কঠিন সিদ্ধান্ত : ‘বয়কট ভারত ক্রিকেট’ নেয়া হতে পারে আরও কঠোর সিদ্ধান্ত

আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) পাকিস্তান সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে, তারা ঐতিহ্যবাহী এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবে না, যদি না ভারতের ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজন করা হয়। পাকিস্তান সফরে না গিয়ে ভারত হাইব্রিড মডেল প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে তাদের ম্যাচগুলো আলাদা ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
ভারতের এমন সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। দেশটির গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ভারতকে ছাড়াই আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের কথা ভাবছে পিসিবি। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে না খেলার মতো কঠোর সিদ্ধান্তও নিতে পারে পাকিস্তান।
**আইসিসির অনুষ্ঠান বাতিল, নতুন সূচির জটিলতা**
আজ (সোমবার) চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পাকিস্তানে নির্ধারিত একটি আইসিসি অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে আসন্ন এই মেগা ইভেন্টের সূচি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল এবং ১০০ দিনের কাউন্টডাউনও শুরু হতো। তবে ভারতের আপত্তির কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি নিয়ে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তানের করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডিতে এই টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা ছিল, যেখানে ৮টি দল অংশগ্রহণ করবে। ভারত যদি এই সিদ্ধান্তে অনড় থাকে, তবে আইসিসির জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
**পাকিস্তানকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের সম্ভাবনা**
ভারত না গেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হতে পারে পিসিবিকে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এই বিষয়টি আইসিসিকে জানাতে প্রস্তুত। পিসিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের পরিকল্পনা করছে তারা। যদি ভারত এই সিদ্ধান্তে অটল থাকে, তবে পাকিস্তান অন্যান্য আইসিসি টুর্নামেন্টে তাদের অংশগ্রহণও নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
**ভারতের সঙ্গে টুর্নামেন্টে না খেলার কঠোর হুঁশিয়ারি**
পাকিস্তান সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, "যতক্ষণ না ভারত পাকিস্তানে এসে খেলতে রাজি হয়, ততক্ষণ আমরা তাদের সঙ্গে কোনো টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করব না।" এর মাধ্যমে পাকিস্তান ভারতকে বেকায়দায় ফেলতে সবরকম পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। এমনকি, আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টগুলোর রাজনৈতিকীকরণ নিয়ে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) পর্যন্ত অভিযোগ জানানো হতে পারে। পাকিস্তান সরকারের মতে, ভারতের আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সম্পর্কের মাধ্যমে রাজনৈতিক বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা তাদের রাজনীতির অঙ্গ হিসেবে কাজ করছে, এবং এটি তারা আইওসির কাছে তুলে ধরতে পারে।
**ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের সংকট**
এটি নতুন নয় যে, গত কয়েক বছরে ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট সম্পর্কের পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। ২০০৮ সাল থেকে পাকিস্তানে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে রাজি হয়নি ভারত। সর্বশেষ গত বছর, পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলার ব্যাপারে বিসিসিআই আপত্তি জানিয়েছিল, যার ফলে হাইব্রিড মডেলে ভারতের ম্যাচগুলো শ্রীলঙ্কায় আয়োজন করা হয়।
এখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ার ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠেছে। তবে, সময়ই বলবে, পাকিস্তান ও ভারত শেষ পর্যন্ত কীভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করে এবং টুর্নামেন্টটি কীভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
- আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি কতটি আসন পাবে জানালেন : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
- W W W W W W, মাত্র ৬ রান দিয়ে ৬ উইকেট— ইতিহাসে সেরা বোলিং সাকিবের
- জানেন সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো
- হেড কোচ হলেন ডোয়াইন ব্রাভো, বাংলাদেশে সিমন্স, আর ঘরে ফিরলেন 'স্যার চ্যাম্পিয়ন'
- কম বয়সী ছেলেদের প্রতি কেন নারীদের বেশী আকর্ষণ
- এইচএসসি পরীক্ষা পেছানো নিয়ে যা জানা গেল
- ১০ হাজার ৭৫৯ দিন পর শ্রীলঙ্কা টেস্টে দেখল এমন এক ঘটনা
- ইশরাকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ
- সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল, প্রমাণ করল বাংলাদেশ
- আজকের মালয়েশিয়ান রিংগিত রেট (১৯ জুন ২০২৫)
- বাংলাদেশ-শ্রীলংকা টেস্ট : তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ
- আজকের ১৮ ক্যারেট,২১ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট সোনার দাম জেনেনিন
- একলাফে বেড়ে গেলো সিঙ্গাপুরের ডলার রেট, জেনেনিন আজকের রেট
- ইশরাক,কে নিয়ে বিএনপিকে যে বার্তা পাঠালো অন্তবর্তী সরকার
- কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হয়ে যায়