রোনালদোর দেশের হয়ে অভিষেক হলো মুশফিক-সাকিবদের সাথে বিশ্বকাপ খেলা ক্রিকেটারের

কিন্তু একটা ইনজুরিতে থমকে যায় নিপুর ক্রিকেট ক্যারিয়ার। দীর্ঘ দিন আড়ালে থাকার পর হঠাৎই আবার আলোচনায় হবিগঞ্জে বেড়ে ওঠা এই ক্রিকেটার। ইনজুরিতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানো হয়নি নিপুর। কিন্তু এখন তিনি ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর দেশ পর্তুগাল জাতীয় দলের খেলোয়াড়।
নিপু সম্ভাবনাময় অলরাউন্ডার হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেছিলেন দেশের ক্রিকেটে। দুর্দান্ত বাঁহাতি পেস বোলিং, সাথে মিডল অর্ডার ব্যাটিং। কিন্তু গ্রামের মাঠে মারুতি বল দিয়ে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে বাম চোখে আঘাতে সবকিছু থেমে যায় তার। বিসিবি থেকে চিকিৎসার যথাযথ উদ্যোগ না নেওয়ায় হতাশায় ক্রিকেট ছেড়ে জীবিকার তাগিদে পাড়ি দেন পর্তুগালে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে ক্রিকেট খেলতেন। এভাবেই এখন তিনি পর্তুগাল জাতীয় দলের খেলোয়াড়। একসময় তার সতীর্থ মুশফিক, সাকিব ও তামিমের ক্যারিয়ারের অর্জন যেখানে আকাশ ছোঁয়া, সেখানে একই পর্যায়ের খেলোয়াড় হয়েও এখন তিনি ক্রিকেট খেলতে পারার আনন্দেই তৃপ্তি খুঁজে পান।
বৃহস্পতিবার পর্তুগালের আলবারগারিয়াতে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে নিপুর। মাল্টার বিপক্ষে পর্তুগাল জয়লাভ করে ৬ উইকেটে। নিপু পর্তুগালের পক্ষে ৪ ওভারে ২৮ রানে নেন সর্বোচ্চ ২টি উইকেট। শনিবার নিপুর পর্তুগাল মুখোমুখি হবে জিব্রালটার।
নিপু বাংলাদেশের বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক দলের পক্ষে অনেক দেশ সফর করেন। অস্ট্রেলিয়ান প্রাদেশিক প্রতিযোগিতা ডারউইন প্রিমিয়ার লিগে ডামরিন ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলার সুযোগ পেয়ে নিপু তার জাত ছিনিয়েছিলেন। একটি ম্যাচে পালমারস্টন ক্রিকেট ক্লাবের বিরুদ্ধে ৮৮ রান করেন এবং ৬ উইকেট নেন।
সংবাদমাধ্যমে নিপু সম্পর্কে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদের মূল্যায়ন ছিল, ‘তিনি একজন দুর্দান্ত অলরাউন্ডার ছিলেন, একটি ম্যাচের গতি পরিবর্তন করার স্বাভাবিক ক্ষমতা ছিল।’ বাংলাদেশের ‘হাই পারফরম্যান্স স্কোয়াড’ এর সাবেক কোচ শন উইলিয়ামস ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, নিপু হবে বাংলাদেশের জাতীয় দলের পরবর্তী তারকা অলরাউন্ডার। উইলিয়ামসই এই তরুণকে ২০০৭ সালে ডারউইন ক্লাবের হয়ে খেলতে পাঠান।
মাত্র ১৭ বছর বয়সে মোহামেডানের মত দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন নিপু। সিলেট বিভাগের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও অভিষেক হয় অল্প বয়সে। বিকেএসপিতে ভর্তি হওয়ার পর প্রতিটি বয়সভিত্তিক দলের অটোমেটিক চয়েস ছিলেন নিপু। ২০০৯ সালে ঢাকা লিগের জন্য হবিগঞ্জে নিজেকে প্রস্তুত করার সময় চোখে বলের আঘাতে সবকিছু শেষ হয়ে যায় তার। এর পর অনেক চেষ্টা আর চিকিৎসায়ও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
বিসিবির সহযোগিতা পেলে হয়তো পুরোপুরি নিজেকে সুস্থ করতে পারতেন বলে মনে করেন নিপু। বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন পূরণ না হওয়া এবং সতীর্থ সাকিব, তামিম আর মুশফিকের অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া আর নিজের পিছিয়ে পড়া নিয়ে হতাশ হলেও এখন পর্তুগালের হয়ে সফলতা অর্জন করাই তার লক্ষ্য বলে জানান ৩৩ বছর বয়সী নিপু।
- শোক সংবাদ : জামায়াত আমির শফিকুর রহমানের পরিবারে শোকের ছায়া
- অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্থানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনা নিহতের সংখ্যা জানলে চমকে যাবেন
- এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা
- সিগারেটের বাংলা অর্থ কী, অনেকেই বলতে পারেন না, না জানলে জেনেনিন আপনিও
- হঠাৎ মুস্তাফিজকে নিয়ে যে মন্তব্য করে আলোচনার ঝড় তুললেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার
- সকালে প্রথমে পানি না ব্রাশ? ৯০% মানুষ এই ভুলটি করে
- অজুর পর মূত্র ফোঁটা বেরিয়েছে মনে হলে যা করবেন
- তবে কি ফিরছেন অবহেলিত টাইগার ক্রিকেটার! সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে চমক বাংলাদেশ দলে
- টি-টোয়েন্টিতে নতুন চমক: বুলবুলের মাস্টারপ্ল্যানে সাইফের পর আরেক চমক
- শেখ হাসিনার লন্ডন যাত্রা নিয়ে যা জানা গেছে
- মাশরাফির যে এক কথাতেই ভাইরাল বাংলাদেশ ক্রিকেট
- প্রবাসীদের জন্য সুখবর, ডলারসহ সব মুদ্রার সর্বশেষ হালনাগাদ রেট"
- নির্বাচনে যত শতাংশ ভোট পাবে বিএনপি ও জামায়াত, জরিপে উঠে এলো যে তথ্য
- বাড়লো আজকের সৌদি রিয়াল রেট (৬ জুলাই ২০২৫)
- নাভিতে যে তেল দিলেই মিলবে যৌ‘বন