প্রবাসীদের জন্য বড় সুখবর দিলো বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নতুন সুযোগ ও সুবিধা ঘোষণা করেছে। ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড এবং ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার করে দেওয়া হয়েছে, যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগে আরও স্বাধীনতা প্রদান করবে।
এছাড়া, স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিনিয়োগের পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা বাড়ানো হয়েছে, যা প্রবাসীদের জন্য বিনিয়োগ ব্যবস্থাকে আরও সহজ করবে। বিশেষ করে বিদেশে অবস্থিত বিদেশি মালিকানাধীন শিপিং বা এয়ার ওয়েজ কম্পানিতে কর্মরত বাংলাদেশি মেরিনার, পাইলট, এবং কেবিন ক্রুরাও এখন ওয়েজ আর্নার্স বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
পেনশনারদের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে তারা পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ত্রৈমাসিকের পরিবর্তে প্রতি মাসে পাবেন, যা আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। এটি তাদের মাসিক আয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।
ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডের ক্ষেত্রে এখন থেকে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা থাকবে না বিধায় অনিবাসী বাংলাদেশিরা যেকোনো অঙ্কের অর্থ এই বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারবেন। জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের অধীন পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের ক্ষেত্রে মূল বিনিয়োগ করা অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্বিনিয়োগ করা যাবে।
অন্যদিকে পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র এবং ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক-মেয়াদি হিসাবের ক্ষেত্রে মুনাফাসহ মূল বিনিয়োগকৃত অর্থ পুনর্বিনিয়োগের সুবিধা থাকবে।
ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে একবার আনীত রেমিট্যান্সের অর্থ এক মেয়াদে বিনিয়োগ এবং আরো দুই মেয়াদে পুনর্বিনিয়োগ অর্থাৎ তিন মেয়াদে মোট ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা যাবে।
ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে আনীত রেমিট্যান্সের অর্থ একবার বিনিয়োগ এবং আরো চারবার পুনর্বিনিয়োগ অর্থাৎ পর পর সর্বোচ্চ পাঁচ মেয়াদে মোট ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা যাবে।
এর আগে ২০২০ সালে জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, প্রবাসীদের তিনটি বন্ডের বিপরীতে সমন্বিত বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা এক কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা নির্ধারিত ছিল। এখন এই সীমা তুলে দিয়েছে সরকার। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ আকর্ষণে নতুন করে আরো সুবিধা বাড়িয়েছে।
দেশে সাধারণ মানুষের কাছে নিরাপদ বিনিয়োগের আস্থার মধ্যে সঞ্চয়পত্র অন্যতম শীর্ষস্থানে রয়েছে। সঞ্চয়পত্রের মুনাফার এই অর্থ দিয়ে অনেক পরিবারের খরচ চালানো হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি তিন মাস অন্তর পেলে সেসব পরিবারকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এসব বিবেচনায় প্রতি মাসে সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এতে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ যতটা কমেছিল তাতে গতি ফিরবে।
এখন জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের ১১টি চালু সঞ্চয় কর্মসূচির (স্কিম) মধ্যে চারটি সঞ্চয়পত্র, দুটি ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক হিসাব, একটি ডাক জীবনবিমা, একটি প্রাইজ বন্ড এবং তিনটি প্রবাসীদের জন্য বন্ড আছে। এসব স্কিমে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুদ বা মুনাফার হার আলাদা। এই মুনাফার ওপর উৎস কর কর্তনের হারও আলাদা।
- তরুণ অলরাউন্ডারের ব্যাটিং ঝড় দেখলো ক্রিকেটবিশ্ব
- বুক ধড়ফড়: হৃদয়ের অস্বস্তি নাকি বিপদের সংকেত জেনেনিন কারণ, লক্ষণ ও মুক্তির উপায়
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: ৮ গোলে শেষ ৯০ মিনিটের খেলা
- এক ধাক্কায় সোনার ভরিতে কমলো ১৫৭৫ টাকা
- মেয়েদেরকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে পুরুষের যে গুণটি
- বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২৬০ জনের,জানা গেলো আসল কারন
- দাঁড়ালে মাথা ঘুরে ও চোখে ঝাপসা দেখেন, তাহলে সাবধান
- একলাফে বেড়ে গেলো সিঙ্গাপুরের ডলার রেট, জেনেনিন আজকের রেট
- পোলার্ড ও পুরানের ব্যাটিং দেখলো ক্রিকেটবিশ্ব
- টস হেরে ব্যাটিংয়ে সাকিবের দল, দেখেনিন একাদশ
- সাকিবের রাজকীয় প্রত্যাবর্তন
- জামায়াত আমির স্ট্যাটাসে জানালেন ‘ভাষা হারিয়ে ফেলেছি’
- শাহজালালে বিমান বন্দরে নতুন আতঙ্ক, বিমানে শেষ হলো তল্লাশি
- দিনের শুরুতেই খালি পেটে পানি পান, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
- কমলো আজকের মালয়েশিয়ান রিংগিত রেট (১১ জুলাই ২০২৫)