বাংলাদেশের বোলারদের তুলা ধুনা করে ভারতের রেকর্ড
টেস্ট ম্যাচে ফলাফল পাওয়ার জন্য ভারত সম্পূর্ণ ভিন্ন পথ নিয়েছে। বৃষ্টির কারণে প্রায় আড়াই দিন নষ্ট হলেও কানপুরে ফল পেতে মরিয়া তারা। আর সেই কারণেই টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং শুরু করলেন রোহিত শর্মা ও ইয়াস্বী জয়সাওয়াল। আর চা বিরতির আগে ১৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান সংগ্রহ করে ভারত।
বাংলাদেশ ২৩৩ রানে গুটিয়ে যায় এবং ভারত ব্যাট করতে নামে। এবং এই দিনে কানপুরের গ্রিন পার্কে ভারতের ব্যাটসম্যানরা যা করলেন তা সম্ভবত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও বিরল দৃশ্য। দুই ওভারে ২৯, তিন ওভার পরে ৫১। ভারতের ওপেনাররা ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩ ওভারে বিশ্ব রেকর্ডের জন্ম দেন। টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে কম বল খেলে দলের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রোহিত-জয়সাওয়াল জুটি।
টেস্ট ক্রিকেটে দ্রুততম দল পঞ্চাশের পাশাপাশি, তারা ইংল্যান্ডের বাইরে প্রথম দেশ হিসেবে ৫ ওভারের আগে টেস্টে ৫০ রান ছুঁয়েছে। দ্রুততম ফিফটির আগের রেকর্ডটিও ছিল ইংল্যান্ডের দখলে। এ বছর নটিংহামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪.২ ওভারে ৫০ রান পূর্ণ করে ইংল্যান্ড।
ভারত প্রায় ১৫০ বছর ধরে কানপুরে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাস নতুন করে লিখল। তবে এর পরপরই একটি ব্রেকথ্রু পায় বাংলাদেশ। চতুর্থ ওভার বল করতে এসেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ভিতরে ঢুকতেই সাহসী হয়ে উঠল রোহিত।
কিন্তু তার আগেই আরেকটি বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন তিনি। লজ্জার খাতায় নাম লিখিয়েছেন বাংলাদেশের পেসার খালেদ আহমেদ। টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ইনিংসের প্রথম দুই বলেই ছক্কা হাঁকিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা। এর আগে ১৯৪৮ সালে ফোফি উইলিয়ামস জিম লেকারের দুই বলে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন।
চমক নিয়ে ভারত সিরিজে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করেছেএরপর শচীন টেন্ডুলকার ২০১৩ সালে নাথান লায়ন, ২০২৩ সালে ভারতের উমেশ যাদব এবং ২০২৪ সালে খালেদ আহমেদকে আঘাত করেন। ইনিংসের শুরুতে রোহিত শর্মা দুই বলে দুটি ছক্কা মেরেছিলেন।
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের কারণে মাত্র ১০.১ বলেই দলের শতরান পূর্ণ করে ভারত। এখানে একটি রেকর্ডও আছে। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি কোনো দলের দ্রুততম সেঞ্চুরি। আগের রেকর্ডটিও ভারতের। সেবার ওপেনার হিসেবে ছিলেন রোহিত ও জয়সাওয়াল। ২০২৩ সালে পোর্ট অফ স্পেনে, ভারত ১২.২ ওভারে দলের শতক পূর্ণ করে।
রোহিত ফিরে গেলেও শুভমান গিলকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন জয়সাওয়াল। ৩১ বলে ফিফটি। এটি ভারতের পক্ষে চতুর্থ দ্রুততম ফিফটি। দেশের ইতিহাসে মাত্র ২৮ বলে ফিফটি করার নজির রয়েছে ঋষভ পন্তের। এরপর ৩০ বলে অর্ধশতক করার কীর্তি কপিল দেব ও শার্দুল ঠাকুরের। আর চতুর্থ স্থান দখল করেছেন জয়সাওয়াল আজ কানপুরে।