অবশেষে বেড়িয়ে এলো সাকিব-তামিম দ্বন্দ্বের নায়ক কে!
একই গাড়ি বা একই কোম্পানির সাথে একটি বাণিজ্যিক চুক্তি। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। এমনকি মাঠে দূর থেকেও তারা একে অপরের পারফরম্যান্স উপভোগ করেছেন। যদিও সেই মুহূর্তগুলো হয়তো চোখ এড়িয়ে গেছে সাকিব তামিমের ভক্তদের। এই দুই ক্রিকেটার অনেক জায়গায় একই রকম হলেও কীভাবে এমন দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হল? এর পেছনে কী আছে?২২ গজের তারকা সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের মধ্যে দ্বন্দ্ব বহুদিন ধরেই আলোচিত।
দেশের ক্রিকেটের দুই তারকা সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। নিজের ব্যক্তিগত সংগ্রাম জানেন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন হতে পারে। দুজনের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে টাইগার ক্রিকেট দুই ভাগে বিভক্ত। এ বছর জাতীয় দলে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন তামিম। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে সময় নিলেও দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে ফিরতে চান সাকিব। তারা দুজনেই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ক্রিকেট খেলেন।
দুজন মানুষের এত বিরোধিতা হওয়া স্বাভাবিক বলে মনে হতে পারে, তাদের একজন উত্তর মেরুতে থাকলে অন্যজন দক্ষিণ মেরুতে চলে যাবে। ভক্তদের মনে হতে পারে, এই দুইয়ের মধ্যে কোনো মিল নেই। কিন্তু এখানে একটি চমক আছে.
দুই মেরুতে অনেক মিল আছে। বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত উভয় ক্রিকেটারেরই নতুন গাড়ির প্রতি আসক্তি রয়েছে। কিছুদিন আগে উদ্বোধনী গাড়ির মালিক তামিম ইকবালকে কালো রঙের বিএমডব্লিউ গাড়ি চালাতে দেখা যায়। BMW গাড়ির প্রথম সংস্করণ সবার নজর কেড়েছে।
কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো, একই রকম ও একই রঙের বিএমডব্লিউ গাড়ি আছে সাকিবেরও। কালো রঙ্গের বিলাসবহুল এ গাড়িতে চড়েই পাঁচতারকা এক হোটেল থেকে বের হতে দেখা যায় সাকিবকে। বাণিজ্যিক কাজ শেষে ব্ল্যাক বিএমডব্লিউ চড়েই নির্ধারিত গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হন মিস্টার সেভেনটিফাইভ।
শুধু কি গাড়িতেই মিল? না, দুজনই আবার একই মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ আছেন। করছেন বিজ্ঞাপনও। টেলিভিশন স্ক্রিন ছাপিয়ে দুই তারার পাশাপাশি অবস্থান দেখা যায় মাঠের ক্রিকেটেও। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও সাকিবের ব্যাটিং দূর থেকে লক্ষ্য করেন তামিম। আবার ঘটে উল্টোটাও। তামিমও বাদ দেন না সাকিবের মাঠের পারফরম্যান্স দেখতে।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো, এত মিল থাকার পরেও কি করে এমন দ্বন্দের সৃষ্টি? নাকি সে দ্বন্দ্ব শুধু সাকিব-তামিম ভক্তদের কথার লড়াই থেকেই তৈরি! সে প্রশ্নের উত্তর পাওয়াটাও যে দুঃসাধ্য।