায় ম্যাচ জিততে ১৮০ করার প্রয়োজন নেই। ১৬০ রান করলেই বোলিং দিয়ে জিততে পারবে বাংলাদেশ। বাছাই পর্বের ম্যাচগুলো সেটাই প্রমাণ করে। বাংলাদেশের যে মানের বোলিং লাইনআপ রয়েছে তাতে করে ব্যাটাররা ১৬০ রানের পুঁজি দিতে পারলে সেটা ডিফেন্ড করা যাবে। বাস্তবতা হলো ব্যাটাররা ছন্দে না থাকায় ১৬০ রানই হচ্ছে না। লিটন বা সাকিব ছাড়া কেউই ইমপ্যাক্ট ইনিংস খেলতে পারছেন না। এরপরও আমি আশাবাদী বিশ্বকাপে ভালো খেলবে বাংলাদেশ। অন্তত দুটো ম্যাচ জিতে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে।
সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ চূড়ান্ত হয়ে গেছে। ২৪ অক্টোবর হোবার্টে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবেন সাকিবরা। প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস হওয়াতে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর একটা সম্ভাবনা তৈরি হলো। আর কে না জানে শুরুতে একবার ছন্দ পেয়ে গেলে বাংলাদেশ ভয়ংকর দল। পরে সিডনিতে সাউথ আফ্রিকাকেও হারিয়ে দিতে পারবে। নিরাশার মাঝেও আমি তাই আশার প্রদীপ দেখতে পাচ্ছি। জয়ের স্বপ্ন সারথী করে ছুটতে চাই বাংলাদেশ দলের পিছু এক ভেন্যু থেকে অন্য ভেন্যুতে।
- সকলেই সাবধান : শেখ হাসিনাকে নিয়ে নতুন ঘোষণা দিলো সরকার
- শেষ হলো ভারত বনাম বাংলাদেশের মধ্যকার হাইভোল্টেজ ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- সুখবর না দুশ্চিন্তা? হঠাৎ বদলে গেল স্মার্টফোনের ডায়াল প্যাড, জেনে নিন করণীয়
- পাল্টে গেল আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড: সুখবর না দুশ্চিন্তা, জেনেনিন সমাধান
- চার ছক্কার ঝড়ে বিশাল রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ
- বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ লেখা হচ্ছে দিল্লিতে? রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় তুলেছে নতুন খবর
- বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর দিলেন মোদি, মাত্র ৪০ টাকায় পাওয়া যাবে সুবিধা
- শীর্ষ পাঁচ ক্রিকেটারের নাম জানালেন ওয়াসিম আকরাম
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন নিয়ে নতুন নির্দেশনা প্রকাশ
- প্রবাসীদের জন্য সৌদি আরবে বড় সুখবর
- ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে এগিয়ে আছেন এই তারকারা
- ব্রেকিং নিউজ : এশিয়া কাপের চুড়ান্ত দল ঘোষণা করলো বিসিবি
- আজ ১৮, ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার মূল্য (২৩ আগস্ট)
- রাতেই ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা, ৯ অঞ্চলে সতর্কতা
- ব্রেকিং নিউজ : ১০ জেলায় ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা