আবারও ভারতের জাতীয় দলে দীনেশ কার্তিক
সবার ধারনা ভুল প্রমান করে দিয়ে প্রায় ১ বছর পর দল থেকে বাদ পড়েন দীনেশ কার্তিক। অনেক পরিশ্রম করেও দলে ফিরতে পারছিলেন না। তার দলে না ফেরার জন্য দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ঋষভ পন্তের মত একজনের উথানই যথেষ্ট ছিল। একই সাথে দুর্দান্ত ফর্মে ছিল ইষান কিশান, লোকেশ রাহুল সঞ্জু স্যামসন।
ফলে তার জাতীয় দলে ফেরা অনেকটাই কঠিন হয়ে যায়। তারপর তার বয়স এখন ৩৭ বছর । সে আর ভারতের জাতীয় দলে ফিরতে পারবে না, এমনটাই ভাবা স্বাভাবিক।
সবাইকে চমক দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য আবারও জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন দীনেশ কার্তিক। অনেক দিন পর দলে ডাক পেয়ে নিজের আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ দিয়েছেন। কারন গত আইপিএল আসরটা খুব একটা ভাল কাটেনি দীনেশের । শুরুতে ছিলেন কেকেআরের অধিনায়ক। মাঝপথে নেতৃত্ব হারান, শেষ দিকে দলে থেকে জায়গাও হারান। তাকে দিয়ে আর কোন ভাল কিছু হবে না তাই ভেবে মেগা নিলামের আগে ছেড়ে দিয়েছিল কলকাতা।
তার মধ্যে সম্ভাবনা আছে দেখে নিলামে তাকে পেয়ে দলে ভেড়ায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তাদের টাকা যে জলে যায় নি সেটা ইতিমধ্যে প্রমান করে দিয়েছেন দীনেশ কার্তিক। এই আইপিএলে ৫৭. ৪ গড়ে ১৯১.৩৩ স্ট্রাইকরেটে ২৮৭ রান করেছে। অথচ এর আগে আইপিএলে কার্তিকের স্ট্রাইকরেট ১৩০ এর আশে পাশে থাকত। চলতি আইপিএলে এমন দুর্দান্ত ফর্মে থাকায় জাতীয় দলের নির্বাচকরা বাধ্য হয়েই তাকে দলে ভিড়িয়েছে ।
দীর্ঘদিন পর দলে ডাক পেয়ে কার্তিক বলেন ,’আমি খুব খুশি। এটা আমার বিশেষ প্রত্যাবর্তন। কারণ অনেকেই আমার ব্যাপারে হাল ছেড়ে দিয়েছিল। আমি যেভাবে ফিরলাম, যেভাবে অনুশীলন করেছি আমি, আমি যেভাবে নিজেকে গুটিয়ে ফেলেছিলাম, সেটা কাটিয়ে অনুশীলনে ফিরতে অনেক বিশেষ কিছু ঘটতে হয়েছে।’’
তবে শুধু নিজের পরিশ্রমের কারনে এই সাফল্য আসেনি , সেটা মেনে নিয়েছেন তিনি। কারন আইপিএলে বেঙ্গালুরু তাকে ফিনিশার ভূমিকা না দিলে হয়ত এই সুযোগ পেতেন না। তাই বেঙ্গালুরুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, বেঙ্গালুরুর প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ। কারন আমাকে দলে নিয়েছে,আমাকে এত গুরুত্তপুরন একটা ভূমিকা দিয়েছে, আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছে এবং এরপর আমি দলের জন্য সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’