| ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

অকালে হারিয়ে যাওয়া ‘হতভাগা’ ১০ জন বাংলাদেশি ক্রিকেটার

খেলাধুলা ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০২৪ মে ০৮ ১৫:০৯:৩৪
অকালে হারিয়ে যাওয়া ‘হতভাগা’ ১০ জন বাংলাদেশি ক্রিকেটার

শচীন টেন্ডুলকার বা লিওনেল মেসি- সেই সব তারকাদের বাদ দিলে যারা সৃষ্টিকর্তার দেওয়া গুণ নিয়ে জন্মেছেন, আরও কিছু উদাহরণ সামনে চলে আসে। বিরাট কোহলি থেকে বেন স্টোকস, স্টিভেন স্মিথ থেকে মুশফিকুর রহিম - এরা সবাই ক্রমাগত নিজেদের তৈরি করেছে, কঠোর পরিশ্রম করেছে, সেরাদের মধ্যে থাকার আকাঙ্খা করেছে এবং বারবার ব্যর্থতাকে পরাজিত করেছে। এটাই তাদের আজকের সাফল্যের কারণ। সাফল্যের সাথে এটিই উপায়, আপনি যদি কাজ না করেন তবে সাফল্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনাকে অনুসরণ করবে না। এই কঠোর পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং মনোযোগের অভাবে যুগে যুগে অনেক প্রতিভাবান মানুষ হারিয়ে গেছে, হঠাৎ করেই ঝরে গেছে অনেক তারকা। টাইগার ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে। যারা তাদের প্রতিভাকে পরোয়া করে না তারা অন্ধকারের অতল গহ্বরে পতিত হয়।

বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে এমন ১০ জন ক্রিকেটার, যারা নিজেদের প্রতিভার যাচাই করতে পারলে দেশকে দিতে পারতেন আরো অনেক কিছু, তাঁদের নিয়েই আজকের প্রতিবেদন-

মেহরাব হোসেন অপি- আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার: ১৯৯৮-২০০৩, ৫ বছর

ম্যাচ: ৯ টেস্ট এবং ১৮ ওয়ানডে

বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিয়ান তিনি। অনুকরণীয় ব্যাটিং স্টাইলের সঙ্গে ২২ গজে ছিলেন খুব সাহসীও। ক্রিকেট মাঠে ভারতীয় ক্রিকেটার রমন লাম্বার মৃত্যুতে বেশ মানসিক আঘাত পান অপি, বেশ কিছুদিন ক্রিকেট থেকে দূরেও ছিলেন। ফেরার পর আর আগের মত ফর্ম ফিরে পাননি তিনি।

নাফিস ইকবাল- আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার: ২০০৪-০৬, ২ বছর

ম্যাচ: ১১ টেস্ট ও ১৬ ওয়ানডে

মেধা, সামর্থ্যের দিক থেকে কেউ কেউ ছোট ভাই তামিম ইকবালের চেয়েও এগিয়ে রাখেন নাফিসকে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই আলোচনায় ছিলেন সাবেক এই ওপেনার। বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকেই নাফিসকে বলা হচ্ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ভবিষ্যৎ। শুধু ব্যাটিংয়েই নয়, ভবিষ্যৎ অধিনায়কও ভাবা হয়েছে সাবেক ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানকে।

শাহরিয়ার নাফিস আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার: ২০০৫-২০১৩, ৮ বছর

ম্যাচ: ২৪ টেস্ট, ৭৫ ওয়ানডে ও একমাত্র টি-টোয়েন্টি

কেবল ব্যাটিং নয়; কথাবার্তা, শিক্ষা, চালচলন, চুলের স্টাইল বা পোশাকে আধুনিকতার ছোঁয়া নিয়ে এসেছিলেন যিনি তিনি হচ্ছেন শাহরিয়ার নাফিস। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকের পর দলে জায়গা করে নিতে সময় নেননি তিনি। অভিষেকের পর থেকে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যেতে থাকেন শাহরিয়ার নাফিস। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ব্রেট লি, ম্যাকগ্রাদের সামলে ৪৭ রান করেন তিনি। এর এক ম্যাচ পর অজিদের বিপক্ষে করেন ৭৫ রান।

নাসির হোসেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার: ২০১১- চলছে

ম্যাচ: ১৯ টেস্ট, ৬৫ ওয়ানডে ও ৩১ টি-টোয়েন্টি

বাংলাদেশ ক্রিকেটের হাতেগোনা কয়েকজন ব্যাড বয় এর অন্যতম একজন। আবার তিনি বাংলাদেশের হাতেগোনা কয়েকজন ফিনিশার এর মাঝে অন্যতম। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল থেকে নিজের পথ হারিয়েছেন আরো বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করে। সেই সাথে সম্ভাবনাময় আরো একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটারের হয়েছে অপমৃত্যু।

অলক কাপালি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার: ২০০২-১১, ৯ বছর

ম্যাচ: ১৭ টেস্ট, ৬৯ ওয়ানডে ও ৭ টি-টোয়েন্টি

বাংলাদেশে ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে নিন্দিত সাবেক এই দুই পাকিস্তানি কোচ আলী জিয়া ও মহসিন কামাল নেটে অলক কাপালির খেলা দেখে পছন্দ করে ফেলেন। কাপালির সামর্থ্যে ভরসা রেখে শ্রীলঙ্কা সফরে নিয়ে যান তাঁরা। অভিষেক সিরিজেই নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দেন দিনি। তাই সম্ভাবনা নিয়ে দলে না ঢুকলেও দ্রুত জায়গা পোক্ত হয়ে যায় তার।

রাজিন সালেহ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার: ২০০৩-০৮, ৫ বছর

ম্যাচ: ২৪ টেস্ট ও ৪৩ ওয়ানডে

রাজিন সালেহ বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার যিনি ফিল্ডিং দিয়েও নজর কাড়েন। অভিষেক টেস্টের স্কোয়াডে শুধু ফিল্ডিংয়ের কারণেই তাকে রাখা হয়েছিল। একজন টেস্ট ব্যাটসম্যানের যতটা সাহসী হতে হয়, রাজিন ঠিক তেমনই ছিলেন। ফিটনেসেও দলের বাকিদের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন তিনি। রাজিনকে মনে করা হয়েছিল টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের ভরসা। বাংলাদেশ ক্রিকেটে যখন পরিপক্কতা ছিলই না, রাজিন তখন নিজেকে পুরোপুরি ভিন্নভাবে হাজির করেছিলেন।

আফতাব আহমেদ

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার: ২০০৪-১০, ৬ বছর

ম্যাচ: ১৬ টেস্ট, ৮৫ ওয়ানডে ও ১১ টি-টোয়েন্টি

বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেটার ছিলেন আফতাব আহমেদ। দারুণ সম্ভাবনা নিয়ে জাতীয় দলে যাত্রা শুরু করেন তিনি। অল্প সময়ের মধ্যেই খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। প্রতিভা বা সামর্থ্যের কোনো ঘাটতি ছিল না তার। কিন্তু পিছিয়ে পড়েন চেষ্টার কমতির কারণে। নিজেকে অন্য পর্যায়ে নেওয়ার যে চেষ্টা, সেটা তার মধ্যে সেভাবে ছিল না। যে কারণে প্রত্যাশিত অনুপাতে তার উন্নতি হয়নি। তবু আরও কয়েক বছর খেলতে পারতেন সাবেক এই ক্রিকেটার। কিন্তু আইসিএল খেলায় বাকিদের মতো তাকেও আর সেভাবে বিবেচনা করা হয়নি।

সোহাগ গাজী আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার: ২০১২-১৫, ৩ বছর

ম্যাচ: ১০ টেস্ট, ২০ ওয়ানডে ও ১০ টি-টোয়েন্টি

টেস্ট ইতিহাসের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে একই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়েন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটেও তার এই রেকর্ড আছে। প্রকৃতিপদত্ত প্রতিভা নিয়ে জাতীয় দলে নাম লেখান গাজী, সাফল্যও মিলছিল। কিন্তু হারিয়ে যেতে সময় লাগেনি। নিজেকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার যে তাড়না, সেটা তার মাঝে সেভাবে দেখা যায়নি বলে মনে করেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকেই।

সৈয়দ রাসেল আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার: ২০০৫-১০, ৫ বছর

ম্যাচ: ৬ টেস্ট, ৫২ ওয়ানডে ও ৮ টি-টোয়েন্টি

বাংলাদেশ ক্রিকেটের আনসাং হিরো সৈয়দ রাসেল। যার উপস্থিতি সেভাবে বোঝা যেত না, কিন্তু দলের জন্য বড় অবদান রাখতেন। বলে তেমন গতি ছিল না। কিন্তু সুইংয়ের ভেল্কিতে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়তেন। তার হাত ধরেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে সুইং ভালোভাবে পরিচিত হয়।

এনামুল হক জুনিয়র আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার: ২০০৩-১৩, ১০ বছর

ম্যাচ: ১৫ টেস্ট ও ১০ ওয়ানডে

বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই নিজের আগমনী বার্তা দেন এনামুল হক জুনিয়র। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলার আগেই জাতীয় দলে অভিষেক হয় এনামুলের। টেস্টের নিয়মিত সদস্য হয়ে ওঠা এনামুল ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়ের নায়ক। সিরিজ জেতার পথে তার বড় অবদান ছিল। সিরিজ সেরার পুরস্কারও তার হাতে উঠেছিল।

ক্রিকেট

মাঠে নামতে প্রস্তুত গেইল

মাঠে নামতে প্রস্তুত গেইল

ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে আইপিএল প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ...

ফাইনালে বেঙ্গালুরুর হয়ে মাঠে নামবেন গেইল!

ফাইনালে বেঙ্গালুরুর হয়ে মাঠে নামবেন গেইল!

ক্রিস গেইল দীর্ঘদিন ধরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলেছেন। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে তিনি তার শেষ ...

ফুটবল

কোপার আগে ব্রাজিল শিবিরে নেমে এলো বড় দুঃসংবাদ

কোপার আগে ব্রাজিল শিবিরে নেমে এলো বড় দুঃসংবাদ

কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্ট শুরু হবে ২০ জুন। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের মরসুম থেকে আমরা মাত্র এক মাসেরও ...

বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার সময় জানিয়ে দিলেন হামজা

বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার সময় জানিয়ে দিলেন হামজা

ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির হয়ে খেলা হামজা চৌধুরী বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছেন। বাংলাদেশের হয়ে ...



রে