| ঢাকা, শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

সবাইকে কান্নার সাগরে ভাসিয়ে চলে গেলেন এক ইনিংসে ৪২৮ রান করা পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার

ক্রিকেট ডেস্ক . স্পোর্টসআওয়ার২৪
২০২২ জানুয়ারি ২৭ ১১:৪৯:২১
সবাইকে কান্নার সাগরে ভাসিয়ে চলে গেলেন এক ইনিংসে ৪২৮ রান করা পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার

যার ক্যারিয়ারের সঙ্গে কেবল দুটি টেস্ট ম্যাচ লেখা, সেই আফতাব বালুচ তো আর আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচে রেকর্ড গড়ারই সুযোগ পাওয়ার কথা নয়। তবে ১৯৭৩-৭৪ সালে কায়েদ-ই আজম ট্রফিতে এক ইনিংসে একাই খেলেছিলেন ৪২৮ রানের বিশাল এক ইনিংস।

৪২৮ রান করা সেই আফতাব বালুচ অবশেষে হার মেনে গেলেন মৃত্যুর কাছে। ৬৮ বছর বয়সে পৃথিবীকে বিদায় জানালেন তিনি। এক শোকবার্তায় পিসিবির চেয়ারম্যান রমিজ রাজা বলেন, ‘আফতাব বালুচের মৃত্যুর খবর শুনে আমি গভীরভাবে শোকাহত। আমি যখন ক্রিকেটে বেড়ে উঠছিলাম, তখন আফতাব বালুচ ছিলেন অনেক বেশি জনপ্রিয় ক্রিকেটার। শুধু একাই আমি তাকে দেখে বড় হইনি, তার শেষ বেলায় তার বিপক্ষে খেলেছিলামও।’

যেদিন ৪২৮ রান করেছিলেন বালুচ, সে সময় সিন্ধ প্রদেশের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। করাচিতে তিনি ইনিংসটি খেলেছিলেন বেলুচিস্তানের বিপক্ষে। ক্যারিয়ারে সম্ভবত এটাই তার সেরা ইনিংস ছিল।

ওই ম্যাচে তরুণ জাভেদ মিয়াঁদাদের সঙ্গে ১৭৪ রানের একটি জুটিও গড়েছিলেন তিনি। ওটা ছিল জাভেদ মিয়াঁদাদের ৮ম প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। সিন্ধ প্রদেশ ওই ম্যাচে করেছিলো ৭ উইকেট হারিয়ে ৯৫১ রান।

পাকিস্তানের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আরও একটি ৪০০ প্লাস ইনিংস রয়েছে। সেটি এসেছে হানিফ মোহাম্মদের ব্যাট থেকে। তিনি করেছিলেন ৪৯৯ রান। তবে অপরাজিত ৫০১ রান করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবার শীর্ষে বসে আছেন সেই ব্রায়ান লারা’ই।

তবে একটি ইনিংস দিয়েই শুধু আফতাব বালুচকে বিচার করা যাবে না। কারণ, তিনি ছিলেন বংশীয় ক্রিকেটার। তার বাবা শমসের বালুচ ভারত ভাগ হওয়ার আগে রঞ্জি ট্রফিতে খেলেছেন গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের হয়ে।

মাত্র ১৬ বছর বয়সে আফতাদের প্রথম শ্রেণির অভিষেক হয়। প্রথম ম্যাচেই তিনি জানিয়ে দেন, নিজের আগমণী বার্তা। অপরাজিত ৭৭ রান করার পাশাপাশি নেন ১২ উইকেট। ১৯৬৯ সালে যে পারফরম্যান্সের ওপর ভর করে হায়দরাবাদ ব্লুজের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়ে যায় পিডব্লিউডি।

তবে আফতাব বালুচের দুর্ভাগ্য, তার সময়টায় পাকিস্তান পেয়েছিল দেশটির ইতিহাসের কিংবদন্তী ব্যাটারদের। সাকিব মাহমুদ, মাজিদ খান, জহির আব্বাস, আসিফ ইকবাল, মুস্তাক মোহাম্মদ এবং তাদের পরপরই জাভেদ মিয়াঁদাদদের। এতবড় ব্যাটিং লাইনআপের ভিড়ে আর টেস্ট দলে জায়গা হয়নি আফতাব বালুচের। খেলার সুযোগ পেয়েছেন কেবল ২ ম্যাচে।

১৯৬৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকের পর তিনি দ্বিতীয় টেস্ট খেলার সুযোগ পান ১৯৭৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লাহোরের গাদ্দাফী স্টেডিয়ামে। ওই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬০ রান করে পাকিস্তানকে ড্র করতে সহায়তা করেন।

ক্রিকেট

ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ খবর জানালেন : আকরাম খান

ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ খবর জানালেন : আকরাম খান

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল)। যেখানে ...

এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশ একাদশে ১৪ জন প্রায় চূড়ান্ত

এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশ একাদশে ১৪ জন প্রায় চূড়ান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: এশিয়া কাপ ২০২৫ সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের স্কোয়াড প্রায় চূড়ান্ত। একাধিক ...

ফুটবল

এশিয়া কাপের উত্তেজনার মাঝেই লিগস কাপ ২০২৫: কে এগিয়ে, সর্বশেষ পয়েন্ট তালিকা

এশিয়া কাপের উত্তেজনার মাঝেই লিগস কাপ ২০২৫: কে এগিয়ে, সর্বশেষ পয়েন্ট তালিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : লিগস কাপ ২০২৫-এর গ্রুপ পর্ব এখন জমজমাট। মেক্সিকোর Liga MX এবং যুক্তরাষ্ট্রের ...

ইন্টার মায়ামি বনাম নেকাক্সা: জেনেনিন ম্যাচের সময়,লাইভ দেখার উপায়, ও ম্যাচ প্রেডিকশন

ইন্টার মায়ামি বনাম নেকাক্সা: জেনেনিন ম্যাচের সময়,লাইভ দেখার উপায়, ও ম্যাচ প্রেডিকশন

নিজস্ব প্রতিবেদক : লিগস কাপ ২০২৫-এর গ্রুপ পর্বে জমজমাট লড়াইয়ের অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমীরা। শনিবার রাতে মুখোমুখি ...

Scroll to top

রে
Close button