টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাবনায় নেই মিরাজ!
মিরাজ, যাকে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সাকিব বলে মনে করা হয়, সেই গ্রুপিং শিকার। পরিসংখ্যান তাই বলে। মিরাজ হল এমন একজন ক্রিকেটার যা আপনি যেখানে খুশি ব্যবহার করতে পারেন। সেখানেও পারফর্ম করবেন মিরাজ। এটা তিনি বহুবার প্রমাণ করেছেন। তবে সিস্টেমে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েন মিরাজ। সেই সাথে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভাবনাতেই তিনি নেই।
কাউকে সিস্টেম থেকে বাদ দেওয়া বা কারও সাথে গ্রুপ করা হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে কথা বলা যাক। মিরাজের শেষ ১০ ম্যাচের পরিসংখ্যান। তাহলে এটা পরিষ্কার। যদি ১০ ম্যাচের পরিসংখ্যান দেখি এবং যদি পাঁচটি ম্যাচ দেখি আমরা দেখতে পাব যে শুরুর লাইনআপে থাকা সত্ত্বেও, মিরাজ মাত্র তিনটি ম্যাচে অংশ নিয়েছিল। বোলিং না করায় ব্যাট করার সুযোগ পাননি তিনি। যে দুই ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছেন, সেখানে এক ম্যাচে ৮ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন।
আর বোলিং করা সুযোগ পেয়েছেন এক ম্যাচে দুই ওভার। দুই ওভারে ১৩ রান দেন তিনি। তার মানে বেশ ইকোনোমিক্যাল। আর এক ম্যাচে বল করেন ১ ওভার। সেখানে রান দেন ৯। টি-টোয়েন্টি এক ওভারে ৯ রান আহমোরি কিছু না।
আপনি যদি শেষ ১০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পরিসংখ্যান দেখেন তবে এটি আরও পরিষ্কার। মিরাজ তার শেষ ১০ ম্যাচের দুটিতে জিতেছে। যেখানে তিনি ব্যাট বা বল করার সুযোগ পেয়েছেন ৫ টি ম্যাচে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৬ বলে ২০ রান করেন তিনি। যা দলের সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন তিনি।
আরেকটি ম্যাচে ম্যাচ সেরা হয়েছে সেইটা আরব আমিরাতের বিপক্ষে এশিয়া কাপে। যেখানে ব্যাটে বলে দুই বিভাগেই দারুন ছিলেন এই অলরাউন্ডার। আবার যদি আরেকটা বিষয় লক্ষ্য করেন তাহলে গ্রুপিংয়ে বিষয়টা আরও বেশি স্পস্ট হয়ে যায়। সেইটা হলে নিউজিল্যন্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভাইস ক্যাপটেন করে পাঠানো হলো মিরাজকে। অথচ সেই মিরাজ নিউজিল্যান্ড গিয়ে একটি ম্যাচেই একাদশে সুযোগ পায়নি।
এই নিয়ে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত কোনো কথা বলেনি। কারণ একজন অধিনায়ক তো অবশ্যই চায়বে তার দলের ইনফর্ম ক্রিকেটার সেরা একাদশে খেলুক। তা না হয়ে আমরা উল্টোটা দেখেছি। একে তো সেরা পারফরমার তারপর আবার দলের ভাইস ক্যাপটেন। নাজমুল হোসেন শান্ত এই জন্যই মেহেদি মিরাজকে নিয়ে কথা বলে না কেননা তার অধিনায়ক হওয়ার একমাত্র প্রতিদ্বন্দি মিরাজ। কেননা সাকিব ক্যাপটেন্সি করতে চায় না। লিটনকে নিয়ে ভরসা পাচ্ছে না বিসিবি। তাইতো বাংলাদেশের পরবর্তি অধিনায়ক হিসেবে দেখা হয় মিরাজকে।
আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলে থাকলেও ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা সিরিজের টি-টোয়েন্টির স্কোয়াড থেকেতো তাকে বাদ দিয়ে দিয়েছে নান্নুর নির্বাচক প্যানেল। এক রকম না খেলিয়ে সিস্টেমে বাদ দেয়া হয়েছে মিরাজকে। তামিম সাকিবের সেই গ্রুপিংয়ে ছায়া এখনও জাতিয় দলে বিরাজও মান। আর সেইটা হলো মিরাজ-শান্তর মধ্যে।