আইপিএল শুরু হইতে আরও অনেক দিন বাকি আছে। কিন্তু এরই মধ্যে কোন ক্রিকেটার কোন নিবে, কে কোথায় যাবে এ নিয়ে চলছে তোরজোড়। আগামি বছরে হবে আইপিএলের মেগা নিলাম। এখানে কিছু নিয়ম ফলো করতে হবে। আর তা হলো অবশ্যই দলে ৪ জনের বেশি ক্রিকেটার রাখতে পারবে না দলগুলো। এ জন্য ধোনি আর মোস্তাফিজুরের মত ক্রিকেটারকে রাখেতে পারছে না তারা।

এই যদি হয় অবস্থ তখন সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চায় অন্য দল গুলো। বাংলার কাটার মাস্টারকে নিতে মরিয়া আরও ৫ টি দল। এমনকি তাকে দরে নিতে ১০ কোটি টাকাও দিতে প্রস্তুত। কারণ মুস্তাফিজের সাম্প্রতিক ফর্ম এবং গত আইপিএলে তার পারফরম্যান্স সবাইকে অবাক করেছে। আইপিএলের পর থেকেই দারুণ ফর্মে রয়েছেন মুস্তাফিজ। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুস্তাফিজারের পারফরম্যান্স ছিল অবিশ্বাস্য। তাই, ২০২৫ সালের আইপিএল নিলামে তাকে দলে আনার জন্য ৪-৫টি দল দৌড় শুরু করতে পারে।

সেই তালিকায় রয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সের নাম। কারণ স্টার্ককে ছেড়ে দিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তাই তাদের ভালো মানের ফাস্ট বোলার দরকার। এছাড়াও, চেন্নাই সুপার কিংস নিলামে মুস্তাফিজকে তাদের দলে নেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে।

আরও দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি মুস্তাফিজকে নিয়ে আগ্রহী বলেও জানা গেছে। ভারতের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম আনন্দ বাজার এই দাবি করছে। হায়দরাবাদ ও পাঞ্জাব কিংসও মুস্তাফিজকে নিয়ে আগ্রহী।

আনন্দবাজার পত্রিকার দাবি, ধোনির কারণেই আইপিএল নিলামে মুস্তাফিজের দাম ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত যেতে পারে। মুস্তাফিজকে ধরে রাখতে চেয়েছিলেন ধোনি। কিন্তু সেই ধোনিকে ছাড়ছেন মুস্তাফিজ। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। মুস্তাফিজকে পেতে তারা ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ করতে প্রস্তুত।

এছাড়াও আইপিএলের মেগা নিলামে বাংলাদেশের চার ক্রিকেটার দল পেতে পারেন। ফাস্ট বোলার তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও রিশাদ হোসেন।

গত আইপিএলে শরিফুলকে দলে আনার জন্য লখনউ সুপারজায়ান্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। এবারও দল তাকে চায় বলে জানা গেছে। একাধিক গ্রুপ আবারও তাসকিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তার সঙ্গে দলে দলে লড়বে দলগুলো। কারণ তাসকিনের সাম্প্রতিক ফর্ম নজর কাড়ছে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা রিশাদ হুসেন এবং ফাস্ট বোলার তানজিম হাসান সাকিবের দিকেও আইপিএল দলগুলোর নজর থাকবে। কারণ এই সব বড় ইভেন্টে যারা ভালো পারফর্ম করে তারাই ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক।