অলআউটের পথে বাংলাদেশ, দেখেনিন সর্বশেষ স্কোর
সকাল থেকেই ইতিবাচক খেলার চেষ্টা করছি। নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাদমান ইসলাম স্কোরের চাকার কল্যাণে বেশ পারদর্শী ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ একটা ঝড় এলো। স্পিনার আকাশ দীপ ও স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা রান করার আগে বাংলাদেশের মিডল অর্ডারকে গুঁড়িয়ে দেন। দলীয় ৯৪ রানে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের লিড বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ রানে। ক্রিজে আছেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদি হাসান মিরাজ। সাকিব আল হাসানের শেষ উইকেট। ৯ বল আগে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। এই ইনিংসের মাধ্যমে দেশের বাইরে শেষ টেস্ট ইনিংস খেলেন সাকিব।
আর অক্টোবরে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে না খেললে এটাই হতে পারে তার শেষ টেস্ট ইনিংস। কিন্তু শেষটা ভালো হয়নি তার।
এর আগে সকাল থেকেই ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেছে বাংলাদেশ। দিনের প্রথম ১২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫৯ রান। মুমিনুল হকের উইকেট হারালেও ওয়ানডে স্টাইলে একটু ব্যাটিং করে লিড বাড়ানোর দিকেই নজর ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু সেই পথে আরেকটু এগোতেই বিপর্যয় নেমে আসে ব্যাটিংয়ে।
তবে দিনের তৃতীয় ওভারে পতনের আগে ভালো শুরু করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে পঞ্চম দিনের শুরুর বলে এক রান নেন মুমিনুল। একটি চার আসে সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে। পরের ওভারে জসপ্রিত বুমরাহের ওভার থেকেও আসে ৫ রান। সেখানেও সাদমানের বাউন্ডারি ছিল।
এর পর টাইগারদের ইনিংস আক্রমণ করেন অশ্বিন। , শেষ ইনিংসে সেঞ্চুরি করা মুমিনুল দলের জন্য হুমকি বাড়িয়েছে। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বল ছিল অনেক বাইরে। সেঞ্চুরির পথে অনেক সুইপ শট খেলেন মুমিনুল। এবারও একই পথে পা বাড়ালেন তিনি।
তবে ভারত প্রস্তুত ছিল। লেগ স্লিপে সহজ ক্যাচ নেন কেএল রাহুল। প্রথম দুই ওভারে দশ রান করে আউট হন মুমিনুল।
শান্ত-সাইদমান জুটিতে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। তবে ৫০ ওভারের পরেই আঘাত পায় এই জুটি। সাদমানের সঙ্গে ৫৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে জাদেজার বলে রিভার্স সুইপ খেলতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ব্যাটিং না করেই বল লেগেছিল স্টাম্পে। কিছুক্ষণ পর সাদমানও চলে যায়।
আকাশ দীপের বলে অফ স্টাম্পের বাইরে শট খেলতে গিয়ে জয়সওয়ালের হাতে ধরা পড়েন সেদম্যান। লিটন এলেন। তিনি ১ রানের বেশি করেননি। বল পাঞ্চ করার সময় জাদেজা উইকেটের পিছনে ঋষভ পান্তের হাতে ক্যাচ দেন। বাংলাদেশের রেঞ্জ ৯১ রানে ৩ উইকেট থেকে ৯৪ রানে ৭ উইকেট।