ক্ষমা চাইলেন শান মাসুদ
এমন লজ্জার হার কখনও হারে নাই পাকিস্তান। তাও আবার বাংলাদেশের মত দলের বিপক্ষে। গোটা পাকিস্তান জুড়ে চলছে নানা সমালোচনা। একে একে সবাই সমালোচনা করছে। এই প্রথম ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানের হার পাকিস্তানের। প্রথম টেস্টের পর ২য় টেস্টেও ঘুড়ে দাড়ানোর কোন ধরনের সুযোগ বাংলাদেশ দেয় নাই। বাংলাদেশের কাছে ঘরের মাটিতে দুই টেস্ট হেরে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা লুকানোর জায়গা খুজে পাচ্ছে না তারা। অনেকে তো বলছে, পাকিস্তান ক্রিকেটের ‘মৃত্যু’ ঘটেছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কারণে পাকিস্তান দলকেও কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে হারিয়ে বাবর আজমা হাসবেন এমনটাই আশায় ছিলেন ভক্তরা। কিন্তু সে আশা নিছক বালি। উল্টো দুই টেস্টেই হেরেছে পাকিস্তান।
এমন পরিস্থিতিতে গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পাকিস্তান টেস্ট দলের অধিনায়ক শান মাসুদ।
টেস্ট ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে শান মাসুদ বলেন, ‘আমরা জাতির কাছে ক্ষমা চাইছি। আমাদের সবার উদ্দেশ্য পাকিস্তান ক্রিকেটের ভালোর জন্য কাজ করা।’
বাংলাদেশ ঠিক কোন জায়গায় এগিয়েছিল সেটা নিয়ে মাসুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের দুজন ক্রিকেটার আছে, যারা ৭০-৯০টি টেস্ট খেলেছে (মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান)। এ ছাড়া লিটন ও মেহেদী (মিরাজ) ৪০টির বেশি টেস্ট খেলেছে। আমাদেরও লাল বলের ক্রিকেটে এমন অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। টেস্ট ম্যাচ হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্করণ। এখানে অভিজ্ঞতা লাগবেই। আমাদের আরও টেস্ট ও লাল বলের ক্রিকেট দরকার’।
‘আপনি টি-টোয়েন্টি খেলে টেস্টের খেলোয়াড় তৈরি করতে পারবেন না। বিজ্ঞানের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আপনি গণিত পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। গণিত পরীক্ষা দিতে হলে গণিতের প্রস্তুতিই নিতে হবে। লাল বলের ক্রিকেট খেলতে চাইলে, লাল বলের ক্রিকেটই খেলতে হবে।’
টেস্টে এরইমধ্যে দুই সিরিজে দায়িত্ব পালন করেছেন শান মাসুদ। কিন্তু এখনও হারের বৃত্তে আটকে রয়েছে পাকিস্তান। অধিনায়কত্ব নিয়ে এরইমধ্যে মাসুদকে নিয়ে চলছে চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ।
মাসুদ বলেন, ‘দায়িত্ব হারানো নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন নই। পরিবর্তন আনার জন্য দায়িত্ব নিয়েছি, আমরা বিশ্বাস করেছি এই পরিবর্তন দলের কাজে আসবে। আমার লক্ষ্য হলো যদি বিশ্বাস করি দল কোনো একটি সুনির্দিষ্ট একটা দিকে এগোতে পারে, সেখানে নিজে ব্যর্থ হলেও আমি খুশি হব দলের জন্য। যতটা সময় আমি পাব, কৃতজ্ঞ থাকব ও সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করব।’