সবাইকে কান্নার সাগরে ভাসিয়ে চলে গেলেন এক ইনিংসে ৪২৮ রান করা পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার

যার ক্যারিয়ারের সঙ্গে কেবল দুটি টেস্ট ম্যাচ লেখা, সেই আফতাব বালুচ তো আর আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচে রেকর্ড গড়ারই সুযোগ পাওয়ার কথা নয়। তবে ১৯৭৩-৭৪ সালে কায়েদ-ই আজম ট্রফিতে এক ইনিংসে একাই খেলেছিলেন ৪২৮ রানের বিশাল এক ইনিংস।
৪২৮ রান করা সেই আফতাব বালুচ অবশেষে হার মেনে গেলেন মৃত্যুর কাছে। ৬৮ বছর বয়সে পৃথিবীকে বিদায় জানালেন তিনি। এক শোকবার্তায় পিসিবির চেয়ারম্যান রমিজ রাজা বলেন, ‘আফতাব বালুচের মৃত্যুর খবর শুনে আমি গভীরভাবে শোকাহত। আমি যখন ক্রিকেটে বেড়ে উঠছিলাম, তখন আফতাব বালুচ ছিলেন অনেক বেশি জনপ্রিয় ক্রিকেটার। শুধু একাই আমি তাকে দেখে বড় হইনি, তার শেষ বেলায় তার বিপক্ষে খেলেছিলামও।’
যেদিন ৪২৮ রান করেছিলেন বালুচ, সে সময় সিন্ধ প্রদেশের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। করাচিতে তিনি ইনিংসটি খেলেছিলেন বেলুচিস্তানের বিপক্ষে। ক্যারিয়ারে সম্ভবত এটাই তার সেরা ইনিংস ছিল।
ওই ম্যাচে তরুণ জাভেদ মিয়াঁদাদের সঙ্গে ১৭৪ রানের একটি জুটিও গড়েছিলেন তিনি। ওটা ছিল জাভেদ মিয়াঁদাদের ৮ম প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। সিন্ধ প্রদেশ ওই ম্যাচে করেছিলো ৭ উইকেট হারিয়ে ৯৫১ রান।
পাকিস্তানের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আরও একটি ৪০০ প্লাস ইনিংস রয়েছে। সেটি এসেছে হানিফ মোহাম্মদের ব্যাট থেকে। তিনি করেছিলেন ৪৯৯ রান। তবে অপরাজিত ৫০১ রান করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবার শীর্ষে বসে আছেন সেই ব্রায়ান লারা’ই।
তবে একটি ইনিংস দিয়েই শুধু আফতাব বালুচকে বিচার করা যাবে না। কারণ, তিনি ছিলেন বংশীয় ক্রিকেটার। তার বাবা শমসের বালুচ ভারত ভাগ হওয়ার আগে রঞ্জি ট্রফিতে খেলেছেন গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের হয়ে।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে আফতাদের প্রথম শ্রেণির অভিষেক হয়। প্রথম ম্যাচেই তিনি জানিয়ে দেন, নিজের আগমণী বার্তা। অপরাজিত ৭৭ রান করার পাশাপাশি নেন ১২ উইকেট। ১৯৬৯ সালে যে পারফরম্যান্সের ওপর ভর করে হায়দরাবাদ ব্লুজের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়ে যায় পিডব্লিউডি।
তবে আফতাব বালুচের দুর্ভাগ্য, তার সময়টায় পাকিস্তান পেয়েছিল দেশটির ইতিহাসের কিংবদন্তী ব্যাটারদের। সাকিব মাহমুদ, মাজিদ খান, জহির আব্বাস, আসিফ ইকবাল, মুস্তাক মোহাম্মদ এবং তাদের পরপরই জাভেদ মিয়াঁদাদদের। এতবড় ব্যাটিং লাইনআপের ভিড়ে আর টেস্ট দলে জায়গা হয়নি আফতাব বালুচের। খেলার সুযোগ পেয়েছেন কেবল ২ ম্যাচে।
১৯৬৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকের পর তিনি দ্বিতীয় টেস্ট খেলার সুযোগ পান ১৯৭৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লাহোরের গাদ্দাফী স্টেডিয়ামে। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬০ রান করে পাকিস্তানকে ড্র করতে সহায়তা করেন।
- "গোপন প্রশিক্ষণ কেলেঙ্কারি: সেনা কর্মকর্তা মেজর সাদিকের পরিচয় ফাঁস
- এনসিপির কমিটি ভাঙনের পথে, গুরুত্বপূর্ণ দুই নেতার পদত্যাগ
- স্কুলে ছুটি : আসছে নতুন ঘোষণা
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশ একাদশে ১৪ জন প্রায় চূড়ান্ত
- হতবাক ক্রিকেট বিশ্ব : এক ওভারে ৪৫ রানের বিশ্ব রেকর্ড
- না খেলেই এশিয়া কাপে যাচ্ছে বাংলাদেশ
- আগামী ৩ বছর যে দলের হয়ে খেলতে চান মেসি
- ঘরে ঘরে জ্বর নিয়ে দু:শ্চিন্তা :ডেঙ্গু না টাইফয়েড, বাঁচতে করণীয় কী জানুন এখনই
- রাজধানীতে ভয়াবহ আগুন : আতঙ্কে ব্যবসায়ী ও পথচারীরা
- মালয়েশিয়ান রিংগিতের সর্বশেষ রেট আজ ১/৮/২০২৫ তারিখ
- ব্যর্থ বিসিবি, এশিয়া কাপে বড় সুযোগ হারাল বাংলাদেশ
- এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ, ঘোষণা হবে বিকেল ৩টায়
- বিমানের মধ্যেই সহযাত্রীকে থাপ্পড়, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তোলপাড়
- শাহবাগে টানা ২৮ ঘণ্টা জুলাই যোদ্ধাদের অবস্থান, নাকাল রাজধানীবাসী
- ইন্টার মায়ামি বনাম নেকাক্সা: জেনেনিন ম্যাচের সময়,লাইভ দেখার উপায়, ও ম্যাচ প্রেডিকশন