| ঢাকা, সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

শিরোনাম

মাহমুদউল্লাহ বিশাল ছক্কা দেখে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন তামিম ইকবাল*** পাঞ্জাবের বিপক্ষে বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে মুস্তাফিজকে অপমান করে একি মন্তব্য করলেন জাদেজা*** এক ভক্তকে চরম ভাবে পেটাতে গেলেন সাকিব*** লিটন-শান্ত টি টোয়েন্টিতে চলেনা, বার বার সুযোগ দিয়ে একি তামাশা করছে বিসিবি *** দায়িত্বে থাকলে আইপিএলে খেলার সুযোগ অনেক বাড়িয়ে দিতাম, এক সাকিবের মুখ বন্ধ রাখতে পারে না বিসিবি*** মুস্তাফিজকে আইপিএল থেকে ফেরত আনার ব্যাপার আলোচনার মুখে বিসিবির চরম সমালোচনা করে মুখ খুললেন তাহেরি হুজুর *** মুস্তাফিজ অনেক টাকা কামাক বিসিবি চায় না, মুস্তাফিজের পক্ষ নিয়ে এবার রেগে একি বললো ব্রাভো***

পেসারদের এক যুগের খরা হলেও ভেটোরির আরেকটু কাছে সাকিব

খেলাধুলা ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০২২ মে ২৬ ১৮:২৬:০৫
পেসারদের এক যুগের খরা হলেও ভেটোরির আরেকটু কাছে সাকিব

দেশের মাঠে কোনো পেসারের ৫ উইকেট নেই যে এক যুগ ধরে! শেষ পর্যন্ত সাকিব ঠিকই পারলেন, কিন্তু হলো না ইবাদতের ৫। রমেশ মেন্ডিসকে যখন এলবিডব্লিউ করলেন ইবাদত, শ্রীলঙ্কার উইকেট তখন পড়ে গেছে ৮টি। শিকারি স্রেফ দুই জনই, সাকিব ৪, ইবাদত ৪। পরের ওভারেই প্রাভিন জয়াবিক্রমাকে ফিরিয়ে সাকিব ধরলেন পঞ্চম শিকার। ইবাদতেরও সুযোগ এলো পরের ওভারে।

কিন্তু তিনি পারলেন না। এরপর আর সুযোগও এলো না। সাকিবের সরাসরি থ্রোয়েই আসিথা ফার্নান্দোর রান আউটে শেষ হয়ে গেল লঙ্কান ইনিংস।

ইবাদত আটকে গেলেন চারে। সাকিব মাঠ ছাড়লেন ৫ উইকেটের তৃপ্তি নিয়ে। ৪০.১ ওভার বোলিং করে ৯৬ রানে ৫ উইকেট। এই স্বাদ পেলেন প্রায় চার বছর পর!

সেই ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে জ্যামাইকায় ৩৩ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এরপর টেস্টে ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন এই প্রথম। তবে ম্যাচের হিসেবে অপেক্ষাটা দীর্ঘ নয় খুব একটা। এক বছর কেটে গেছে নিষেধাজ্ঞায়, চোট-বিশ্রাম-ছুটি মিলিয়ে আরও কিছু টেস্টে তিনি ছিলেন মাঠের বাইরে। মাঝের এই সময়টায় খেলেছেন ৭ টেস্ট।

এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই সিরিজ দিয়েই তিনি টেস্টে ফিরেছেন ৬ মাস পর। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও দারুণ বোলিং করেন। তবে সেবার উইকেট পান ৩টি। অফ স্পিনার নাঈম হাসান সেখানে নেন ৬ উইকেট। অবশেষে মিরপুরে বৃহস্পতিবার শেষ হলো সাকিবের অপেক্ষার।

এই নিয়ে টেস্টে ১৯ বার ৫ উইকেট নিলেন তিনি। বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে ৫ উইকেট শিকারে টেস্ট ইতিহাসে আগে থেকেই ছিলেন তিনি তিনে। এবার দুইয়ে থাকা ড্যানিয়েল ভেটোরির সঙ্গে ব্যবধান কমালেন আরেকটু।

১১৩ টেস্টে ২০ বার ৫ উইকেট ভেটোরির। সাকিবের ১৯ বার হয়ে গেল ৬১ টেস্টে।

৯৩ টেস্টে ৩৪ বার ৫ উইকেট নিয়ে বাঁহাতি স্পিনারদের শীর্ষে বাংলাদেশের বর্তমান স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ।

মিরপুরে সাকিবের উইকেট শিকার অভিযান শুরু হয় ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে। সেদিন শেষ বিকেলে দারুণ এক ডেলিভারিতে তিনি আউট করেন কুসল মেন্ডিসকে। এরপর বৃষ্টিবিঘ্নিত তৃতীয় দিনে তার শিকার আরও দুটি। লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নেকে ৮০ রানে বোল্ড করেন অসাধারণ ডেলিভারিতে। পরে তার শিকার ৫৮ রান করা ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের বোলিংয়ে মুগ্ধতার কথা জানিয়ে বাংলাদেশের বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড বলেছিলেন, ‘আশা করছি, কালকে (বৃহস্পতিবার) ৫ উইকেট নিয়ে মাঠ ছাড়বে সাকিব।”

বোলিং কোচের চাওয়া সাকিব এ দিন পূরণ করেন দারুণভাবে। নিরোশান ডিকভেলাকে বিদায় করে দেখা পান চতুর্থ উইকেটের। এরপর জয়াবিক্রমাকে ফিরিয়ে পাঁচ।

ইবাদত শেষ উইকেটটি নিতে পারলে দারুণ এক যুগলবন্দির স্বাক্ষী দ্বিতীয়বার হতে পারত বাংলাদেশ। এক ইনিংসে দুই বোলারের ৫ ও ৫ উইকেট একবারই দেখেছে বাংলাদেশ। সেটিতেও ছিলেন সাকিব। ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রামে পেসার শাহাদত হোসেন ও সাকিব নিয়েছিলেন ৫টি করে উইকেট।

শাহাদতের সেই ৫ উইকেট এখনও পর্যন্ত দেশের মাঠে বাংলাদেশের কোনো পেসারের সবশেষ ৫ উইকেটও। বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে দেশে ৫ উইকেট নেওয়ার স্বাদ পেয়েছেন কেবল তিনিই। ২০১০ সালে চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে ৭১ রানে ৫ উইকেটের আগে ২০০৮ সালে মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নেন ২৭ রানে ৬ উইকেট। এর আগে ২০০৬ সালে বগুড়ায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার শিকার ছিল ৮৬ রানে ৫টি।

ইবাদত এবার আশা জাগান এই তালিকায় নাম লেখানোর। শেষ পর্যন্ত তাকে থমকে যেতে হয় ১৪৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে। রমেশ মেন্ডিসকে যখন এলবিডব্লিউ করলেন ইবাদত, শ্রীলঙ্কার উইকেট তখন পড়ে গেছে ৮টি। শিকারি স্রেফ দুই জনই, সাকিব ৪, ইবাদত ৪। পরের ওভারেই প্রাভিন জয়াবিক্রমাকে ফিরিয়ে সাকিব ধরলেন পঞ্চম শিকার। ইবাদতেরও সুযোগ এলো পরের ওভারে। কিন্তু তিনি পারলেন না। এরপর আর সুযোগও এলো না। সাকিবের সরাসরি থ্রোয়েই আসিথা ফার্নান্দোর রান আউটে শেষ হয়ে গেল লঙ্কান ইনিংস।

ইবাদত আটকে গেলেন চারে। সাকিব মাঠ ছাড়লেন ৫ উইকেটের তৃপ্তি নিয়ে। ৪০.১ ওভার বোলিং করে ৯৬ রানে ৫ উইকেট। এই স্বাদ পেলেন প্রায় চার বছর পর!

সেই ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে জ্যামাইকায় ৩৩ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এরপর টেস্টে ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন এই প্রথম। তবে ম্যাচের হিসেবে অপেক্ষাটা দীর্ঘ নয় খুব একটা। এক বছর কেটে গেছে নিষেধাজ্ঞায়, চোট-বিশ্রাম-ছুটি মিলিয়ে আরও কিছু টেস্টে তিনি ছিলেন মাঠের বাইরে। মাঝের এই সময়টায় খেলেছেন ৭ টেস্ট।

এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই সিরিজ দিয়েই তিনি টেস্টে ফিরেছেন ৬ মাস পর। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও দারুণ বোলিং করেন। তবে সেবার উইকেট পান ৩টি। অফ স্পিনার নাঈম হাসান সেখানে নেন ৬ উইকেট। অবশেষে মিরপুরে বৃহস্পতিবার শেষ হলো সাকিবের অপেক্ষার।

এই নিয়ে টেস্টে ১৯ বার ৫ উইকেট নিলেন তিনি। বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে ৫ উইকেট শিকারে টেস্ট ইতিহাসে আগে থেকেই ছিলেন তিনি তিনে। এবার দুইয়ে থাকা ড্যানিয়েল ভেটোরির সঙ্গে ব্যবধান কমালেন আরেকটু।

১১৩ টেস্টে ২০ বার ৫ উইকেট ভেটোরির। সাকিবের ১৯ বার হয়ে গেল ৬১ টেস্টে।

৯৩ টেস্টে ৩৪ বার ৫ উইকেট নিয়ে বাঁহাতি স্পিনারদের শীর্ষে বাংলাদেশের বর্তমান স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ।

মিরপুরে সাকিবের উইকেট শিকার অভিযান শুরু হয় ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে। সেদিন শেষ বিকেলে দারুণ এক ডেলিভারিতে তিনি আউট করেন কুসল মেন্ডিসকে। এরপর বৃষ্টিবিঘ্নিত তৃতীয় দিনে তার শিকার আরও দুটি। লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নেকে ৮০ রানে বোল্ড করেন অসাধারণ ডেলিভারিতে। পরে তার শিকার ৫৮ রান করা ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের বোলিংয়ে মুগ্ধতার কথা জানিয়ে বাংলাদেশের বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড বলেছিলেন, ‘আশা করছি, কালকে (বৃহস্পতিবার) ৫ উইকেট নিয়ে মাঠ ছাড়বে সাকিব।”

বোলিং কোচের চাওয়া সাকিব এ দিন পূরণ করেন দারুণভাবে। নিরোশান ডিকভেলাকে বিদায় করে দেখা পান চতুর্থ উইকেটের। এরপর জয়াবিক্রমাকে ফিরিয়ে পাঁচ।

ইবাদত শেষ উইকেটটি নিতে পারলে দারুণ এক যুগলবন্দির স্বাক্ষী দ্বিতীয়বার হতে পারত বাংলাদেশ। এক ইনিংসে দুই বোলারের ৫ ও ৫ উইকেট একবারই দেখেছে বাংলাদেশ। সেটিতেও ছিলেন সাকিব। ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রামে পেসার শাহাদত হোসেন ও সাকিব নিয়েছিলেন ৫টি করে উইকেট।

শাহাদতের সেই ৫ উইকেট এখনও পর্যন্ত দেশের মাঠে বাংলাদেশের কোনো পেসারের সবশেষ ৫ উইকেটও। বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে দেশে ৫ উইকেট নেওয়ার স্বাদ পেয়েছেন কেবল তিনিই। ২০১০ সালে চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে ৭১ রানে ৫ উইকেটের আগে ২০০৮ সালে মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নেন ২৭ রানে ৬ উইকেট। এর আগে ২০০৬ সালে বগুড়ায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার শিকার ছিল ৮৬ রানে ৫টি।

ইবাদত এবার আশা জাগান এই তালিকায় নাম লেখানোর। শেষ পর্যন্ত তাকে থমকে যেতে হয় ১৪৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে। ট্যাগ :

সাকিব টেস্ট বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

ক্রিকেট

দায়িত্বে থাকলে আইপিএলে খেলার সুযোগ অনেক বাড়িয়ে দিতাম, এক সাকিবের মুখ বন্ধ রাখতে পারে না বিসিবি

দায়িত্বে থাকলে আইপিএলে খেলার সুযোগ অনেক বাড়িয়ে দিতাম, এক সাকিবের মুখ বন্ধ রাখতে পারে না বিসিবি

পাওনা টাকা নিয়ে কথা বলতেও মুখ ঢেকে রাখা লাগে গ্রাউন্সম্যানদের। ক্রিকেটারদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয় ...

মাহমুদউল্লাহ বিশাল ছক্কা দেখে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন তামিম ইকবাল

মাহমুদউল্লাহ বিশাল ছক্কা দেখে অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন তামিম ইকবাল

গতকাল সন্ধ্যায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২য় টি টোয়েন্টি মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ...

ফুটবল

অবশেষে নিজের অবসরের সময় জানিয়ে দিলেন মেসি

অবশেষে নিজের অবসরের সময় জানিয়ে দিলেন মেসি

লিওনেল মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলার। তার বয়স এখন প্রায় ৩৭ বছর। অনেকেই তার অবসরের কথা ...

চলে গেলেন মেসিদের প্রথম বিশ্বকাপ জেতান মানুষ

চলে গেলেন মেসিদের প্রথম বিশ্বকাপ জেতান মানুষ

আর্জেন্টিনাকে প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ জেতানো কোচ সিজার লুইস মেনত্তি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ...



রে