প্রথম বাংলাদেশি রেফারি হিসেবে, শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকত আইসিসির অভিজাত প্যানেলে জায়গা পান। আইসিসি আজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে, বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, আইসিসির বার্ষিক পর্যবেক্ষণ এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে, সৈকতকে আন্তর্জাতিক রেফারি প্যানেল থেকে এলিট কমিটিতে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মহাপরিচালক ওয়াসিম খান (চেয়ারম্যান), প্রাক্তন খেলোয়াড় ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার, নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন আম্পায়ার টনি হিল এবং পরামর্শক মাইক রেইলির সমন্বয়ে গঠিত একটি নির্বাচক কমিটি আইসিসি থেকে শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকতকে যাচাই-বাছাইয়ের পর অভিজাত প্যানেলে সুপারিশ করেছে।

দেশের প্রধান রেফারি হিসেবে, বিচ অভিজাত প্যানেলে জায়গা পেতে খুবই আনান্দিত তিনি। আইসিসির কাছে তার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায়, তিনি বলেছিলেন: "এই কমিটিতে অংশ নেওয়া আমার দেশের জন্য প্রথম রেফারি হওয়া আমার জন্য বিশেষ।" আপনি আমার উপর যে আস্থা রেখেছিলেন আমি তা ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। বছরের পর বছর ধরে, আমি অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি এবং সামনের দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত।

এর আগে গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো আম্পায়ার হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন সৈকত। যেখানে তিনি তার সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা দেখিয়েছেন। পরবর্তীকালে নিরপেক্ষ সিরিজে একটি ম্যাচ পরিচালনা করা প্রথম বাংলাদেশি হন তিনি। গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে আম্পায়ার করেন আম্পায়ার সৈকত।

২০১০ সালে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক আম্পায়ারিংয়ে অভিষেক হয় শরফুদ্দৌলার। বাংলাদেশি আম্পায়ারিং ইতিহাসে একাধিক কীর্তি গড়া সৈকত এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুরুষদের ক্রিকেটে ১০টি টেস্ট ম্যাচ, ৬৩ ওয়ানডে এবং ৪৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ারিং করার অভিজ্ঞতা আছে সৈকতের।

অন্যদিকে মেয়েদের ক্রিকেটে ১৩ ওয়ানডে ম্যাচ এবং ২৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন সৈকত। এ ছাড়া পুরুষদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে ১০০টি ম্যাচ পরিচালনা করারও কীর্তি আছে তার।

আইসিসি এলিট প্যানেল আম্পায়ার: কুমার ধর্মসেনা (শ্রীলঙ্কা), ক্রিস্টোফার গ্যাফফানি (নিউজিল্যান্ড), মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড), অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক (দক্ষিণ আফ্রিকা), রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ (ইংল্যান্ড), রিচার্ড কেটেলবরো (ইংল্যান্ড), নীতিন মেনন (ভারত), এহসান রাজা (পাকিস্তান), পল রাইফেল (অস্ট্রেলিয়া), শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত (বাংলাদেশ), রড টাকার (অস্ট্রেলিয়া), জোয়েল উইলসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।

আইসিসি এলিট প্যানেল ম্যাচ রেফারি: ডেভিড বুন (অস্ট্রেলিয়া), জেফ ক্রো (নিউজিল্যান্ড), রঞ্জন মাদুগালে (শ্রীলঙ্কা), অ্যান্ড্রু পাইক্রফট (জিম্বাবুয়ে), রিচি রিচার্ডসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), জাভাগাল শ্রীনাথ (ভারত)।