ক্যাচ মিসে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান কতটা বাজে, একনজরে দেখে নিন

একের পর এক ক্যাচ মিস করতে থাকে বাংলাদেশ। সিলেট টেস্টে সুযোগ হাতছাড়া করে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী শ্রীলঙ্কা। মাহমুদ হাসান জয়ের একটি মিস করার সুবাদে ম্যাচে ফিরেছে লঙ্কা। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ ৩২৮ রানের রেকর্ড ব্যবধানে হেরেছিল। চট্টগ্রাম টেস্টের পরও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। একের পর এক বল সহজেই ধরতে থাকেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। তাই সফরকারী ব্যাটসম্যানরা সাগরিকাতে রান উদযাপন করেন।
তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টের চিত্র দেখলে বোঝার উপায় নেই, গত তিন বছরে অন্তত স্লিপের মাঠে বাংলাদেশ যে উন্নতি করেছে, তা স্পষ্ট ছিল। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, গত তিন বছরে, বাংলাদেশী পাখির স্লিপগুলিতে সমস্ত ক্যাচের প্রায় ৮৬ শতাংশ ধরতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। প্রকাশিত ওই তালিকা বিবেচনায় আনলে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া থেকেও এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা।
তালিকায় সবার ওপরে আছে দক্ষিন আফ্রিকা। প্রোটিয়ারা প্রায় ৮৯ শতাংশ ক্যাচ তালুবন্দি করেছে। তারা স্লিপ ফিল্ডিংয়ে কতটা দক্ষ তা এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। প্রায় ৮৮ শতাংশ ক্যাচ নিয়ে দুইয়ে ভারত। আর প্রায় ৮৬ শতাংশ ক্যাচ নিয়ে তিনে ছিল নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের সমান ৮৬ শতাংশ ক্যাচ নিয়ে চার নম্বরে ছিল বাংলাদেশের নাম। প্রায় ৮০ শতাংশ ক্যাচ নিয়ে বাংলাদেশের পরই ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের নাম।
ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার নাম ছিল এরপরেই। তবে আরেকটু পেছনের দিকে গেলে বাংলাদেশের চিত্রটা ছিল ভয়াবহ। ২০১০-২০১৫ সালের পরিসংখ্যান বিবেচনায় আনলে ক্যাচ এবং স্ট্যাম্পিং মিসের দিক থেকে সবার নিচে বাংলাদেশের অবস্থান। ক্রিকইনফোর এক পরিসংখ্যান বলছে, ওই পাঁচ বছরে ৩৩.১ শতাংশ ক্যাচ ও স্ট্যাম্পিং মিস করেছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। সেই তালিকায় জিম্বাবুয়ের পেছনে ছিল বাংলাদেশ। রোডেশিয়ানরা মিস করেছিল ৩১.৯ শতাংশ ক্যাচ ও স্ট্যাম্পিং সুযোগ।
এর ওপরে ছিল পাকিস্তান (৩০.২ শতাংশ) এবং ভারত (২৭.২ শতাংশ)। সেই ৫ বছরে আবার সবচেয়ে কম মিসের তালিকায় ছিল নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া। প্রত্যেকেরই সুযোগ মিস করার হার ছিল ২২ শতাংশের কম। আবার ২০০৩ থেকে ২০০৯ সালের হিসেবেও বাংলাদেশই ছিল সবার তলানিতে। ৩৩.৩ শতাংশ সুযোগ মিস করেছিলেন তৎকালীন টাইগার ক্রিকেটাররা। ২০০৯ সাল পরবর্তী গ্রাফটা তাই বেশ উন্নতির দিকে, এমনটা বলাই যায়। যদিও ২০২৪ সালের শুরুতে এসে এসব পরিসংখ্যানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক ক্যাচ মিস করেছেন জয়-শান্তরা।
ক্যাচ নেওয়ার হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো সময় পার হয়েছে ২০১৯ সালে। সেবছর ৩০ ম্যাচে ১৪২টি ক্যাচ নিয়েছিলেন টাইগার ফিল্ডাররা। ছেড়েছিলেন ৩৩টি। শতকরা হিসেবে ১৮.৯ শতাংশ ক্যাচ মিস করেছিল সাকিব-মাশরাফিরা। এর আগের বছর মিস হয়েছিল ২১ শতাংশ ক্যাচ। ২০২০ সালে ক্যাচ মিস হয়েছিল ২১.৩ শতাংশ। ২০২১ সালে তা আবার নেমে যায় ২০.৫ শতাংশে।
- দেশে আরেকটি বড় আন্দোলনের আভাস
- শাহজালাল সহ তিন বিমানবন্দরে ১৬ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে আজ রাতে
- দারুণ সুখবর : নতুন ভিসা চালু করল আমিরাত
- গ্যাসের সমস্যা দূর করার সহজ উপায়: আপনার বাড়িতে
- সরকারি অফিসে পার্টটাইম চাকরি দিতে চাই শিক্ষার্থীদের: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
- ম্যানচেস্টার সিটি বনাম আল-হিলাল: বাংলাদেশ থেকে ফ্রিতে লাইভ দেখবেন যেভাবে
- যে অপরাধে ওমানে দুই প্রবাসী বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
- ছেলেদের জন্য স্কিন কেয়ার রুটিন: আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর উপায়
- ইন্টার মিলান বনাম ফ্লুমিনেন্স: বাংলাদেশ থেকে ফ্রিতে লাইভ দেখবেন যেভাবে
- হঠাৎ পাল্টে গেলো ব্রয়লার মুরগির দাম
- রিয়াল মাদ্রিদ বনাম জুভেন্টাসের ম্যাচটি বাংলাদেশ থেকে লাইভ দেখবেন যেভাবে