পবিত্র মহররম মাসে আমল করার নিয়মাবলী

মহররম শব্দের অর্থ পবিত্র বা সম্মানিত। মহররম হিজরি বছরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাস। রজব, জিলকদ ও জিলহজ ছাড়াও এ মাসকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, "আল্লাহর কিতাবে (লাওহে মাহফুজ) মাসের সংখ্যা ১২, আসমান ও জমিন সৃষ্টির দিন থেকে।" এর মধ্যে চারটি মাস নিষিদ্ধ।' (সূরা তাওবা, আয়াত: ৩৬)
এই সম্মানিত মাসগুলিতে যুদ্ধবিগ্রহ নিষিদ্ধ। এ কারণে আরব সংস্কৃতি অনুসারে স্থানীয়রা এ মাসে মারামারি, অন্যায় কাজ থেকে দূরে থাকতে এবং বিশ্রাম নিতে সময় কাটাতেন। অন্যদিকে মহররম মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হল আশুরা। আশুরা শব্দটি আরবি 'আশরা' থেকে এসেছে। আশরা মানে দশ এবং আশুরা মানে দশম।
নানা ঐতিহাসিক ঘটনারও সাক্ষী এই দিনটি। আশুরার দিনে আদি পিতা আদম (আ.)কে সৃষ্টি ছাড়াই পৃথিবীতে পাঠানো হয়। এই দিনে হজরত নূহ (আ.)-এর নৌকা যাত্রা শুরু হয় এবং মহাপ্লাবনের পর তিনি মুমিনদের নিয়ে নৌকা থেকে নেমে আসেন। এরপর আশুরার দিনে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
এই বরকতময় মাসে নফল রোজা রাখার বিশেষ সওয়াব রয়েছে। এমতাবস্থায় আশুরার একদিন আগে বা পরে দু’টি নফল রোজা রাখার বিধান রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে আশুরার রোজাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। হাদীসে ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অন্য কোন দিনে রোজা রাখা পছন্দ করতে দেখিনি। আশুরা, এবং এই মাসে, রমজান মাস। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৮৮০)
রমজানের পর মহররম মাসের শ্রেষ্ঠ রোজা সম্পর্কেও অনেক হাদিস রয়েছে। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- একবার রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল ফরয নামাযের পর কোন নামায উত্তম এবং রমযানের রোযার পর কোন রোযা উত্তম? জবাবে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, ফরজ নামাজের পর গভীর রাতের নামাজ (তাহাজ্জুদ) সর্বোত্তম এবং রমজানের রোজা রাখার পর আল্লাহর মহররম মাসের রোজা সর্বোত্তম। (সহীহ মুসলিম, হাদিস : ২৬২৭)
তবে মনে রাখতে হবে আশুরার রোজা একটি নয়, দুটি। কিছু লোক শুধুমাত্র আশুরার দিনে রোজা রাখে, যা করা উচিত নয়। দুটি রোজার মধ্যে একটি হলো আশুরা অর্থাৎ মহররমের ১০ তারিখ। আর দ্বিতীয়টি তার এক দিন আগে বা পরে (মহররমের ৯ বা ১১ তারিখ) রাখা যেতে পারে।
এমতাবস্থায় আশুরার রোজা রাখার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। আবু কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে আছে, একবার এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সাওম (রোযা) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি আশুরার সাওম (রোযা) সম্পর্কে আল্লাহর কাছে আশা করি যে তিনি এর কাফফারা দেবেন। গত বছরের গুনাহ” (সহীহ মুসলিম, ২৬১৭)।
যেহেতু এটি ফজিলতপূর্ণ মাস তাই পণ্ডিতরা মহররম মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখার আহ্বান জানান। এ ছাড়া এ মাসে দায়িত্ব পালনে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন আলেমরা। অন্যান্য বাধ্যতামূলক বিধানের প্রতিও বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলেন তিনি। যেমন কেউ যদি ফজরের নামায আদায়ে উদাসীন থাকে তাহলে তাকে বিশেষ করে এ মাসের সম্মানে ফজরের নামায আদায়ে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। একইভাবে অন্যান্য বাধ্যতামূলক কর্তব্যকেও গুরুত্ব দিতে হবে।
অতঃপর এ মাসের সম্মানে সব ধরনের গুনাহ থেকে বাঁচতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার কথাও বলেন আলেমরা। মহররম মাসে বেশি বেশি তাওবা পালনের আহ্বান জানান। এ ছাড়া এই পবিত্র মাসে যথাসম্ভব কুরআন তিলাওয়াত, যিকর-আজকার, তাসবীহ-তাহলীল, দান-খয়রাত, দরূদ পাঠ ইত্যাদি করতে হবে।
- মাহেদির ইতিহাস, হরভজনের ১৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের দাপট
- সবাইকে অবাক করে ম্যান অব দ্যা সিরিজ হলেন যে ক্রিকেটার
- নতুন ঘোষণা দিলেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা
- প্রবাসীরা সাবধান : সৌদি আরবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো কিছু পণ্য, দেখেনিন তালিকা
- আজকের ম্যাচে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হলেন যে টাইগার ক্রিকেটার
- গোপালগঞ্জ নিয়ে নতুন ঘোষণা দিলেন নাহিদ ইসলাম
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (১৭ জুলাই ২০২৫): কিভাবে টাকা পাঠালে বেশি টাকা পাবেন
- সৌদি আরবের নতুন আইন : প্রবাসীদের জন্য দারুন সুযোগ
- রণক্ষেত্র গোপালগঞ্জ
- বেড়ে গেলো আজকের ওমানি রিয়াল রেট (১৬ জুলাই ২০২৫)
- গোপালগঞ্জে উত্তেজনা চরমে: নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগ দিলো বিজিবি
- গোপালগঞ্জে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ নিয়ে যা বলছে সরকার
- ৩৯ মিনিটের জন্য বন্ধ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, আতঙ্কে যাত্রী ও কর্তৃপক্ষ
- শেষ হলো বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার টি-২০ ম্যাচ
- ১৬ জুলাই ২০২৫: মালয়েশিয়া থেকে টাকা পাঠানোর আগে জেনে নিন আজকের রিংগিত রেট