এটা সত্যিই আকস্মিক এবং গভীর দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিবেদন। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিং-এর মন্তব্যে যে ব্যাপকতা রয়েছে তা ঠিকই। তাঁর মতামত অনুযায়ী, ভারতীয় ক্রিকেটের বর্তমান ব্যাটাররা স্পিনের বিরুদ্ধে বিশেষ দক্ষতা দেখাতে পারছেন না, যা বিশেষভাবে গুরুত্ব পায় গত কয়েক বছরে আইপিএলের তীব্র প্রভাবের মধ্যে। তাঁর মতে, আইপিএলে খেলার ধরন, বিশেষ করে গতিময় পিচে পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে মোকাবেলা করার অভ্যস্ততা, ভারতীয় ব্যাটারদের স্পিন খেলার পক্ষে প্রস্তুতি কমিয়ে ফেলতে পারে।

শ্রীলঙ্কা সিরিজের পরে, যেখানে ভারতীয় দল হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে হার, তা থেকেই স্পিনের বিপক্ষে ভারতের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিশেষভাবে, নিউজিল্যান্ডের স্পিনারদের বিপক্ষে ভারতীয় ব্যাটারদের ব্যর্থতা তুলে ধরে পন্টিং বলেছেন যে, তারা আগের প্রজন্মের মতো স্পিন খেলতে পারছেন না, যা আসলেই ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য চিন্তার বিষয়।

পন্টিংয়ের এই বিশ্লেষণ পঞ্জিকা অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক, কারণ ভারতীয় ক্রিকেটে অতীতে স্পিন খেলার দক্ষতা ছিল একান্তই আকাশচুম্বী। বিশেষ করে, শচীন, সুনীল গাভাস্কার, সৌরভ গাঙ্গুলি, লক্ষ্মণদের মতো খেলোয়াড়েরা স্পিন খেলার ক্ষেত্রে অগ্রগামী ছিলেন। তবে এখন অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, আধুনিক ক্রিকেটে ব্যাটাররা শুধু পেস বোলিংয়ের জন্য তৈরি হচ্ছেন, কিন্তু স্পিনের বিরুদ্ধে তাদের যথাযথ প্রস্তুতি কম।

এদিকে, পন্টিং শুধু সমস্যা তুলে ধরেননি, তিনি প্রশংসাও করেছেন ভারতীয় পেস বোলিংয়ের জন্য, যা বর্তমানে আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। কিন্তু তিনি সতর্ক করেছেন, এই পেসের শক্তি ছাড়া স্পিনের ক্ষেত্রে আরো উন্নতি প্রয়োজন, বিশেষ করে ঘরের মাঠে, যেখানে ভারতীয় ব্যাটারদের স্পিনের বিরুদ্ধে দক্ষতা থাকাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

সঞ্জয় মঞ্জরেকারও একই মন্তব্য করেছেন যে, বর্তমানে ভারতীয় দলের বেশিরভাগ ব্যাটারই স্পিন খেলতে জানেন না। তার এই মন্তব্যটি আরও একবার স্পষ্ট করে যে, ভারতীয় ক্রিকেটে স্পিন খেলার একটি ক্রিটিক্যাল শূন্যতা তৈরি হয়েছে, যা দূর করতে ভারতীয় ব্যাটারদের মানসিকতা ও খেলার ধরন বদলাতে হবে।