ছাত্রলীগের মিছিল, পরিস্থিতি থমথমে হওয়ার...........

নেত্রকোণা জেলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উদ্যোগে একটি ঝটিকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে জেলা শহরের তেরিবাজার এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি খুব অল্প দূরত্ব অতিক্রম করে শেষ হয়, তবে এটি স্থানীয় পর্যায়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে।
মিছিলের নেতৃত্ব ও উপস্থিতিমিছিলের নেতৃত্ব দেন নেত্রকোণা জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৌশিক রায়। এছাড়া, জেলা ছাত্রলীগের আরও কয়েকজন নেতৃবৃন্দ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজনের নাম স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তা প্রকাশ করা হয়নি। মিছিলটি পরিকল্পিতভাবে সংক্ষিপ্ত রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে, যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ এড়ানো যায়।
মিছিলের উদ্দেশ্যমিছিলের মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য জানা না গেলেও, এটি সংগঠনের অবস্থান জানান দেওয়া এবং নিজেদের কার্যক্রম এখনও সক্রিয় আছে এমন বার্তা দেওয়ার প্রচেষ্টা হতে পারে। মিছিলের মাধ্যমে তারা তাদের সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করার পাশাপাশি প্রশাসনের প্রতি একটি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছে।
মিছিলের সমাপ্তিমিছিলটি তেরিবাজার এলাকায় শেষ হওয়ার পরপরই উপস্থিত নেতৃবৃন্দ দ্রুত ছত্রভঙ্গ হয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তাদের ছত্রভঙ্গ হওয়ার পদ্ধতি থেকে বোঝা যায়, এটি পরিকল্পিত একটি কাজ ছিল এবং যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার প্রস্তুতি তাদের ছিল।
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়ামিছিলটি সম্পন্ন হওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতোমধ্যে এলাকাজুড়ে নজরদারি বাড়িয়েছে এবং ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হতে পারে।
প্রেক্ষাপটউল্লেখ্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সরকার এ সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ করতে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর ফলে সংগঠনের নেতাকর্মীরা গোপনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার চেষ্টা করছে। নেত্রকোণার এই মিছিল তারই একটি উদাহরণ।
স্থানীয় প্রতিক্রিয়ামিছিলটি স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ এ ধরনের কার্যক্রমকে এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা বলে মনে করছেন, আবার কেউ এটিকে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন বলে সমর্থন করছেন। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে উদ্বেগও লক্ষ করা গেছে।
সার্বিকভাবে, মিছিলটি নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রম এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। প্রশাসনের পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি কেমন হবে, সেটি এখন দেখার বিষয়।
- বিপিএলের ফাইনাল সেরা ও টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা
- বিপিএল ২০২৫ : এক নজরে দেখেনিন কে কত টাকা পুরস্কার পেলেন
- হাসপাতালে সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ
- বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে আসছে দুই পরিবর্তন
- ফার্মগেটের ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ এসে ঘিরে রেখেছে
- বিপিএলে ‘৬’ জন প্লেয়ারকে রিটেইনের চাইলেন তামিম
- চ্যাম্পিয়ন হয়ে সাকিব-মাশরাফিকে নিয়ে কথা বললেন তামিম
- বিপিএলের ফ্লপ একাদশ ঘোষণা
- কঠিন সিদ্ধান্ত নিলো ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবীরা
- ‘সাকিব ভাই’কে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ
- ব্রেকিং নিউজ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গায়েবানা জানাজা
- বিপিএলের সেরা একাদশ ঘোষণা করলো ক্রিকইনফো
- বেড়ে গেলো আজকের সৌদি রিয়াল রেট
- রাজধানীবাসীর ঘুম হারাম করে দেব: সাবেক মেয়রের হুমকি ভাইরাল
- বিমান বিধ্বস্ত, নিহত সকল যাত্রী