মুশফিক-লিটনের এক বলের আক্ষেপ
২৭২ রানের জুটিটা যেন সোনার ফ্রেমে বাঁধানো। রাসেল ডোমিঙ্গো তো অকপটেই বলেছেন, এমন বিপর্যযের পর তার কোচিং ক্যারিয়ারে দেখা অন্যতম সেরা জুটি। মঙ্গলবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন মুশফিক-লিটন। দিনের অষ্টম ওভারে কাসুন রাজিথার শিকার হন লিটন। ১৪১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
ইনিংস শেষে মুশফিক ১৭৫ রানে অপরাজিত। দুজনই সেঞ্চুরি করেছেন, তার পূর্ণতা আছে দুজনের মাঝে। রেকর্ড বইয়ে অনেক ওলট-পালট করেছেন তারা। কিন্তু ১ বলের একটা আফসোস রয়েই গেল এ জুটির। টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটির মালিক এখন মুশফিক-লিটন।
পঞ্চম উইকেটে মিরপুরে তারা ২৭২ রান করলেন। টপকে গেলেন ২০১৩ সালে ঐতিহাসিক গল টেস্টে আশরাফুল-মুশফিকের গড়া ২৬৭ রানের জুটিকে। লাল বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশের তৃতীয় সেরা জুটির মর্যাদা পেয়েছে তাদের যুগলবন্দি।
টেস্টে বাংলাদেশের সেরা জুটি ৩৫৯ রানের, ২০১৭ সালে ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মুশফিক-সাকিব এই জুটি গড়েছিলেন। দ্বিতীয় স্থানে ইমরুল কায়েস-তামিম ইকবালের ওপেনিংয়ে ৩১২ রানের জুটি, ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে। ওপেনিংয়ে এটিই বাংলাদেশের সেরা জুটি।
জুটির পরিসংখ্যানে বলের হিসেব করতে গেলেই মুশফিক-লিটনের আক্ষেপের অধ্যায় উঠে আসবে। বলের হিসেবেও তাদের জুটি তৃতীয় স্থানে ঠাঁই পেল। মাত্র ৫ বলের জন্য রেকর্ড হয়নি। মঙ্গলবার আর মাত্র ৫টি বল খেলতে পারলেই রেকর্ডটা নিজেদের করে নিতে পারতেন তারা।
বড় আক্ষেপ হয়তো এখানে যে, মাত্র ১ বলের জন্য তালিকার তিনে পড়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। ২০১৩ সালে গল টেস্টে আশরাফুল-মুশফিক ২৬৭ রানের জুটিতে ৫১৮ বল খেলেছিলেন। ২০২১ সালে পাল্লেকেলেতে মুমিনুল-শান্ত ২৪২ রানের জুটি গড়তে গিয়ে ৫১৪ বল খেলেছেন। মঙ্গলবার মুশফিক-লিটন ৫১৩ বল খেলে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন। এবং বলা বাহুল্য, তিনটি জুটিই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।