টেস্টে শেষ দেখায় সাকিবকে অদ্ভুদ এক উপহার দিলেন বিরাট কোহলি
সাকিব আল হাসান তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের পতনে বাংলাদেশের বড় পোস্টার বয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই ফরম্যাটে শেষ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এবার সম্ভবত তার শেষ টেস্টও খেলা হয়েছে ভারতের কানপুরে। কারণ অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলতে চাইলে তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা জটিলতা। তবে টেস্টে শেষবারের মতো দেখা হয়েছে বিরাট কোহলি ও সাকিবের!
ফরম্যাটে দুজনের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ দ্বন্দ্বের পর, কোহলি টাইগার অলরাউন্ডারকে একটি স্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দেন। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দুই দলের ক্রিকেটাররা বাউন্ডারি লাইনের কাছে জড়িয়ে পড়েন। কোহলি এখনও ব্যাট হাতে রান করছেন, পরে জানা গেল সাকিবের জন্য এনেছেন। পরে সাকিবকে বিদায়ী স্মারক হিসেবে ব্যাট উপহার দেন তিনি। ভারতীয় মাস্টার ব্লাস্টারও বন্ধুর মতো কাঁধে হাত রেখে কিছু বললেন। হয়তো সাকিবের ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়ে বাংলাদেশি তারকাও সাহসের সঙ্গে সাড়া দিয়েছেন।
আজ (মঙ্গলবার) কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টেস্ট সিরিজ ২-০ তে জিতেছে স্বাগতিক ভারত। যেখানে নাজমুল হোসেন শান্তর দল দুর্দান্ত ব্যাটিং প্রদর্শন করে মাত্র ৯৫ রানের টার্গেট দেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে, বাংলাদেশ ৫২ রানে পিছিয়ে থাকার পরে প্রথমে ব্যাট করে এবং তারপর বোল্ড হওয়ার আগে ১৪৬ রান করে। ফলস্বরূপ ভারত আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে মাত্র ১৭.২ রানে ৯৫ রানের মাঝারি লক্ষ্য অতিক্রম করে।
ভারত ইতিমধ্যে চেন্নাই টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে ছিল। ফলে কানপুর টেস্ট ড্র করলেও তাদের সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যেত। তবে তার লক্ষ্য আরও বড়। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার পথ সহজ করতে রোহিত শর্মার জন্য জেতা দরকার ছিল। তবে আড়াই দিনের বৃষ্টি ও মাঠের দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে খেলা হয়নি। কিন্তু ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে দুই দিনেই বাংলাদেশকে হারায়। প্রথম ইনিংসে তিনি ৮.২২ রান রেটে ২৮৫ রান করেন এবং ইনিংস ঘোষণা করেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে দেওয়া লিড পার হওয়ার আগেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। শেষ পর্যন্ত ৯৫ রানের মাঝারি টার্গেট ছিল। যশস্বী জয়সওয়ালের হাফ সেঞ্চুরি এবং কোহলির ২৯ রান তাদের স্বাচ্ছন্দ্যে যাত্রা করতে দেয়। এদিকে সাকিব তার সম্ভাব্য শেষ টেস্টে ব্যাট হাতে চমক দেখাতে পারেননি। দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৯ ও শূন্য রানে আউট হন তিনি। তবে প্রথম ইনিংসে বল হাতে নিজের প্রতিভা দেখিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনি।