ব্যাটিং ঝড়ে মাত্র ৩৮ বলে ১৩৭ রান, বিসিবি থেকে অনেক বড় সুখবর পেলেন সাইফউদ্দিন

মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বাংলাদেশের ক্রিকেটে এক উদীয়মান প্রতিভা, বিশেষত একজন পেস অলরাউন্ডার হিসেবে। তার পারফরম্যান্স এবং পরিসংখ্যান তার সামর্থ্য এবং প্রতিভার প্রমাণ দেয়, কিন্তু জাতীয় দলে তিনি এখনও তার পূর্ণ সম্ভাবনা মেলে ধরতে পারেননি। ওয়ানডে ক্রিকেটে তার পারফরম্যান্স দেখে বোঝা যায়, তিনি একজন দক্ষ অলরাউন্ডার।
২৯ ম্যাচে ৪১ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৮ বা ৯ নম্বরে ব্যাটিং করে গুরুত্বপূর্ণ রান সংগ্রহ করে দলকে চাপমুক্ত করার নজির রেখেছেন। বিশেষ করে তার ৫০, ৪১, ৪৪, ২৯, এবং ৫১* রানের ইনিংসগুলো দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও সাইফুদ্দিনের বোলিং কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্য। তার ৩৮ ম্যাচে ৪১ উইকেট প্রমাণ করে, এই ফরম্যাটেও তিনি বিপজ্জনক। স্লোয়ার ডেলিভারি এবং চেইঞ্জ অফ পেসের মতো কৌশলগুলো দিয়ে তিনি বেশ কিছু শীর্ষস্থানীয় ব্যাটসম্যানকে কাবু করেছেন। তবে টিম কম্বিনেশনে তাকে কার্যকরীভাবে ব্যবহার না করায় তিনি পুরোপুরি নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি।
জাতীয় দলে তাকে মাঝে মাঝে শুধু বোলার কিংবা শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে দেখা হয়েছে, কিন্তু একজন পূর্ণাঙ্গ অলরাউন্ডার হিসেবে সাইফুদ্দিনের সঠিক সুযোগ প্রাপ্য। সঠিক ব্যবহারে তার ব্যাটিং এবং বোলিং দক্ষতার সঙ্গমে তিনি দলের জন্য আরও অনেক বড় অবদান রাখতে পারেন।
২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এক সিরিজে চার ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে সাইফুদ্দিন নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছিলেন। তার পারফরম্যান্স ছিল এমন, যা তাকে জাতীয় দলের জন্য অটোমেটিক চয়েস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারতো। কিন্তু বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করা হলে দেখা যায়, তাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচকরা তাকে দলে রাখার প্রয়োজন বোধ করেননি। পরবর্তী সিরিজগুলোতেও তাকে বাইরে রাখা হয়েছে এবং সেসময় তার জায়গায় সুযোগ পাওয়া খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স তাকে দলে ফিরতে সাহায্য করেনি। খুব তাড়াতাড়ি বিসিবি থেকে সুখবর পেতে চলেছেন তিনি।
বর্তমানে হংকং সিক্স টুর্নামেন্টে সাইফুদ্দিনের পারফরম্যান্স আলোড়ন তুলেছে। প্রথম তিন ম্যাচে তিনি ১২ বলে ৫৫ রান, ১৭ বলে ৪৬ রান এবং ৯ বলে ৩৬ রান করেন। তার এই বিধ্বংসী ব্যাটিং ফর্ম তাকে আবারও জাতীয় দলের জন্য প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে।
সাইফুদ্দিনের মতো অলরাউন্ডার জাতীয় দলে অটো চয়েস হওয়ার মতোই যোগ্য। তার বোলিং এবং ব্যাটিং উভয় ক্ষেত্রেই দক্ষতা জাতীয় দলের জন্য একটি শক্তি হতে পারে। নতুন এবং পুরনো বলের সঙ্গে তার স্লোয়ার ডেলিভারি ও ইয়র্কার অনেক বড় বড় ব্যাটসম্যানকে সমস্যায় ফেলেছে। তবুও তাকে জাতীয় দলে সঠিকভাবে ব্যবহার না করা সঠিক সিদ্ধান্ত কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে সম্ভাব্য সেরা পেস অলরাউন্ডার হতে পারতেন। তবে তাকে যদি আরও ভালভাবে মূল্যায়ন করা হতো, তাহলে হয়তো আমরা জাতীয় দলে তার অবদান আরও বেশি দেখতে পেতাম। এখন, তার হংকং সিক্সের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স তাকে আবারও জাতীয় দলে ফিরিয়ে আনতে পারে, যা দলের জন্য একটি মূল্যবান সংযোজন হতে পারে।
- আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি কতটি আসন পাবে জানালেন : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
- W W W W W W, মাত্র ৬ রান দিয়ে ৬ উইকেট— ইতিহাসে সেরা বোলিং সাকিবের
- জানেন সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো
- হেড কোচ হলেন ডোয়াইন ব্রাভো, বাংলাদেশে সিমন্স, আর ঘরে ফিরলেন 'স্যার চ্যাম্পিয়ন'
- কম বয়সী ছেলেদের প্রতি কেন নারীদের বেশী আকর্ষণ
- এইচএসসি পরীক্ষা পেছানো নিয়ে যা জানা গেল
- ১০ হাজার ৭৫৯ দিন পর শ্রীলঙ্কা টেস্টে দেখল এমন এক ঘটনা
- ইশরাকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ
- সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল, প্রমাণ করল বাংলাদেশ
- আজকের মালয়েশিয়ান রিংগিত রেট (১৯ জুন ২০২৫)
- বাংলাদেশ-শ্রীলংকা টেস্ট : তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ
- আজকের ১৮ ক্যারেট,২১ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট সোনার দাম জেনেনিন
- একলাফে বেড়ে গেলো সিঙ্গাপুরের ডলার রেট, জেনেনিন আজকের রেট
- ইশরাক,কে নিয়ে বিএনপিকে যে বার্তা পাঠালো অন্তবর্তী সরকার
- কত বছর খাজনা না দিলে জমি খাস হয়ে যায়