লিটন-মিরাজ কে নয়, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের ক্রেডিট যাদেরকে দিলেন তামিম ইকবাল
বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ জয় এক ঐতিহাসিক ঘটনা। বাঘা বাঘা দেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ জয় করেছে। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় ছিল তার প্রমাণ। আপনি যদি একটু আগের দিনে ফিরে গেলে দেখা যায় যে, পাকিস্তান সফরে যাওয়ার আগে নাজমুল হাসান শান্তকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন যে, আমরা আগের ইতিহাস পাল্টাতে চান। আর শেষ মেষ করে দেখালেন।
শান্তর দল পাকিস্তানকে ২-০ গোলে হোয়াইটওয়াশ করে এবং খুব ভালোভাবে লিড ধরে রাখে। পাকিস্তানের বিপক্ষে এমন কীর্তি করার পর বিশ্বজুড়ে প্রশংসা পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। এই অর্জনের পর ক্রিকেটারদের প্রশংসাও করেছেন বাংলাদেশ দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল।
জনপ্রিয় ক্রিকেট পোর্টাল ইএসপিএন ক্রিকইনফো-এর সাথে কথা বলতে গিয়ে তামিম মন্তব্য করেছেন যে এই জয় বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সেরা অর্জন। তামিম মনে করেন, বাংলাদেশের ফাস্ট বোলারদের বিকাশের পেছনে দুই সাবেক ফাস্ট বোলিং কোচ ওটিস গিবসন এবং অ্যালান ডোনাল্ডও দায়ী।
এ প্রসঙ্গে তামিম বলেছেন, ‘রাওয়ালপিন্ডির উইকেট আসলে ব্যাটিং সহায়ক। এখানে প্রচুর রান হয়েছে বিগত সময়গুলোতে। কিন্তু সেখানে পাকিস্তানি ফাস্ট বোলাররা যা করতে পারেনি, তা বাংলাদেশের বোলাররা করে দেখিয়েছে। এটা নিয়ে পেসাররা গর্ব করতেই পারে। এর জন্য সাবেক কোচরা বিশেষভাবে ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। আলাদা করে বলতে গেলে অ্যালান ডোনাল্ড এবং ওটিস গিবসের পরিশ্রমের ফলেই দেশের পেস বোলিং ইউনিট এতোদূর এসেছে।’
বিদেশের মাটিতে খেলার সময় প্রতিপক্ষ দলগুলো বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণ করতে ফাস্ট বোলিং উইকেট তৈরি করত। ফলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে। তামিম বিশ্বাস করেন, এবার সংস্কৃতি বদলে যাবে। কারণ বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিট এখন অনেক ভালো হয়ে গেছে।
তামিমের ভাষ্য, ‘অতীতে আমরা অনেক বেশি স্পিন বোলার নির্ভর দল ছিলাম, আমাদের পেস ইউনিট এতো ভালো ছিলোনা। ফলে বিদেশের মাটিতে সিরিজ খেলতে গেলে তারা গ্রীন উইকেট বানাতো, যা পেস সহায়ক। ফলে আমরা ব্যাটাররা খুব চাপে পরতাম। কিন্তু এখন বাংলাদেশের পেস ইউনিটের যে লাইন-আপ, আমার মনে হয় তারা এবার থেকে আমাদের বিপক্ষে উইকেট বানানোর আগে দুইবার চিন্তা করবে।’