পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হোক বাংলাদেশের ক্রিকেট,নতুন কান্ডে নড়েচড়ে উঠলো বিসিবি

সাকিব আল হাসানের ভক্তদের এই আন্দোলন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। সাকিবকে বাধ্যতামূলকভাবে অবসর নেওয়ার দিকে ঠেলে দেওয়ার প্রতিবাদে তারা আইসিসির কাছে ব্যাপকভাবে ইমেল পাঠিয়ে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের প্রধান দাবি হচ্ছে, সাকিবকে বাংলাদেশের মাটিতে তার বিদায়ী টেস্ট খেলার সুযোগ করে দেওয়া।
সাকিবের সমর্থকদের মতে, স্থানীয় রাজনৈতিক চাপে তারকা অলরাউন্ডারকে বিদায়ী টেস্ট খেলতে দেওয়া হয়নি এবং তাকে অন্যায়ভাবে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই ক্ষোভ প্রকাশের অংশ হিসেবে তারা আইসিসিকে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার ইমেল পাঠানোর পরিকল্পনা করেছেন, যাতে শীর্ষ ক্রিকেট সংস্থা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে বাধ্য হয়।
সাকিবের প্রতি সমর্থকদের এই সমর্থন ও সক্রিয়তা তার জনপ্রিয়তা এবং দেশের ক্রিকেটের প্রতি তাদের আবেগের প্রতিফলন। এটি কেবল ক্রিকেটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার প্রতিফলন হিসেবেও দেখা যেতে পারে।
সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ও প্রভাবশালী ক্রিকেটার। তবে তার অবসর ও দেশের মাটিতে তার শেষ ম্যাচ খেলা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা ভক্তদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে সাকিবের দেশের মাটিতে অবসর নেওয়া কিংবা বাংলাদেশে আসার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশে সাকিবের ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও, কিছু ঘটনার পর তার প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এসব প্রতিক্রিয়া কখনো কখনো নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির দিকে ইঙ্গিত করে। সাম্প্রতিক কিছু ইস্যুর কারণে সাকিবের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যম এবং সরাসরি প্রতিবাদের ঘটনাও ঘটেছে। এসব প্রতিবাদ কখনো সহিংসতায় রূপ নিয়েছে, যেমন স্টেডিয়ামের সামনে সাকিব ভক্তদের ওপর আক্রমণের ঘটনা।
সাকিবের সমর্থকরা তাকে মাঠে দেখতে এবং দেশের মাটিতে তার বিদায় নিশ্চিত করতে জোর দাবি জানাচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে তাকে সমর্থন করে মিছিল ও প্রতিবাদও হয়েছে। যদিও কিছু ঘটনা সহিংসতায় রূপ নিয়েছে, সাকিব ভক্তরা তাকে সমর্থন করে প্রচুর স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন। ভক্তদের আশা, দেশের মাটিতে সাকিব তার শেষ ম্যাচ খেলতে পারবেন এবং তাদের প্রিয় ক্রিকেটারকে সম্মানের সঙ্গে বিদায় জানাতে পারবেন।
সাকিবের অবসর এবং দেশের মাটিতে খেলা নিয়ে নিরাপত্তার এ জটিলতা নিরসন করতে কতটা সময় লাগবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে তার ভক্তরা এখনো আশায় বুক বেঁধে আছেন যে, শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং সাকিব দেশের মাটিতে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে বিদায় জানাতে পারবেন।
এবার সাকিব ভক্তরা অভিনব এক কৌশল বের করেছেন। সাকিবের সমর্থকদের মতে, স্থানীয় রাজনৈতিক চাপে তারকা অলরাউন্ডারকে বিদায়ী টেস্ট খেলতে দেওয়া হয়নি এবং তাকে অন্যায়ভাবে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই ক্ষোভ প্রকাশের অংশ হিসেবে তারা আইসিসিকে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার ইমেল পাঠানোর পরিকল্পনা করেছেন, যাতে শীর্ষ ক্রিকেট সংস্থা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে বাধ্য হয়। তথ্যমতে ইতিমধ্যে ৫ হাজার ইমেল পেয়ে গেছে আইসিসি।
সাকিব ইস্যুতে আইসিসির ৯.১ ধারায় বিপদে পড়তে পারে বিসিবি। সাকিব আল হাসান ইস্যুতে বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) ৯.১ ধারা অনুযায়ী বিপদের সম্মুখীন হতে পারে। এই ধারাটি মূলত ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট যে কোনো ধরনের সহিংসতা, বৈষম্য বা নিরাপত্তার ঝুঁকি মোকাবিলা এবং সেটি রোধ করার দায়িত্ব বোর্ডের উপর অর্পিত করে। এখানে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো কীভাবে বিসিবি এই ধারার আওতায় সমস্যায় পড়তে পারে:
আইসিসির ৯.১ ধারা: খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা
আইসিসির ৯.১ ধারা অনুযায়ী, একটি ক্রিকেট বোর্ডকে নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের পরিচালিত যেকোনো ম্যাচের সময় খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা পুরোপুরি রক্ষা করা হচ্ছে। যদি কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখা দেয় এবং সেই ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্যর্থতা দেখা যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হতে পারে।
এক্ষেত্রে সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক মাধ্যমে এবং মাঠে কিছু বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে, যা নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে। যদি এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হয় বিসিবি, তাহলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং আইসিসি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে।
বিসিবির দায়িত্ব এবং বর্তমান পরিস্থিতি
সাকিবের মতো একজন বিশ্বমঞ্চে প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড়ের নিরাপত্তা নিয়ে যেকোনো ধরনের অবহেলা বা ভুল ব্যবস্থা বিসিবির জন্য বড় সমস্যার কারণ হতে পারে। সাকিবের দেশে ফেরার বিষয়ে যদি নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোনো ঘাটতি থাকে, তাহলে সেটি আইসিসির চোখে একটি বড় ব্যর্থতা হিসেবে ধরা হবে।
বিসিবি ইতোমধ্যে সাকিবের নিরাপত্তা নিয়ে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো—বিশেষ করে মিরপুর স্টেডিয়ামের সামনে সাকিবের ভক্তদের উপর হামলা—বিসিবির নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রশ্ন তুলতে পারে। যদি ভবিষ্যতে সাকিব বা অন্য কোনো খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে, তাহলে আইসিসি বিসিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে পারে এবং শাস্তি আরোপের পথে যেতে পারে।
৯.১ ধারা অনুযায়ী শাস্তির সম্ভাবনা
আইসিসির ৯.১ ধারা লঙ্ঘনের জন্য বেশ কিছু ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য শাস্তিগুলো হলো:
আর্থিক জরিমানা: বিসিবি বড় অংকের আর্থিক জরিমানার মুখোমুখি হতে পারে, যদি প্রমাণিত হয় যে তারা সাকিবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ম্যাচ আয়োজনের নিষেধাজ্ঞা: যদি বিসিবি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন নিষিদ্ধ হতে পারে। এটি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য মারাত্মক প্রভাব ফেলবে, কারণ আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে বিসিবির রাজস্ব এবং দেশের ক্রিকেটের সুনাম জড়িত।
আইসিসি তদন্ত: আইসিসি একটি নির্দিষ্ট ঘটনার তদন্ত শুরু করতে পারে, যার ফলশ্রুতিতে বিসিবির বিরুদ্ধে আরো কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা হতে পারে।
- করোনা ভাইরাস : স্কুল বন্ধ রাখা নিয়ে আসলো যে সিদ্ধান্ত
- যাকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- কমছে স্বর্ণের দাম
- পালানোর আগের দিন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের চার শব্দের যে ম্যাসেজ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- প্রবাসীদের জন্য সুখবর, শুল্ক ছাড়াই আনতে পারবেন যে ১৯ পণ্য
- অবাক ক্রিকেটবিশ্ব, মুশফিক আউট হতেই হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেল শ্রীলঙ্কা বনাম বাংলাদেশের টেস্ট ম্যাচ
- নাটকীয়ভাবে শেষ হলো বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার টেস্ট, দেখেনিন ফলাফল
- প্রকাশ্যে দেখা মিললো মাশরাফির, স্বজন হারানো মায়ের পাশে এসে দাঁড়ালেন ছায়ার মতো
- ১৩ বছরেও ব্যর্থ বিসিবি, এবার দুধভাত ভাগাভাগির নামে চিটাগাং-রাজশাহীকে ছেঁটে দিল
- পাল্টে যাচ্ছে সোনার দাম
- ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছেন খামেনি
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: চতুর্থ দিন শেষে বড় লিড পেলো বাংলাদেশ
- বাস্তবেই সহবাস করতে হয়েছে ১০ সিনেমার শুটিংয়ে
- ইরানকে বড় সুখবর দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন
- কোন জিনিস যা শুধু শালীরা দেয়, বৌ কিংবা বৌদিরা দিতে পারে না