ICC-র নিষেধাজ্ঞা, ক্ষতি হলো শত শত কোটি,শুরু হলো চরম বিপদ

ভারতের চাপের কাছে মাথা নত করার পক্ষপাতী নয় পাকিস্তান, এমন বার্তা দিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের জন্য দৃঢ় মনোভাব ব্যক্ত করেছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) একদিকে হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের প্রস্তাব দিলেও, পাকিস্তান সরকার তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকতে চায় এবং এই টুর্নামেন্ট শুধুমাত্র পাকিস্তানেই আয়োজিত হবে, এমন বার্তা দিয়েছে।
**পিসিবি-র অবস্থান: "বাইরে নয়, পাকিস্তানেই আয়োজন হবে"**
পিসিবির এক unnamed কর্মকর্তা জানিয়েছেন, "আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছি। সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কোনো ম্যাচ দেশের বাইরে আয়োজন করা হবে না। এই টুর্নামেন্টের আয়োজনের স্বত্ত্ব আমাদের হাতে, এবং আমাদের দেশেই এই ইভেন্ট হবে।"
পিসিবি আরও জানিয়েছে, তারা আইসিসি থেকে ভারতীয় বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা চেয়ে একটি ইমেল পাঠিয়েছে। "আমরা বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্তের কারণ জানতে চেয়েছি। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট—এই টুর্নামেন্ট পাকিস্তানের মাটিতেই হবে," বলেছেন পিসিবি-র ওই কর্মকর্তা।
**ভারতের হাইব্রিড মডেল এবং আইসিসির ভূমিকা**
ভারতীয় বোর্ড চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের জন্য হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে ভারতের ম্যাচগুলি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং পাকিস্তান তাদের সব ম্যাচ নিজেদের দেশে আয়োজন করবে। আইসিসি এই প্রস্তাবের পক্ষে দাঁড়িয়ে জানিয়েছে, যদিও হাইব্রিড মডেল ব্যবহৃত হবে, তবে পাকিস্তানেই অধিকাংশ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এবং আয়োজক দেশ হিসেবে পাকিস্তানই পুরো হোস্টিং রাইটসের অর্থ পাবে।
তবে, পিসিবি পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছে যে তারা কোনোভাবেই ম্যাচগুলি পাকিস্তানের বাইরে আয়োজনে সম্মত হবে না।
**পাকিস্তান যদি বয়কট করে, তবে বড় আর্থিক ক্ষতি হতে পারে**
কয়েকটি সূত্রের দাবি, পিসিবি প্রধান মহসিন নকভি প্রয়োজনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে পাকিস্তান নাম প্রত্যাহার করে নিতে প্রস্তুত। কিন্তু ভারতের চাপের কাছে কোনোভাবেই নতি স্বীকার করবেন না। তবে, একাধিক মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান যদি ভারতের হাইব্রিড মডেল মেনে না নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে এতে পাকিস্তান ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের হোস্টিং রাইটস হারাতে পারে, পাশাপাশি আইসিসির কাছ থেকে পাওয়া সমস্ত অর্থও বন্ধ হয়ে যাবে।
**দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই বিরতি**
ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলি বহু বছর ধরেই বন্ধ রয়েছে, বিশেষ করে ২০০৮ সালের মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে। এর পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কেবল আইসিসি আয়োজিত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টগুলিতেই মুখোমুখি হয়েছে দুটি দল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং অন্যান্য আইসিসি ইভেন্টগুলোতেই তারা একে অপরের বিরুদ্ধে খেলে থাকে।
**চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভবিষ্যৎ নিয়ে অস্থিরতা**
এখন প্রশ্ন উঠছে, শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান এবং ভারত কোন অবস্থানে দাঁড়াবে। পিসিবি একদিকে তাদের জাতীয় স্বার্থে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানে আয়োজন করতে চায়, অন্যদিকে বিসিসিআই তাদের প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেল নিয়ে ভারতীয় দলের নিরাপত্তা এবং সুবিধা নিশ্চিত করতে চায়। দুদেশের ক্রিকেট সম্পর্কের এই জটিল পরিস্থিতি টুর্নামেন্টের ভবিষ্যত নিয়ে আরও অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
অতএব, আগামী দিনগুলোতে ক্রিকেট বিশ্বের দৃষ্টি থাকবে পাকিস্তান এবং ভারতের এই দ্বন্দ্বের দিকে, এবং তার ফলেই নির্ধারণ হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরবর্তী অধ্যায়।
- আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি কতটি আসন পাবে জানালেন : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
- W W W W W W, মাত্র ৬ রান দিয়ে ৬ উইকেট— ইতিহাসে সেরা বোলিং সাকিবের
- জানেন সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো
- হেড কোচ হলেন ডোয়াইন ব্রাভো, বাংলাদেশে সিমন্স, আর ঘরে ফিরলেন 'স্যার চ্যাম্পিয়ন'
- কম বয়সী ছেলেদের প্রতি কেন নারীদের বেশী আকর্ষণ
- এইচএসসি পরীক্ষা পেছানো নিয়ে যা জানা গেল
- ১০ হাজার ৭৫৯ দিন পর শ্রীলঙ্কা টেস্টে দেখল এমন এক ঘটনা
- ইশরাকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ
- সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল, প্রমাণ করল বাংলাদেশ
- আজকের মালয়েশিয়ান রিংগিত রেট (১৯ জুন ২০২৫)
- বাংলাদেশ-শ্রীলংকা টেস্ট : তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ
- আজকের ১৮ ক্যারেট,২১ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট সোনার দাম জেনেনিন
- একলাফে বেড়ে গেলো সিঙ্গাপুরের ডলার রেট, জেনেনিন আজকের রেট
- ইশরাক,কে নিয়ে বিএনপিকে যে বার্তা পাঠালো অন্তবর্তী সরকার
- কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হয়ে যায়