ব্রেকিং নিউজ : এবারের বিপিএল নিয়ে মাত্র পাওয়া গেলো অনেক বড় দু:সংবাদ
তবে এবার দর্শকরা একটু হতাশ হবেন। কারণ এবারের বিপিএলে ডিআরএস নেই। করোনা ভাইরাসের কারনে ডিআরএস সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হক আইয়ের কোনো কর্মী বাংলাদেশে আসতে পারছে না। ফলে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ডিআরএস নেই।
এ প্রসঙ্গে বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেছেন, 'কোভিড পরিস্থিতিতে আমরা রাখতে পারছি না ডিআরএস। এখন ওরা (টেকনিশিয়ানরা) কেউ ফ্লাই করতে পারছে না। ওদের দুইটা টিম এখন দুই দেশে আছে, সেখান থেকে এই অবস্থায় বাংলাদেশে আসতে পারবে না। ডিআরএসের সোর্স সারাবিশ্বে একটাই (হক-আই কোম্পানি)। ওরাই দেয় সব জায়গায়। ওমিক্রনের কারণে কেউ আসতে চাচ্ছে না। বিপিএলের পর আফগানিস্তান সিরিজ। সেটিতেও রাখতে পারব কিনা, সেটাও কথা বলতে হচ্ছে।'
বিপিএলের সর্বশেষ সংস্করণে শুরু থেকেই ডিআরএস থাকলেও শুরুতে ছিল না আল্ট্রাএজ প্রযুক্তি। এর ফলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল বিপিএলের আয়োজকদের। এবার থাকছে না ডিআরএসের কোনো সুবিধাই। যদিও এই বিষয়গুলো দ্রুতই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মল্লিক।
তিনি বলেন, 'ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে তো আসলে আলোচনার কিছু নেই। ডিআরএস পাইনি, তাদেরকে জানিয়ে দেব। আর শুধু বিপিএলে তো নয়, আন্তর্জাতিক সিরিজেও ভুল সিদ্ধান্ত হয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেও আম্পায়াররা আমাদের ৪-৫টা ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এটা গোটা বিশ্বেই হয়। সবাইকে তা বুঝতে হবে।'
প্রতিবারই বিপিএলের সম্প্রচারের মান ও মানসম্পন্ন ধারাভাষ্যকারের অভাবের কারণেও সমালোচকদের রোষানলে পড়তে হয় আয়োজকদের। এবার বিদেশি ধারাভাষ্যকার থাকলেও দেশি তরুণ ধারাভাষ্যকারদের প্রাধান্য থাকবে এবারের বিপিএলে।
এ প্রসঙ্গে মল্লিক বলেন, 'আমরা তো স্থানীয়দের ওপর ফোকাস বেশি করতে চাই। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে তো বটেই, বিপিএলেও। এখন আমরা স্থানীয় তরুণ কিছু ধারাভাষ্যকারকে প্রমোট করার চেষ্টা করছি। অন্তত ৫০ ভাগ ধারাভাষ্যকার আমরা স্থানীয় রাখতে চাই। এটা আমাদের চাওয়া, পুরোটাই বিদেশি ভালো ধারাভাষ্যকার রাখার ইচ্ছা আমাদের নেই। আমরা চাই স্থানীয়দের স্লট যেন অর্ধেক থাকে।'
বিপিএলের এবারের আসরের সম্প্রচার নিয়ে আশার বাণী শোনালেন বিসিবির এই শীর্ষ কর্মকর্তা। ২৬-২৭ টি ক্যামেরায় বিপিএল সম্প্রচারের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, 'প্রোডাকশন ভালো করার চেষ্টা করা হবে। প্রতিবারই ২৬-২৭টি ক্যামেরা থাকে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজের চেয়ে বেশি থাকে, এবারও থাকবে। অতীতে গ্রাফিক্স নিয়ে সমস্যা হয়েছে। এবার সতর্ক থাকার চেষ্টা করা হবে। ওভারঅল প্রোডাকশন লেভেল ভালো হবে আশা করি। ডিআরএস না থাকলে তো বড় ঘাটতি থাকেই। তবে অন্যান্য সব প্রযুক্তি, ড্রোন বা যা থাকে, সব থাকবে।'