মুশফিকের সাথে তুলনা করায় ক্ষেপেছেন সোহান
এ সময় জানতে চাওয়া হয়, জাতীয় দলে ফেরার জন্য নিশ্চয়ই অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে? জবাবে সোহান বলেন, কষ্ট তো করতে হয়ই। যে দু-তিন বছর জাতীয় দলের বাইরে ছিলাম ওই সময় একটা একটা প্রশ্ন মাথায় ঘুরত, আমি শতভাগ পরিশ্রম করছি কিনা। এই উপলব্ধির পর থেকে প্রসেস, কঠোর পরিশ্রম ও সততাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি।
যতদিন ক্রিকেট খেলব, যে পর্যায়েই খেলি, কোনো দিন যেন মনে না হয় সততার সঙ্গে কাজটি করিনি। জানতে চাওয়া হয়, কী কী পরিবর্তন করেছেন? সোহান বলেন, স্কিল নিয়ে তো কাজ করতেই হয়। মূল পরিবর্তনটা এসেছে মানসিকতায়। আগে ভালো খেলা, খারাপ খেলা নিয়ে ভয়ে থাকতাম। বিষয়গুলোকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় নেতিবাচক চিন্তা বেশি হতো।
এখন সেটা নেই। প্রসেস, পরিশ্রম ও সততার সঙ্গে ব্যাটিং, কিপিং ও ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি। বাবুল স্যার ব্যাটিং দেখতেন। মুর্তজা স্যার কিপিং আর ট্রেনার রাসেল ভাই দেখতেন ফিটনেস। এ সময় জানতে চাওয়া হয়, পুরো সিরিজেই তো কিপিং করলেন, কেমন হলো? সোহান বলেন, এই সিরিজে কিপিং নিয়ে অনেক কথা হয়েছে।
আমার কাছে যেটা মনে হয় মুশফিক ভাই শুধু বাংলাদেশই না বিশ্বের অন্যতম সেরা একজন কিপার-ব্যাটসম্যান। ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশ দলকে সার্ভ করছেন। আমি তো জাতীয় দলে এক বছরও ধারাবাহিক খেলিনি। আমার চেষ্টা থাকবে মুশফিক ভাইয়ের মতো যেন হতে পারি। তাই বলব, আমার ও মুশফিক ভাইয়ের মধ্যে তুলনা করা বোকামি হবে।