অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি স্বেচ্ছামৃত্যু চান ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা অধিনায়ক

চলতি বছরেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ইলিংওয়ার্থের স্ত্রী শারলি। ইলিংওয়ার্থ নিজেও খাদ্যনালীর ক্যান্সারে ভুগছেন। এখন তার রেডিওথেরাপি চলছে। ইলিংওয়ার্থের সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কম হলেও একেবারে শেষ যায়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে নিজের ও স্ত্রীর অবস্থা পর্যবেক্ষণের পরে ইংল্যান্ডের ‘ইউথেনেসিয়া’ চালুর দাবি জানিয়েছেন ইলিংওয়ার্থ।
ইউথেনেসিয়া’ একটি গ্রীক শব্দ। এই শব্দটির বাংলা অর্থ হয় স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ, বা যন্ত্রণাবিহীনভাবে মৃত্যু ঘটানো বা আরামের মৃত্যুবরণ। সাধারাণত, যখন কোনো ব্যক্তি অসুস্থতার কারণে চিকিৎসাগতভাবে দেখা যায় তার বাঁচার আশা আর নেই তখন তিনি ইউথেনেসিয়ার পথে হাঁটতে পারেন। ভারত, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বেশ কিছু দেশে ইউথেনেসিয়া বৈধ।
২০০১ সালে এনএইচএস ট্রাস্ট বি বনাম এইচ মামলার মাধ্যমে ইংল্যান্ডের হাইকোর্ট অব জাস্টিস ইউথেনেসিয়াকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। তবে বরাবরের মতোই রক্ষণশীল হাউজ অব লর্ডসের আরেক সিদ্ধান্তে তা ভেস্তে যায়। ডায়ান প্রেটি কেসের মাধ্যমে হাউজ অব লর্ডস ও পরবর্তীতে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস ইউথেনেসিয়াকে ইংল্যান্ডে অবৈধ ঘোষণা করেন।
ডায়ান প্রেটি ছিলেন মোটর নিউরনে আক্রান্ত একজন রোগী। তিনি ইংল্যান্ডের সর্বনিম্ন আদালত থেকে শুরু করে ইউরোপের মানবাধিকার আদালত পর্যন্ত লড়াই করেছিলেন ইউথেনেসিয়ার বৈধতা আদায়ের জন্য। তবে ইংল্যান্ড তাকে সেই অনুমতি দেয়নি। অবশেষে ২০০২ সালে মারা যান ডায়ান প্রেটি।
দীর্ঘ দুই দশক ধরেই ইংল্যান্ডে স্বীকৃতভাবে ইউথেনেসিয়া নিষিদ্ধ। এর মাঝে অনেকেই এর বৈধতার দাবি জানিয়েছেন। তবে এবার সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক ইলিংওয়ার্থের দাবি বেশ জোরালেভাবেই প্রচারিত হয়েছে। ইলিংওয়ার্থ বলেন,
“আমার স্ত্রী জীবনের শেষ ১২ মাসে যে কষ্ট পেয়েছে, আমিও সেটি পেতে চাই না। হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ছুটে সে অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করেছে। সত্যি বলতে, আমি এভাবে বেঁচে থাকার কোনো মানে দেখি না। আমি স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে সমর্থন করি। কিন্তু ইংল্যান্ডে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর সুযোগ নেই, তাই আপনি সেটি করতে পারছেন না। এটি খুবই বিতর্কিত একটি বিষয়।”
ইউথেনেসিয়ার পক্ষে যুক্তি দিয়ে ইলিংওয়ার্থ আরও বলেন, “অনেক চিকিৎসক আছেন যারা ইউথেনেসিয়ার বিপক্ষে, কিন্তু তাদেরকে যদি আমার স্ত্রীর মতো জীবনযাপন করতে হত তাহলে হয়ত তারা নিজেদের চিন্তাধারা পরিবর্তন করতেন।”
নিজের স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতি সম্পর্কে ইলিংওয়ার্থ জানান যে এখন তার চিকিৎসার দ্বিগুণ ডোজ দেওয়া হচ্ছে। আগামী দুই সপ্তাহ এভাবেই চলবে। তিনি আশা করছেন, ভাগ্য তার পক্ষে আসবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৮ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলেছেন তিনি। খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি ছিলেন স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার। ছিলেন বেশ সফল অধিনায়ক। ৩১টি টেস্ট ম্যাচে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইলিংওয়ার্থ। তার নেতৃত্বে ইংল্যান্ড জয় পেয়েছে ১২টি ম্যাচে, ড্র করেছে ১৪টি ম্যাচ ও ৫ ম্যাচে হেরেছে।
- নুরুল হকের দেহ পুড়ানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে যা বললো অন্তর্বর্তী সরকার
- বাংলাদেশ বনাম ইয়েমেন ম্যাচ: সময়সূচি, সম্ভাব্য একাদশ ও লাইভ দেখার উপায়
- ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট পেল আরও তিন দল, জানুন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার অবস্থান
- ওয়ানডে দুনিয়ায় নতুন রেকর্ড: প্রথম পাঁচ ম্যাচেই রেকর্ড
- দেশে প্রথমবার পাসপোর্ট সেবায় বড় পরিবর্তন
- শবনম ফারিয়ার পোস্টে যে কমেন্ট করলেন সারজিস আলম
- আগামীকাল বাংলাদেশ বনাম নেপাল: সময়সূচি, দল ও লাইভ দেখার সব তথ্য
- নেপালের বিপক্ষে প্রতিশোধের লড়াইয়ে একটু পরেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ
- হাসনাতকে উপহার পাঠানোর কারণ জানালেন রুমিন ফারহানা
- তবে কি বিশ্বকাপে খেলবেন মেসি, যা বললেন তিনি নিজেই
- রাজধানীতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন ও ভাঙচুর, চাঞ্চল্য ছড়াল
- হাতে-পায়ে প্লাস্টার, তবুও হাসপাতালেই বেডেই হলো আনন্দের বিয়ে
- এইমাত্র শেষ হলো বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেট ম্যাচ
- আগামীকাল সরকারি ছুটি: বন্ধ থাকবে যেসব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান
- একলাফে বেড়েছে সৌদি রিয়ালের রেট: প্রবাসীরা পাচ্ছেন বাড়তি সুবিধা (৬ সেপ্টেম্বর)