হারিয়ে যাওয়া এক নক্ষত্র-এনামুল হক বিজয়

২০১২ সালের শেষ দিকে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ওয়ানডে অভিষেক। রান, সেঞ্চুরি সবকিছু মিলিয়ে বিজয় ক্যারিয়ারের শুরুতেই সকলের প্রশংসায় ভাসতে থাকেন। নিয়মিত রান হয়ত পাচ্ছিলেন না, তবে মাঝেমধ্যে বড় ইনিংস খেলছিলেন। সবকিছু ভালোই চলছিল। তবে ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ফিল্ডিং করার সময় হাতে মারাত্মক আঘাত পান বিজয়। পরে আর সেই বিশ্বকাপেই খেলতে পারেননি।
এরপরই যেন বিজয়ের হারিয়ে যাওয়ার শুরু। এরপরে আর জাতীয় দলে ভালোভাবে সুযোগই পাননি বিজয়, নিজের পারফরম্যান্সও ঠেকে তলানিতে। তবে একেবারে যে সুযোগ পাননি এমনটাও নয়, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কিছু ম্যাচে খেলানো হলেও আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি, হয়েছেন মোটাদাগে ব্যর্থ। ঘরোয়া ক্রিকেটে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স একেবারেই যাচ্ছেতাই, কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছে না। দলে তাই সুযোগও পাচ্ছেন না বিজয়।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিনি খেলেছেন মূলত সীমিত ওভারের ক্রিকেটই। টেস্টে ৪ ম্যাচ খেলে ৯ গড়ে রান করেছেন মোটে ৭৩। একজনের ওপেনারের জন্য যা শুধু বাজেই নয়, ভয়াবহ রকমের বাজে পরিসংখ্যান। সেজন্য টেস্টে সুযোগও পাননি খুব বেশি। ওয়ানডেতে ১০৫২ রান করেছেন ৩০ গড়ে, স্ট্রাইকরেট ৭১। টি-টোয়েন্টিতে ৩২ গড়ে রান করলেও স্ট্রাইকরেট ১১৮, টি-টোয়েন্টির হিসাবে একদমই যুতসই না।
বিজয়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে ডট বল খেলা আর স্ট্রাইক রোটেট করতে না পারা। রান যা করার তার বেশিরভাগই চার-ছয় মেরে বাউন্ডারি থেকেই তোলেন। সিঙ্গেল বের করতে পারেন না, খেলে ফেলেন অনেক বেশি ডট বল। যার কারণে স্ট্রাইকরেটের এই করুণ দশা।
গত কয়েক বছরে ঘরোয়া ক্রিকেটেও ছিলেন অধারাবাহিক। মাঝেমধ্যে দুই-এক ম্যাচে রান করলেও পরের বহু ম্যাচে রান করতে পারছেন না। বিপিএল, জাতীয় লিগ, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, বঙ্গবন্ধু টি-২০, বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপসহ প্রায় সকল টুর্নামেন্টে সুযোগ পাওয়ার পরেও ব্যর্থতার গল্পটা ঘুরেফিরে একইরকম। অনেক বেশি ডট বল খেলা, স্ট্রাইক রোটেট করতে না পারা, স্ট্রাইকরেটের বিচ্ছিরি দশা আর দলের চাহিদা মিটিয়ে রান করতে না পারার ব্যর্থতা লেগেই আছে।
যেই এনামুল বিজয়কে ভাবা হচ্ছিল দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ আজ সেই বিজয় জাতীয় দলের আশেপাশেও নেই। কোনোদিন আবার জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন কিনা সেটা নিয়েও আছে সন্দেহ। অথচ একই সাথে অ-১৯ বিশ্বকাপ খেলা মোসাদ্দেক, তাসকিন, সোহান, লিটন, সৌম্য, রাহিরা অন্তত জাতীয় দলের বিবেচনায় আছেন। আর সেই দলের অধিনায়ক বিজয় হারিয়ে গেছেন সময়ের সাথে। বড় তারকা হতে গিয়ে মাঝপথে ছিটকে যাওয়া এনামুল হক বিজয় হয়ত দেশের ক্রিকেটে আক্ষেপের একটা নাম হয়েই থাকবেন।
- এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা
- সিগারেটের বাংলা অর্থ কী, অনেকেই বলতে পারেন না, না জানলে জেনেনিন আপনিও
- হঠাৎ মুস্তাফিজকে নিয়ে যে মন্তব্য করে আলোচনার ঝড় তুললেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার
- সকালে প্রথমে পানি না ব্রাশ? ৯০% মানুষ এই ভুলটি করে
- অজুর পর মূত্র ফোঁটা বেরিয়েছে মনে হলে যা করবেন
- তবে কি ফিরছেন অবহেলিত টাইগার ক্রিকেটার! সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে চমক বাংলাদেশ দলে
- টি-টোয়েন্টিতে নতুন চমক: বুলবুলের মাস্টারপ্ল্যানে সাইফের পর আরেক চমক
- নির্বাচনে যত শতাংশ ভোট পাবে বিএনপি ও জামায়াত, জরিপে উঠে এলো যে তথ্য
- জানেন এবার এক লাফে কত কমলো ভরি প্রতি স্বর্ণের দাম, বিনিয়োগকারীদের ঘুম হারাম
- সুখবর! এই দুই দেশে যেতে বাংলাদেশিদের আর ভিসা লাগবে না
- তুমুল সংঘর্ষে ভারতে পালাল চার হাজার মানুষ
- পেঁয়াজের বাজারে সুখবর
- হিজড়াদের ৩টি জিনিসে ভুলেও হাত দেবেন না
- দেশের ব্যাংক গুলো নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত, ১২টি গ্রুপে ভাগ করার ঘোষণা দিলো : বাংলাদেশ ব্যাংক
- ভারত বাংলাদেশ সিরিজ নিয়ে অবিশ্বাস্য সিদ্ধান্ত, অন্য পথ বেছে নিলো টাইগাররা