বিদায় বেলায় পাপনকে নিয়ে যা বললেন মাহমুদউল্লাহ
টেস্টের মাঝপথে একাদশে থাকা একজন খেলোয়াড়ের ড্রেসিংরুমে অবসরের ঘোষণা কতটা ক্রিকেটীয়, প্রশ্ন উঠেছিল তা নিয়েও।তবে হারারে টেস্টের পর মাহমুদউল্লাহ এ নিয়ে আর কোনো কথাই বলেননি। যখনই তার কাছে টেস্ট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয়েছে, তিনি সে প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেছেন।
অবশেষে তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটি এল। বুধবার জানা গেল, মাহমুদউল্লাহ হারারেতে তার শেষ টেস্টটি খেলে ফেলেছেন।এক বিবৃতিতে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, এত বছর পর ক্রিকেটের কোনো সংস্করণকে বিদায় বলাটা সহজ নয়। আমি সব সময়ই মাথা উঁচু করে থাকতে চাই। আমি মনে করি আমার জন্য এটিই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলার উপযুক্ত সময়।
মাহমুদউল্লাহ টেস্টকে বিদায় বলার দিন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নাজমুল হাসানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তার ভাষায়, বেশ কিছু দিন দলের বাইরে থাকার পর আমি যখন টেস্ট দলে ফিরি, তখন তিনিই আমাকে সমর্থন দিয়েছেন।
বর্তমানে বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ সতীর্থদেরও ধন্যবাদ দিয়েছেন। তিনি বলেন, তারা সব সময়ই আমার সামর্থ্যের প্রতি আস্থা রেখেছে। বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট খেলাটা সব সময়ই দারুণ সম্মান ও গৌরবের বিষয়। আমি এই চমৎকার স্মৃতি নিয়েই থাকতে চাই।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্ট ছিল মাহমুদউল্লাহর ক্যারিয়ারের ৫০তম টেস্ট। ১২ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে খেলা এই ৫০ টেস্টে ৩৩.৪৯ গড়ে মাহমুদউল্লাহ রান করেছেন ২৯১৪। উইকেট পেয়েছেন ৪৩টি। ছয়টি টেস্টে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি।
টেস্ট ক্রিকেট ছাড়লেও বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলে যেতে চান তিনি। মাহমুদউল্লাহর ভাষায়, যদিও আমি টেস্ট থেকে অবসর নিচ্ছি, কিন্তু আমি বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি খেলা চালিয়ে যেতে চাই। মাঠে দেশের জন্য সামর্থ্যের সর্বোচ্চটাই দিতে চাই।