তামিম অবসর নিবেন : অবিশ্বাস্য মন্তব্য করলেন : পাপন
বিসিবি সভাপতি বলেন, তামিম প্রতিটা সিদ্ধান্তই আমার সঙ্গে আলাপ করে নিয়েছে। গত নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়ার আগেই আমাকে জানিয়েছিল যে, সে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চায়। এই ফরম্যাটে আর খেলতে চায় না।
পাপন আরও বলেন, সেসময় আমিই তাকে বলেছি, তুমি এখন এসব কিছু করো না, আগে ঘুরে আসো তারপর দেখা যাবে।
তামিম প্রসঙ্গ ছাড়াও বিসিবি সভাপতির আলাপে এদিন উঠে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের আরও অনেক প্রসঙ্গ। তার কথায় টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর ব্যথিত হওয়া নিয়েও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া আভাস দিয়েছেন লাল-সবুজের অধিনায়কত্বে পরিবর্তনের।
বাংলাদেশের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। গত ৮-১০ বছর ধরে সব ফরম্যাটে বাংলাদেশের বেশিরভাগ সাফল্যের অন্যতম স্বার্থক রূপকারও বাঁ-হাতি এ ওপেনার।
গত ১ সেপ্টেম্বর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক লাইভে এসে বিশ্বকাপ না খেলার সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। সেসময় তামিম বলেন, ছোট্ট একটা ঘোষণা ছিল। আমি আগেই বোর্ড সভাপতি পাপন ভাই ও প্রধান নির্বাচক নান্নু ভাইকে ফোন করেছিলাম। ফোন করে কিছু জিনিস শেয়ার করেছি। যেটা আপনাদের সঙ্গেও শেয়ার করতে চাই। আমি উনাদের বলেছি যে, আমার মনে হয় না, বিশ্বকাপ দলে আমার থাকা উচিত। সরাসরি বললে বিশ্বকাপ দলে আমি থাকছি না।
নিজের এমন সিদ্ধান্তের পেছনের কারণগুলোও ব্যাখ্যা করেন তামিম। তিনি বলেন, বিশ্বকাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর বড় একটা কারণ, বেশ কয়েকদিন ধরে খেলছি না এ ফরম্যাটে। দ্বিতীয়ত, ইনজুরি। যদিও ইনজুরি আমার মনে হয় না অত বড় সমস্যা। কারণ আমি আশা করি যে বিশ্বকাপের আগেই ঠিক হয়ে যাব। গত দেড়বছর ধরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নেই বিশ্বসেরা এ ক্রিকেটার।
তিনি বলেন, কঠিন এ সিদ্ধান্ত নিতে আমার কাছে যে বিষয়টি মুখ্য মনে হয়েছে, যেহেতু সর্বশেষ ১৫-১৬ টি-টোয়েন্টি খেলিনি এবং আমার জায়গায় যারা খেলছিল, আমার মনে হয় না, এটা কোনোভাবে ফেয়ার হবে তাদের প্রতি, যদি আমি হঠাৎ করে এসে ওদের জায়গাটা নিয়ে নেই।
বিশ্বকাপ দলে তাকে রাখা হতো বলে ধারণা করছিলেন তামিম। কিন্তু সেটা ঠিক হতো বলে তিনি মনে করছেন না। তামিম বলেন, হয়তোবা আমি বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেতাম। আমি মনে হচ্ছে, হয়তো বা থাকতাম। তবে মনে হয় না, সেটি ঠিক হতো।